alt

ট্রাম্প-জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

এক মাস আগেও আলোচনায় অগ্রগতির কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। নির্ধারিত বৈঠক ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা আবার বেড়েছে। দুই পক্ষই এখন সম্পর্কের অবনতির জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা আবারও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও উভয়পক্ষই নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী মনে করছে। ফলে কয়েকটি বিষয়ে ছোট পরিসরের চুক্তিই সবচেয়ে সম্ভাব্য ফলাফল। সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেরিকান স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক উ শিনবো বলেন, চীন বিশ্বাস করে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মোকাবিলায় বেইজিং এখন আলোচনার পাশাপাশি কার্যকর পাল্টা পদক্ষেপকেও জরুরি মনে করছে। এতে বার্ষিক ৬৬ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য সম্পর্ক ঝুঁকিতে পড়েছে।

সম্প্রতি চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞার জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপকে ‘পূর্ণমাত্রার অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেছে। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বৈঠক ব্যর্থ হলে চীনের পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প-শি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে শেষ চেষ্টা হিসেবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং মালয়েশিয়ায় বৈঠকে বসবেন।

তবে আলোচনায় অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উভয় দেশের আত্মবিশ্বাস ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। চীনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় আছে। অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা চীনা অর্থনীতিকে দুর্বল বলে মনে করেন। তবু বিশ্লেষকদের ধারণা, সর্বোচ্চ ক্ষেত্রে বিশ্বাস পুনর্গঠনের উদ্যোগ দেখা যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে নতুন বাণিজ্যচুক্তির পথ খুলে দিতে পারে।

এদিকে বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞার জবাবে সফটওয়্যারভিত্তিক পণ্য রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ও বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাবের আওতায় ল্যাপটপ থেকে শুরু করে জেট ইঞ্জিন– সব ধরনের সফটওয়্যারচালিত রপ্তানি পণ্য পড়তে পারে।

ছবি

কোনো নতুন আক্রমণ হবে ‘আরেকটি ব্যর্থতা’: ইরান

ছবি

সহিংস বিক্ষোভে প্রাণহানি, টিএলপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো পাকিস্তান

ছবি

ঝুঁকি মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোকে বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা কমাতে হবে

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও গাজার মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা দূর হচ্ছে না

ছবি

একের পর এক অঞ্চল দখল করছে মায়ানমার জান্তা, কেন পিছু হটছে বিদ্রোহীরা

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক কেন ভেস্তে গেল, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী

ছবি

রাশিয়ার দুটি প্রধান তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

আসিয়ান সম্মেলন এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদি, যাবেন না মালয়েশিয়া

ছবি

চীনের সহায়তায় হারানো এলাকা পুনর্দখলে নিচ্ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী

ছবি

বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে আসছে ম্যালেরিয়া

ছবি

পাকিস্তান-তালেবান উত্তেজনায় অনিশ্চিত জীবন আফগান শরণার্থীদের

ছবি

রাশিয়ার দুই তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

‘কয়েক প্রজন্ম ধরে’ চলবে গাজায় স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ মাসে পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

ছবি

‘শারীরিক সম্পর্ক’ মানেই ধর্ষণ নয়, দিল্লি হাইকোর্টের রায়

ছবি

ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ‘বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের’ সমতুল্য: জাতিসংঘ

ছবি

আফগানিস্তানে ডায়রিয়ায় বছরে মৃত্যু ৯৭ হাজারের অধিক

ছবি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পের শান্তি আলোচনায় ইউরোপের সায়

ছবি

যুদ্ধবিরতি হলেও ভিন্ন আতঙ্কে গাজার বাসিন্দারা

ছবি

নাইজেরিয়ায় জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩৫

ছবি

ইউক্রেইনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়ার কঠোর অবস্থান, অনিশ্চয়তায় ট্রাম্প–পুতিন বৈঠক

ছবি

বিরল খনিজের সরবরাহে চীনা দাপট ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়া-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি

ছবি

শক্তিধরদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ অবসানের পর ইরান এখন কী করবে

ছবি

ট্রাম্পের জন্য বলরুম বানাতে ভাঙা হচ্ছে হোয়াইট হাউসের একাংশ

ছবি

জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি এখনো বহাল, নাকি ভেস্তে গেছে

ছবি

পাকিস্তান-আফগানিস্তানের অস্ত্রবিরতি টিকবে তো?

ছবি

হংকংয়ে রানওয়ে থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়লো কার্গো বিমান

ছবি

ইইউ: ২০২৮ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি ধীরে ধীরে বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন

ছবি

বলিভিয়ায় দুই দশকের বামপন্থী শাসনের অবসান, নতুন প্রেসিডেন্ট মধ্যপন্থী পাজ

ছবি

রাশিয়ার তেল কেনা নিয়ে ভারতকে আবারও ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ছবি

ফের জেলেনস্কিকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বললেন ট্রাম্প

ছবি

দোহায় আলোচনার পর অস্ত্রবিরতিতে রাজি পাকিস্তান-আফগানিস্তান

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন ঘিরে রাজনৈতিক সংঘাত তীব্র হচ্ছে

ইসরায়েলের হামলা চলছেই, হুমকির মুখে যুদ্ধবিরতি

tab

ট্রাম্প-জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

এক মাস আগেও আলোচনায় অগ্রগতির কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। নির্ধারিত বৈঠক ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা আবার বেড়েছে। দুই পক্ষই এখন সম্পর্কের অবনতির জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা আবারও সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলেও উভয়পক্ষই নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী মনে করছে। ফলে কয়েকটি বিষয়ে ছোট পরিসরের চুক্তিই সবচেয়ে সম্ভাব্য ফলাফল। সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের আমেরিকান স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক উ শিনবো বলেন, চীন বিশ্বাস করে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মোকাবিলায় বেইজিং এখন আলোচনার পাশাপাশি কার্যকর পাল্টা পদক্ষেপকেও জরুরি মনে করছে। এতে বার্ষিক ৬৬ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য সম্পর্ক ঝুঁকিতে পড়েছে।

সম্প্রতি চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞার জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপকে ‘পূর্ণমাত্রার অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেছে। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বৈঠক ব্যর্থ হলে চীনের পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প-শি বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে শেষ চেষ্টা হিসেবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং মালয়েশিয়ায় বৈঠকে বসবেন।

তবে আলোচনায় অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উভয় দেশের আত্মবিশ্বাস ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। চীনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় আছে। অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা চীনা অর্থনীতিকে দুর্বল বলে মনে করেন। তবু বিশ্লেষকদের ধারণা, সর্বোচ্চ ক্ষেত্রে বিশ্বাস পুনর্গঠনের উদ্যোগ দেখা যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে নতুন বাণিজ্যচুক্তির পথ খুলে দিতে পারে।

এদিকে বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞার জবাবে সফটওয়্যারভিত্তিক পণ্য রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ও বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এই প্রস্তাবের আওতায় ল্যাপটপ থেকে শুরু করে জেট ইঞ্জিন– সব ধরনের সফটওয়্যারচালিত রপ্তানি পণ্য পড়তে পারে।

back to top