আমরা ক্লোন করা, অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও চোরাচালানকৃত ফোন বন্ধ করবো। এখানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এসব কথা জানান। তিনি বলেন, অবৈধ ফোনের সাথে সিমের ভুল রেজিস্ট্রেশন/ই-কেওয়াইসি এবং সিম সংক্রান্ত অপরাধ; জুয়ার লিংক এবং এমএলএম প্রতারণার বাল্ক এসএমএস পাঠানো; ভুল এমএফএস রেজিস্ট্রেশন এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত অপরাধ; অনলাইন জুয়া ও স্ক্যামিং; অবৈধ ক্লোন ফোন সংক্রান্ত অপরাধ; প্যাটেন্ট ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন রয়্যালিটি না দেওয়া, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকি, সীমান্ত চোরাচালান এসব বিষয় জড়িত।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এক বছর আগেই কোটি খানেক ফোন এনে দেশকে অবৈধভাবে ডাম্পিং করে ফেলার সুযোগ আর কাউকে দেয়া হবে না। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, কোনো মোবাইল ব্যবসায়ী বা দোকানিদের ব্যবসা নষ্ট করা হচ্ছে না, তারা দেশীয় উৎপাদকদের এবং বৈধভাবে আমদানি করা ফোন বিক্রি করবেন, সৎ পথে ব্যবসা করবেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ১টি ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) কোডের বিপরীতে লাখ লাখ ফোন বানিয়ে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। এনইআইআর চালু হলে যা আর সম্ভব হবে না, এজন্য এনইআইআর বন্ধে মাফিয়া চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এসব লাগেজ পার্টি, ভুয়া এইচএস কোড, সীমান্ত চোরাচালানি, কেজি দরে আমদানির দিন শেষ করতে, এর সাথে জড়িত সব ধরনের ডিজিটাল অপরাধ বিস্তারে লাগাম টানা হবে। এখানে কোনো ছাড় নয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইতিমধ্যে বিটিআরসিতে আলোচনা করা হয়েছে এবং আমদানি শুল্ক কমাতে এনবিআরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক হবে। পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদকদের মূল্য কমাতে বিটিআরসির পক্ষে অনুরোধও জানানো হয়েছে। গ্রাহকের দিক বিবেচনা করে, বৈধ মোবাইল ফোনের দাম কমাতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
পাশাপাশি, বৈধ পথে বিদেশ থেকে আনা ফোনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে বিটিআরসি কাজ করছে। ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগে অ্যাকটিভ সবগুলো ফোন বৈধ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে।
অবৈধভাবে আমদানি করে বা চোরাই ফোন এনে হাইএন্ড ফোনের দাম কমাতে হবে, এটা মানতে রেগুলেটর হিসেবে বিটিআরসি বাধ্য নয়। নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম ক্লোন করা হয়নি, এমন ফোন ব্যবহার করা হলে কখনই ঝামেলায় পড়তে হবে না। তাই সিম সব সময় নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে।
প্রবাসীরা বাইরে থেকে নিয়ম মেনে একটি বা দুটি ফোন ফ্রি আনবেন, নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশন করবেন। কোনো ঝামেলা হবে না। দুটির বেশি ফোনের ক্ষেত্রে এনবিআরের আলাদা নিয়ম রয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন, ডি-রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি সমূহ কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে পাওয়া যৌক্তিক পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয়া হচ্ছে বলেও বিশেষ সহকারী মন্তব্য করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
আমরা ক্লোন করা, অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও চোরাচালানকৃত ফোন বন্ধ করবো। এখানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এসব কথা জানান। তিনি বলেন, অবৈধ ফোনের সাথে সিমের ভুল রেজিস্ট্রেশন/ই-কেওয়াইসি এবং সিম সংক্রান্ত অপরাধ; জুয়ার লিংক এবং এমএলএম প্রতারণার বাল্ক এসএমএস পাঠানো; ভুল এমএফএস রেজিস্ট্রেশন এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত অপরাধ; অনলাইন জুয়া ও স্ক্যামিং; অবৈধ ক্লোন ফোন সংক্রান্ত অপরাধ; প্যাটেন্ট ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন রয়্যালিটি না দেওয়া, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকি, সীমান্ত চোরাচালান এসব বিষয় জড়িত।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এক বছর আগেই কোটি খানেক ফোন এনে দেশকে অবৈধভাবে ডাম্পিং করে ফেলার সুযোগ আর কাউকে দেয়া হবে না। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, কোনো মোবাইল ব্যবসায়ী বা দোকানিদের ব্যবসা নষ্ট করা হচ্ছে না, তারা দেশীয় উৎপাদকদের এবং বৈধভাবে আমদানি করা ফোন বিক্রি করবেন, সৎ পথে ব্যবসা করবেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ১টি ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) কোডের বিপরীতে লাখ লাখ ফোন বানিয়ে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। এনইআইআর চালু হলে যা আর সম্ভব হবে না, এজন্য এনইআইআর বন্ধে মাফিয়া চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এসব লাগেজ পার্টি, ভুয়া এইচএস কোড, সীমান্ত চোরাচালানি, কেজি দরে আমদানির দিন শেষ করতে, এর সাথে জড়িত সব ধরনের ডিজিটাল অপরাধ বিস্তারে লাগাম টানা হবে। এখানে কোনো ছাড় নয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইতিমধ্যে বিটিআরসিতে আলোচনা করা হয়েছে এবং আমদানি শুল্ক কমাতে এনবিআরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক হবে। পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদকদের মূল্য কমাতে বিটিআরসির পক্ষে অনুরোধও জানানো হয়েছে। গ্রাহকের দিক বিবেচনা করে, বৈধ মোবাইল ফোনের দাম কমাতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
পাশাপাশি, বৈধ পথে বিদেশ থেকে আনা ফোনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে বিটিআরসি কাজ করছে। ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগে অ্যাকটিভ সবগুলো ফোন বৈধ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে।
অবৈধভাবে আমদানি করে বা চোরাই ফোন এনে হাইএন্ড ফোনের দাম কমাতে হবে, এটা মানতে রেগুলেটর হিসেবে বিটিআরসি বাধ্য নয়। নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম ক্লোন করা হয়নি, এমন ফোন ব্যবহার করা হলে কখনই ঝামেলায় পড়তে হবে না। তাই সিম সব সময় নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে।
প্রবাসীরা বাইরে থেকে নিয়ম মেনে একটি বা দুটি ফোন ফ্রি আনবেন, নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশন করবেন। কোনো ঝামেলা হবে না। দুটির বেশি ফোনের ক্ষেত্রে এনবিআরের আলাদা নিয়ম রয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন, ডি-রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি সমূহ কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে পাওয়া যৌক্তিক পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয়া হচ্ছে বলেও বিশেষ সহকারী মন্তব্য করেন।