ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে ধসে পড়া একটি ইসলামিক স্কুল ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্তত ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৩ জন। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, এটি চলতি বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।
গত সোমবার রাজধানী জাকার্তা থেকে প্রায় ৭৮০ কিলোমিটার দূরের সিদোয়ারজো শহরে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলটি ধসে পড়ে। শতাধিক শিক্ষার্থী কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে, যাদের অনেকেই প্রাণ হারায়।
দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষের প্রায় ৮০ শতাংশ সরিয়ে ফেলেছেন। এর মধ্যে রোববার রাতেই তারা ৫০ জনের মৃতদেহ এবং আরও কয়েকটি দেহাংশ উদ্ধার করেন।
সংস্থার মুখপাত্র বুদি ইরাওয়ান বলেন, “এই একটি ভবন ধসেই চলতি বছরে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাকৃতিক কিংবা মানবসৃষ্ট—কোনো দুর্যোগেই এত মৃত্যু হয়নি।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, সোমবারের মধ্যেই নিখোঁজ ১৩ জনের সন্ধান শেষ হবে।
একই সংবাদ সম্মেলনে তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা বুদি ব্রাহ্মানত্য বলেন, আরও পাঁচটি দেহাংশ উদ্ধারের পর নিহতের সংখ্যা ৫৪ জনে পৌঁছাতে পারে। উদ্ধারকারীরা এখনও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। সংস্থার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, কমলা রঙের বডি ব্যাগে মৃতদেহগুলো ধ্বংসস্তূপ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবনটির ভিত্তি দুর্বল ছিল। তার ওপর অতিরিক্ত একটি তলা নির্মাণের চাপেই ধসের ঘটনা ঘটে।
ইন্দোনেশিয়ায় আল খোজিনির মতো ইসলামিক স্কুল বা ‘পেসানত্রেন’ প্রায় ৪২ হাজার, যেখানে প্রায় ৭০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে বলে দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা গেছে।
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে ধসে পড়া একটি ইসলামিক স্কুল ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্তত ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৩ জন। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, এটি চলতি বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।
গত সোমবার রাজধানী জাকার্তা থেকে প্রায় ৭৮০ কিলোমিটার দূরের সিদোয়ারজো শহরে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলটি ধসে পড়ে। শতাধিক শিক্ষার্থী কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে, যাদের অনেকেই প্রাণ হারায়।
দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষের প্রায় ৮০ শতাংশ সরিয়ে ফেলেছেন। এর মধ্যে রোববার রাতেই তারা ৫০ জনের মৃতদেহ এবং আরও কয়েকটি দেহাংশ উদ্ধার করেন।
সংস্থার মুখপাত্র বুদি ইরাওয়ান বলেন, “এই একটি ভবন ধসেই চলতি বছরে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাকৃতিক কিংবা মানবসৃষ্ট—কোনো দুর্যোগেই এত মৃত্যু হয়নি।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, সোমবারের মধ্যেই নিখোঁজ ১৩ জনের সন্ধান শেষ হবে।
একই সংবাদ সম্মেলনে তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার কর্মকর্তা বুদি ব্রাহ্মানত্য বলেন, আরও পাঁচটি দেহাংশ উদ্ধারের পর নিহতের সংখ্যা ৫৪ জনে পৌঁছাতে পারে। উদ্ধারকারীরা এখনও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। সংস্থার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, কমলা রঙের বডি ব্যাগে মৃতদেহগুলো ধ্বংসস্তূপ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবনটির ভিত্তি দুর্বল ছিল। তার ওপর অতিরিক্ত একটি তলা নির্মাণের চাপেই ধসের ঘটনা ঘটে।
ইন্দোনেশিয়ায় আল খোজিনির মতো ইসলামিক স্কুল বা ‘পেসানত্রেন’ প্রায় ৪২ হাজার, যেখানে প্রায় ৭০ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে বলে দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা গেছে।