ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এক মাস আগেও আলোচনায় অগ্রগতির কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। নির্ধারিত বৈঠক ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা আবার বেড়েছে। দুই পক্ষই এখন সম্পর্কের অবনতির জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা আবারও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও উভয়পক্ষই নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী মনে করছে। ফলে কয়েকটি বিষয়ে ছোট পরিসরের চুক্তিই সবচেয়ে সম্ভাব্য ফলাফল। সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেরিকান স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক উ শিনবো বলেন, চীন বিশ্বাস করে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মোকাবিলায় বেইজিং এখন আলোচনার পাশাপাশি কার্যকর পাল্টা পদক্ষেপকেও জরুরি মনে করছে। এতে বার্ষিক ৬৬ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য সম্পর্ক ঝুঁকিতে পড়েছে।
সম্প্রতি চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞার জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপকে ‘পূর্ণমাত্রার অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেছে। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বৈঠক ব্যর্থ হলে চীনের পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প-শি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে শেষ চেষ্টা হিসেবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং মালয়েশিয়ায় বৈঠকে বসবেন।
তবে আলোচনায় অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উভয় দেশের আত্মবিশ্বাস ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। চীনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় আছে। অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা চীনা অর্থনীতিকে দুর্বল বলে মনে করেন। তবু বিশ্লেষকদের ধারণা, সর্বোচ্চ ক্ষেত্রে বিশ্বাস পুনর্গঠনের উদ্যোগ দেখা যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে নতুন বাণিজ্যচুক্তির পথ খুলে দিতে পারে।
এদিকে বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞার জবাবে সফটওয়্যারভিত্তিক পণ্য রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ও বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাবের আওতায় ল্যাপটপ থেকে শুরু করে জেট ইঞ্জিন– সব ধরনের সফটওয়্যারচালিত রপ্তানি পণ্য পড়তে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
এক মাস আগেও আলোচনায় অগ্রগতির কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। নির্ধারিত বৈঠক ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা আবার বেড়েছে। দুই পক্ষই এখন সম্পর্কের অবনতির জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা আবারও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও উভয়পক্ষই নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী মনে করছে। ফলে কয়েকটি বিষয়ে ছোট পরিসরের চুক্তিই সবচেয়ে সম্ভাব্য ফলাফল। সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেরিকান স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক উ শিনবো বলেন, চীন বিশ্বাস করে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মোকাবিলায় বেইজিং এখন আলোচনার পাশাপাশি কার্যকর পাল্টা পদক্ষেপকেও জরুরি মনে করছে। এতে বার্ষিক ৬৬ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য সম্পর্ক ঝুঁকিতে পড়েছে।
সম্প্রতি চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞার জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপকে ‘পূর্ণমাত্রার অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেছে। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বৈঠক ব্যর্থ হলে চীনের পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প-শি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে শেষ চেষ্টা হিসেবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং মালয়েশিয়ায় বৈঠকে বসবেন।
তবে আলোচনায় অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উভয় দেশের আত্মবিশ্বাস ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। চীনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় আছে। অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা চীনা অর্থনীতিকে দুর্বল বলে মনে করেন। তবু বিশ্লেষকদের ধারণা, সর্বোচ্চ ক্ষেত্রে বিশ্বাস পুনর্গঠনের উদ্যোগ দেখা যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে নতুন বাণিজ্যচুক্তির পথ খুলে দিতে পারে।
এদিকে বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞার জবাবে সফটওয়্যারভিত্তিক পণ্য রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ও বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাবের আওতায় ল্যাপটপ থেকে শুরু করে জেট ইঞ্জিন– সব ধরনের সফটওয়্যারচালিত রপ্তানি পণ্য পড়তে পারে।