যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক গোপনীয়তা ও সামরিক পরিকল্পনাসহ শত শত রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথির অব্যবস্থাপনার কারণে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৭টি অভিযোগে তাকে তার ফ্লোরিডার বাড়ির বলরুম ও ওয়াশরুমসহ বিভিন্ন জায়গায় রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি রাখা, তদন্তকারীদের কাছে মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি নথিপত্র ব্যবস্থাপনার তদন্তে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
আগামী বছর হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে থাকা ট্রাম্প অন্যায় কিছু করার কথা অস্বীকার করেছেন।
ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী ওয়াল্ট নাউটার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। হোয়াইট হাউজের এই সাবেক সামরিক ভৃত্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এফবিআইয়ের কাছ থেকে লুকানোর জন্য তিনি ফাইল সরিয়ে নিয়েছিলেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮৯ পৃষ্ঠার অভিযোগনামায় প্রথমবারের মতো একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফেডারেল অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগনামায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার বাক্সগুলোতে যে গোপনীয় নথিগুলো রেখেছিলেন সেগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কর্মসূচীর, যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষা ও অস্ত্র সক্ষমতা, সামরিক আক্রমণ হলে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের সম্ভাব্য দুর্বলতা এবং বাইরে থেকে কোনো হামলা হলে তার প্রতিক্রিয়ায় সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনার তথ্য ছিল।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্টের দপ্তর ছেড়ে যান তখন তিনি প্রায় ৩০০ গোপনীয় ফাইল ফ্লোরিডার পাম বিচে তার সমুদ্র তীরবর্তী মার-এ-লগো বাসভবনে নিয়ে যান, যেটি আবার একটি ব্যক্তিগত সদস্যদের ক্লাবও।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মার-এ-লগোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার সদস্য ও অতিথি এসেছিলেন, তারা ওই বলরুমও ব্যবহার করেছেন যেখানে গোপনীয় অনেক নথি পাওয়া গেছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিখোঁজ নথিগুলো নিয়ে এফবিআইয়ের তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প; বলেছিলেন তার আইনজীবীরা সেগুলো ‘লুকিয়েছে বা ধ্বংস’ করেছে, এমনকী সেগুলো তার কাছে নাই বলেও দাবি করেছিলেন।
অভিযোগপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প তার আইনজীবীদের একজনকে বলেছিলেন, “যদি আমরা তাদের বলি এ ধরনের কোনো কিছু এখানে আমাদের কাছে নেই, তাহলে ভালো হবে না?”
আগামী মঙ্গলবার ফ্লোরিডার মায়ামিতে এই মামলায় প্রথমবারের মতো আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন ট্রাম্প। এর একদিন পরই তার ৭৭তম জন্মদিন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি রাখার বা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য মার-এ-লগো ‘কোনো অনুমোদিত স্থান’ ছিল না।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কিছু ফাইল মার-এ-লগোর বলরুমের মঞ্চে রাখা হয়েছিল, যেখানে অনুষ্ঠান হয়েছে এবং লোকজনের জমায়েত হয়েছিল। পরে বাথরুশ ও গোসলখানা, একটি অফিসে এবং ট্রাম্পের বেডরুমেও ফাইলগুলো রাখা হয়েছিল।
২০২১ সালে দু’টি উপলক্ষ্যে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট কোনো নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়াই গোপনীয় নথি লোকজনকে দেখিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে একজন লেখক ও দুইজন কর্মী সদস্য ছিলেন।
ট্রাম্প ইতোম্যেধই নিউ ইয়র্কে আরেকটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আছেন যার বিচার আগামী মার্চে শুরু হওয়ার কথা।
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক গোপনীয়তা ও সামরিক পরিকল্পনাসহ শত শত রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথির অব্যবস্থাপনার কারণে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৭টি অভিযোগে তাকে তার ফ্লোরিডার বাড়ির বলরুম ও ওয়াশরুমসহ বিভিন্ন জায়গায় রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি রাখা, তদন্তকারীদের কাছে মিথ্যা বলার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি নথিপত্র ব্যবস্থাপনার তদন্তে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
আগামী বছর হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে থাকা ট্রাম্প অন্যায় কিছু করার কথা অস্বীকার করেছেন।
ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী ওয়াল্ট নাউটার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। হোয়াইট হাউজের এই সাবেক সামরিক ভৃত্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এফবিআইয়ের কাছ থেকে লুকানোর জন্য তিনি ফাইল সরিয়ে নিয়েছিলেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮৯ পৃষ্ঠার অভিযোগনামায় প্রথমবারের মতো একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ফেডারেল অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগনামায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার বাক্সগুলোতে যে গোপনীয় নথিগুলো রেখেছিলেন সেগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কর্মসূচীর, যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষা ও অস্ত্র সক্ষমতা, সামরিক আক্রমণ হলে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের সম্ভাব্য দুর্বলতা এবং বাইরে থেকে কোনো হামলা হলে তার প্রতিক্রিয়ায় সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনার তথ্য ছিল।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্টের দপ্তর ছেড়ে যান তখন তিনি প্রায় ৩০০ গোপনীয় ফাইল ফ্লোরিডার পাম বিচে তার সমুদ্র তীরবর্তী মার-এ-লগো বাসভবনে নিয়ে যান, যেটি আবার একটি ব্যক্তিগত সদস্যদের ক্লাবও।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মার-এ-লগোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার সদস্য ও অতিথি এসেছিলেন, তারা ওই বলরুমও ব্যবহার করেছেন যেখানে গোপনীয় অনেক নথি পাওয়া গেছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিখোঁজ নথিগুলো নিয়ে এফবিআইয়ের তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প; বলেছিলেন তার আইনজীবীরা সেগুলো ‘লুকিয়েছে বা ধ্বংস’ করেছে, এমনকী সেগুলো তার কাছে নাই বলেও দাবি করেছিলেন।
অভিযোগপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প তার আইনজীবীদের একজনকে বলেছিলেন, “যদি আমরা তাদের বলি এ ধরনের কোনো কিছু এখানে আমাদের কাছে নেই, তাহলে ভালো হবে না?”
আগামী মঙ্গলবার ফ্লোরিডার মায়ামিতে এই মামলায় প্রথমবারের মতো আদালতে হাজিরা দিতে যাবেন ট্রাম্প। এর একদিন পরই তার ৭৭তম জন্মদিন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় গোপনীয় নথি রাখার বা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য মার-এ-লগো ‘কোনো অনুমোদিত স্থান’ ছিল না।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কিছু ফাইল মার-এ-লগোর বলরুমের মঞ্চে রাখা হয়েছিল, যেখানে অনুষ্ঠান হয়েছে এবং লোকজনের জমায়েত হয়েছিল। পরে বাথরুশ ও গোসলখানা, একটি অফিসে এবং ট্রাম্পের বেডরুমেও ফাইলগুলো রাখা হয়েছিল।
২০২১ সালে দু’টি উপলক্ষ্যে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট কোনো নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়াই গোপনীয় নথি লোকজনকে দেখিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে একজন লেখক ও দুইজন কর্মী সদস্য ছিলেন।
ট্রাম্প ইতোম্যেধই নিউ ইয়র্কে আরেকটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আছেন যার বিচার আগামী মার্চে শুরু হওয়ার কথা।