alt

খাগড়াছড়ির অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

একটি মহল খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে এবং ভারত বা ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটছে—স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, এটি ২০১২ সালে রামুর ঘটনার পর আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে মিল রয়েছে। সভার শিরোনাম ছিল: ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কালক্রম: রামুসহ সারা দেশে বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞের ১৩ বছর এবং গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা’।

আলোচনা সভার শুরুতে সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্য দেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যত সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, তার একটিরও বিচার হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও মন্দির ও মাজারে হামলা এবং বৈষম্যবাদী ও জনতুষ্টিবাদীদের নানা তৎপরতা রয়েছে। খাগড়াছড়ির ঘটনাটিও বিব্রতকর। সভার সমাপনী বক্তব্যও দেন তিনি এবং বলেন, ‘রামু নিয়ে যখন আমরা আলোচনা করছি, খাগড়াছড়িতে তখন আগুন জ্বলছে।’

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে এভাবে সমালোচনা করেন: ‘একটির পর এক ব্যর্থতার কারণে এক ব্যক্তির পদত্যাগের দাবি উঠলেও তিনি বসে আছেন। তাঁর নির্লজ্জ হাসি এখনো দেখা যাচ্ছে। কোনো তদন্ত ছাড়াই খাগড়াছড়ির ঘটনায় ভারতের চক্রান্ত দেখছেন। এটি ২০১২ সালে রামুর ঘটনার পর আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। সে সময় বলা হয়েছিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রামুর ঘটনা ঘটেছে। পরে দেখা গেছে হামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই জড়িত। এখনো সেই একই রকম ছাঁচ ও মডেল দেখা যাচ্ছে।’

পাহাড়ের মানুষ বিচ্ছিন্নতা চায় না, গণতান্ত্রিক অধিকার চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাহাড়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সরকারসহ সবাইকে কাজ করতে হবে। পাহাড় ও সেখানকার জমি কার দখলে আছে, তার তালিকা প্রকাশ করলেই বোঝা যাবে কার স্বার্থে অশান্তি টিকিয়ে রাখা হচ্ছে। গত কয়েক দশকে কতজনকে পাহাড় ইজারা দেওয়া হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। সেখানে যাওয়া উন্নয়ন বরাদ্দেরও কোনো হিসাব নেই।

দরকার শক্তির সমাবেশ

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ অনলাইনে প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) ও ‘মব’ সন্ত্রাস নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন কিশোরের নামে অভিযোগ তুলে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে নারীবিদ্বেষী প্রচার ও আক্রমণ হচ্ছে। এর শিকার হয়ে অনেক নারী আর কথাই বলছেন না। সমাজে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মব সন্ত্রাসে জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাচ্ছে না; এর পেছনে শক্তিশালী চক্র ও পরিকল্পনা আছে। জনতাকে উসকানি দিয়ে উত্তেজিত করে মব তৈরি করা হচ্ছে।

নদী দখল, পাথর উত্তোলন, সাম্প্রদায়িক হামলা ও জমি দখলে বিভিন্ন দল–মতের একধরনের ঐক্য দেখা গেলেও এগুলোর বিরুদ্ধে ঐক্য দেখা যায় না। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর এসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসার কথা থাকলেও তা হয়নি। বৈষম্য বৃদ্ধির মতাদর্শ ধারণকারীদের দাপট দেখা যাচ্ছে। তারা কোনো কিছুই শুনতে রাজি নয়। এই অবস্থা বিস্ময়কর নয়। নির্মোহভাবে দেখলে হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। অত্যাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকের পতন হলেও, সম্প্রীতির যাত্রা বা বৈষম্যহীন যাত্রার জন্য আমাদের সামাজিক ও মতাদর্শিক শক্তির সমাবেশ প্রস্তুত ছিল না। সেই শক্তির সমাবেশই অবস্থার পরিবর্তনের একমাত্র শর্ত।’

সভা সঞ্চালনা করেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অর্থনীতিবিদ ও লেখক সুজিত চৌধুরী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য জয়দীপ ভট্টাচার্য, লেখক তাহমিদাল জামী, শিল্পী ও গবেষক অরূপ রাহী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ফেরদৌস আরা রুমি।

