দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের পর্যবেক্ষণকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে বলা হয়, নোয়াব দাবি করেছে যে গত এক বছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বতন্ত্রতাকে ক্ষুণ্ন করেছে—এ বক্তব্য সরকার দৃঢ়ভাবে ও স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সরকার কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকীয়, প্রশাসনিক বা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করেনি। বরং ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সম্প্রচারের মুখেও সংযম দেখিয়েছে। টেলিভিশনের টকশো ও কলামে সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার হলেও তা সেন্সর বা প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি। বরং পূর্ববর্তী সরকারের জোরপূর্বক বন্ধ করা কিছু গণমাধ্যম পুনরায় প্রকাশ ও সম্প্রচারের সুযোগ পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ সবসময় উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। কোনো সাংবাদিককে তার গণমাধ্যম বা সম্পাদকীয় অবস্থানের কারণে সাক্ষাৎকার বা ব্রিফিং থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। সীমিত যোগাযোগের অভিযোগও সত্য নয়।
অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়া নিয়ে নোয়াবের সমালোচনার জবাবে বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্বের ব্যবস্থা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত, যেখানে প্রকৃত সাংবাদিক নয় এমন ব্যক্তিরাও প্রবেশাধিকার পেতেন। বর্তমান সরকার সেই কাঠামো ভেঙে অস্থায়ী পাস ব্যবস্থা চালু করেছে এবং পূর্বের অপমানজনক ধারা সংশোধন করেছে। দীর্ঘমেয়াদী নবায়নের মাধ্যমে নতুন কার্ড ইস্যুর প্রক্রিয়া চলছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, যেসব সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন তা গণমাধ্যম মালিকদের অভ্যন্তরীণ সম্পাদকীয় বা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ফল, সরকারের কোনো চাপ নয়। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে এ দায়িত্ব মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যৌথভাবে ভাগাভাগি হওয়া উচিত। এ বছরের শুরুতে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রস্তাব করেছে সরকার, যা আইনগত সুরক্ষা বাড়াবে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ কমাবে।
সরকার নোয়াবকে পরামর্শ দিয়েছে নিজেদের সংগঠনের ভেতরে আত্মসমালোচনা চালানোর জন্য—বিশেষ করে সাংবাদিকদের মজুরি বঞ্চনা, শ্রম অধিকার থেকে বঞ্চিতকরণ ও অনিরাপদ কর্মপরিবেশের অভিযোগগুলোতে সদস্যদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে হস্তক্ষেপহীন নীতি বজায় রেখেছে, যাতে গণমাধ্যম ভয় বা হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করতে পারে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু স্লোগান নয়, বরং সরকারের নীতির অংশ।
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াবের পর্যবেক্ষণকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে বলা হয়, নোয়াব দাবি করেছে যে গত এক বছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বতন্ত্রতাকে ক্ষুণ্ন করেছে—এ বক্তব্য সরকার দৃঢ়ভাবে ও স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সরকার কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকীয়, প্রশাসনিক বা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করেনি। বরং ইচ্ছাকৃত অপপ্রচার ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সম্প্রচারের মুখেও সংযম দেখিয়েছে। টেলিভিশনের টকশো ও কলামে সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার হলেও তা সেন্সর বা প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি। বরং পূর্ববর্তী সরকারের জোরপূর্বক বন্ধ করা কিছু গণমাধ্যম পুনরায় প্রকাশ ও সম্প্রচারের সুযোগ পেয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ সবসময় উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। কোনো সাংবাদিককে তার গণমাধ্যম বা সম্পাদকীয় অবস্থানের কারণে সাক্ষাৎকার বা ব্রিফিং থেকে বঞ্চিত করা হয়নি। সীমিত যোগাযোগের অভিযোগও সত্য নয়।
অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়া নিয়ে নোয়াবের সমালোচনার জবাবে বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্বের ব্যবস্থা ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত, যেখানে প্রকৃত সাংবাদিক নয় এমন ব্যক্তিরাও প্রবেশাধিকার পেতেন। বর্তমান সরকার সেই কাঠামো ভেঙে অস্থায়ী পাস ব্যবস্থা চালু করেছে এবং পূর্বের অপমানজনক ধারা সংশোধন করেছে। দীর্ঘমেয়াদী নবায়নের মাধ্যমে নতুন কার্ড ইস্যুর প্রক্রিয়া চলছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, যেসব সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন তা গণমাধ্যম মালিকদের অভ্যন্তরীণ সম্পাদকীয় বা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ফল, সরকারের কোনো চাপ নয়। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে এ দায়িত্ব মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যৌথভাবে ভাগাভাগি হওয়া উচিত। এ বছরের শুরুতে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রস্তাব করেছে সরকার, যা আইনগত সুরক্ষা বাড়াবে এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ কমাবে।
সরকার নোয়াবকে পরামর্শ দিয়েছে নিজেদের সংগঠনের ভেতরে আত্মসমালোচনা চালানোর জন্য—বিশেষ করে সাংবাদিকদের মজুরি বঞ্চনা, শ্রম অধিকার থেকে বঞ্চিতকরণ ও অনিরাপদ কর্মপরিবেশের অভিযোগগুলোতে সদস্যদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে হস্তক্ষেপহীন নীতি বজায় রেখেছে, যাতে গণমাধ্যম ভয় বা হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করতে পারে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু স্লোগান নয়, বরং সরকারের নীতির অংশ।