হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার পর মাটিতে মিশে যাওয়া আবাসে ফেরার চেষ্টা করছেন গাজার অনেকেই
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলিদের সম্প্রতি যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী দুই ইসরায়েলির মরদেহ হস্তান্তরের বিনিময়ে ৩০ প্যালেস্টিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ইসরায়েল।
চুক্তির পর এ পর্যন্ত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
তবে তাদের কাছে যে ২০ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ছিল, তাদের মধ্যে মরদেহ ফেরত দিয়েছে ৯ জনের।
মরদেহ ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণে চুক্তি আবারও ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উপদেষ্টারা আশা প্রকাশ করেছেন, হামাস চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাবে।
এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, বন্ধ থাকা রাফা ক্রসিং খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে তা হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্ধারিত চেকপয়েন্ট দিয়েই শুধু ত্রাণ যাবে বলেও জানিয়েছে তারা।
আর বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে এখনো গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৬৭,৯৬৭।
এদের মধ্যে সর্বশেষ হিসাব করা ২৪ ঘণ্টায় নিহত ২৯ জনও রয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছিল আহত অবস্থায়। ২২ জনকে ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বর্তমানে গাজার ৫৩ শতাংশ জায়গা ইসরায়েলি বাহিনীর সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে বিবিসির এক সাংবাদিক লিখেছেন, গাজায় চুক্তি মানা না-মানা নিয়ে ইসরায়েলি ও হামাস উভয়পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তারা প্রত্যেকেই অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
হামাস বলছে, চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তাদের সেনাদের সুরক্ষা করতেই পাল্টা গুলি চালাতে হচ্ছে তাদের।এখনও হামাসের হাতে যে ১৯ জিম্মির মরদেহ রয়েছে, তাকে কেন্দ্র করে আবার শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাস ও ইসরায়েলিদের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে গাজার অবশিষ্ট অংশ পুনরুদ্ধারের সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে অভিহিত করে আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তি বাস্তবায়নে বিশুদ্ধচিত্তে প্রয়াস চালিয়ে যাবেন।
এদিকে উপগ্রহের চিত্র বিশ্লেষণ করে একটি হিসেব করেছে বিবিসি, সেখানে দেখা যাচ্ছে গাজায় ধ্বংসাবশেষ যদি পরিমাপ করা হয়, তাহলে তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ কোটি টন।
সেই পরিমাণে যে শুধু ধ্বংস হওয়া দালানের কংক্রিট ও লোহালক্কড় আছে তাই নয়, তাতে যে মানুষের দেহও মিশে আছে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে বিবিসি।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব কার্যকর হওয়ার পর মাটিতে মিশে যাওয়া আবাসে ফেরার চেষ্টা করছেন গাজার অনেকেই
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলিদের সম্প্রতি যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী দুই ইসরায়েলির মরদেহ হস্তান্তরের বিনিময়ে ৩০ প্যালেস্টিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ইসরায়েল।
চুক্তির পর এ পর্যন্ত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
তবে তাদের কাছে যে ২০ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ছিল, তাদের মধ্যে মরদেহ ফেরত দিয়েছে ৯ জনের।
মরদেহ ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণে চুক্তি আবারও ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উপদেষ্টারা আশা প্রকাশ করেছেন, হামাস চুক্তির প্রতি সম্মান দেখাবে।
এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, বন্ধ থাকা রাফা ক্রসিং খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। তবে তা হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্ধারিত চেকপয়েন্ট দিয়েই শুধু ত্রাণ যাবে বলেও জানিয়েছে তারা।
আর বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে এখনো গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৬৭,৯৬৭।
এদের মধ্যে সর্বশেষ হিসাব করা ২৪ ঘণ্টায় নিহত ২৯ জনও রয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছিল আহত অবস্থায়। ২২ জনকে ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
বর্তমানে গাজার ৫৩ শতাংশ জায়গা ইসরায়েলি বাহিনীর সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে বিবিসির এক সাংবাদিক লিখেছেন, গাজায় চুক্তি মানা না-মানা নিয়ে ইসরায়েলি ও হামাস উভয়পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে। মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তারা প্রত্যেকেই অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
হামাস বলছে, চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তাদের সেনাদের সুরক্ষা করতেই পাল্টা গুলি চালাতে হচ্ছে তাদের।এখনও হামাসের হাতে যে ১৯ জিম্মির মরদেহ রয়েছে, তাকে কেন্দ্র করে আবার শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাস ও ইসরায়েলিদের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে গাজার অবশিষ্ট অংশ পুনরুদ্ধারের সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে অভিহিত করে আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তি বাস্তবায়নে বিশুদ্ধচিত্তে প্রয়াস চালিয়ে যাবেন।
এদিকে উপগ্রহের চিত্র বিশ্লেষণ করে একটি হিসেব করেছে বিবিসি, সেখানে দেখা যাচ্ছে গাজায় ধ্বংসাবশেষ যদি পরিমাপ করা হয়, তাহলে তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৬ কোটি টন।
সেই পরিমাণে যে শুধু ধ্বংস হওয়া দালানের কংক্রিট ও লোহালক্কড় আছে তাই নয়, তাতে যে মানুষের দেহও মিশে আছে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে বিবিসি।