ছবি

জাকসু: অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল, ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের জরুরি সংবাদ সম্মেলন

ছবি

খুলনায় সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু: সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা, সিদ্ধান্তে নৌ পুলিশ

ছবি

এক সাংবাদিকের জামিন শুনানিতে আরেক সাংবাদিককে বিচারকের সামনে আইনজীবির মারধর

ছবি

পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করলেন ড. মঈন খান

ছবি

ছবি অস্বীকার, ডিআরইউতে মব সৃষ্টি ও আওয়ামী লীগ আমলের আইন নিয়ে নতুন উদ্যোগে সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

ছবি

খুলনায় সাংবাদিক বুলুর মৃতদেহের সুরতহাল, অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত দাবি

ছবি

মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান আলোচনা: ‘মব হামলা’ মামলায় ১৬ জন কারাগারে

ছবি

ডিআরইউতে আলোচনায় ‘মব হামলা’, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদ প্রতিবাদে সরব

ছবি

নজরুল প্রয়াণ দিবসে বিটিভিতে ‘আলেয়া’ ও অন্যান্য

ছবি

হত্যা মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি পাঁচ দিনের রিমান্ডে

ছবি

বিভুরঞ্জন  ময়নাতদন্ত সম্পন্ন : মুন্সিগঞ্জ থেকে লাশ হস্তান্তর, ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন স্বজনরা

ছবি

আসাদুল হক বাবু হত্যা মামলা : মাইটিভি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী রিমান্ড শেষে কারাগারে

ছবি

সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন, বিকালে ঢাকায় শেষকৃত্যের প্রস্তুতি

ছবি

সংবাদের প্রবীণ সাংবাদিক রুকুনউদ্দৌলাহ মারা গেছেন

ছবি

নিখোঁজের এক দিন পর সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মৃতদেহ পাওয়া গেলো মেঘনায়

ছবি

সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার নিখোঁজ, রমনা থানায় জিডি

ছবি

মাইটিভি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের মতে, জুলাই সনদে রয়েছে প্রগতিশীল সংস্কার

ছবি

ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান সম্পাদক শামসুরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত ও ঢালাও অভিযোগের প্রতিবাদ সম্পাদক পরিষদের

ছবি

মোজাম্মেল বাবুকে আবার গ্রেপ্তার দেখানো হলো, এবার ‘চাঁদাবাজির মামলায়’

ছবি

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নোয়াবের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার

ছবি

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা বাতিল হাই কোর্টে

ছবি

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নোয়াবের উদ্বেগ

ছবি

গণমাধ্যমের মালিকানা ব্যবসাকেন্দ্রিক, সাংবাদিকতা পুঁজি রক্ষার হাতিয়ার: আলী রীয়াজ

ছবি

আবদুল কাদেরের অভিযোগের জবাবে সাদিক কায়েমের ব্যাখ্যা

ছবি

প্রেস কাউন্সিলের নতুন কমিটিতে মাহফুজ আনাম ও নুরুল কবীর

ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নঈম নিজামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

নারী সাংবাদিকদের প্রযুক্তি ও নৈতিকতা বিষয়ে তিন দিনের প্রশিক্ষণ শেষ

ছবি

নারী সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সমাপ্ত হলো দুইদিনের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ

নিবন্ধন পেল অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘দ্য নিউজ ২৪ ডটকম’

ছবি

সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষা অধ্যাদেশসহ নানা সংস্কার উদ্যোগ ঘোষণা

মিডিয়ার প্রতি হুমকি,জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্বেগ

ছবি

নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন, আবু সাউদ মাসুদ সভাপতি, বিল্লাল হোসেন রবিন সহসভাপতি ও আফজাল হোসেন পন্টি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের অভিযোগ আইএসপিআরের

ছবি

সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫: নতুন ধারায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

tab

খাগড়াছড়ির অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

একটি মহল খাগড়াছড়িতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে এবং ভারত বা ফ্যাসিস্টদের ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটছে—স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, এটি ২০১২ সালে রামুর ঘটনার পর আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে মিল রয়েছে। সভার শিরোনাম ছিল: ‘সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কালক্রম: রামুসহ সারা দেশে বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞের ১৩ বছর এবং গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা’।

আলোচনা সভার শুরুতে সংক্ষিপ্ত সূচনা বক্তব্য দেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যত সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, তার একটিরও বিচার হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও মন্দির ও মাজারে হামলা এবং বৈষম্যবাদী ও জনতুষ্টিবাদীদের নানা তৎপরতা রয়েছে। খাগড়াছড়ির ঘটনাটিও বিব্রতকর। সভার সমাপনী বক্তব্যও দেন তিনি এবং বলেন, ‘রামু নিয়ে যখন আমরা আলোচনা করছি, খাগড়াছড়িতে তখন আগুন জ্বলছে।’

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে এভাবে সমালোচনা করেন: ‘একটির পর এক ব্যর্থতার কারণে এক ব্যক্তির পদত্যাগের দাবি উঠলেও তিনি বসে আছেন। তাঁর নির্লজ্জ হাসি এখনো দেখা যাচ্ছে। কোনো তদন্ত ছাড়াই খাগড়াছড়ির ঘটনায় ভারতের চক্রান্ত দেখছেন। এটি ২০১২ সালে রামুর ঘটনার পর আওয়ামী লীগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। সে সময় বলা হয়েছিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রামুর ঘটনা ঘটেছে। পরে দেখা গেছে হামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই জড়িত। এখনো সেই একই রকম ছাঁচ ও মডেল দেখা যাচ্ছে।’

পাহাড়ের মানুষ বিচ্ছিন্নতা চায় না, গণতান্ত্রিক অধিকার চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাহাড়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সরকারসহ সবাইকে কাজ করতে হবে। পাহাড় ও সেখানকার জমি কার দখলে আছে, তার তালিকা প্রকাশ করলেই বোঝা যাবে কার স্বার্থে অশান্তি টিকিয়ে রাখা হচ্ছে। গত কয়েক দশকে কতজনকে পাহাড় ইজারা দেওয়া হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই। সেখানে যাওয়া উন্নয়ন বরাদ্দেরও কোনো হিসাব নেই।

দরকার শক্তির সমাবেশ

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ অনলাইনে প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) ও ‘মব’ সন্ত্রাস নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন কিশোরের নামে অভিযোগ তুলে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনে নারীবিদ্বেষী প্রচার ও আক্রমণ হচ্ছে। এর শিকার হয়ে অনেক নারী আর কথাই বলছেন না। সমাজে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। মব সন্ত্রাসে জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাচ্ছে না; এর পেছনে শক্তিশালী চক্র ও পরিকল্পনা আছে। জনতাকে উসকানি দিয়ে উত্তেজিত করে মব তৈরি করা হচ্ছে।

নদী দখল, পাথর উত্তোলন, সাম্প্রদায়িক হামলা ও জমি দখলে বিভিন্ন দল–মতের একধরনের ঐক্য দেখা গেলেও এগুলোর বিরুদ্ধে ঐক্য দেখা যায় না। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর এসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসার কথা থাকলেও তা হয়নি। বৈষম্য বৃদ্ধির মতাদর্শ ধারণকারীদের দাপট দেখা যাচ্ছে। তারা কোনো কিছুই শুনতে রাজি নয়। এই অবস্থা বিস্ময়কর নয়। নির্মোহভাবে দেখলে হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। অত্যাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসকের পতন হলেও, সম্প্রীতির যাত্রা বা বৈষম্যহীন যাত্রার জন্য আমাদের সামাজিক ও মতাদর্শিক শক্তির সমাবেশ প্রস্তুত ছিল না। সেই শক্তির সমাবেশই অবস্থার পরিবর্তনের একমাত্র শর্ত।’

সভা সঞ্চালনা করেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অর্থনীতিবিদ ও লেখক সুজিত চৌধুরী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য জয়দীপ ভট্টাচার্য, লেখক তাহমিদাল জামী, শিল্পী ও গবেষক অরূপ রাহী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ফেরদৌস আরা রুমি।

back to top