বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রির কথা প্রায়ই শোনা যায় । চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ দাম বৃদ্ধি পেলে মিল মালিক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ েকরতে শুনু করেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে এবং চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে আজ বুধবার একটি পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
পরিপত্রে জানানো হয় ,চালের উৎপাদনকারী মিল মালিকরা গুদাম হতে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে।
ধানের জাতের নাম, প্রস্তুতকারক, ঠিকানা (উপজেলা ও জেলা), নিট ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্যের এই তথ্যগুলো ছক মোতাবেক লেখা থাকতে হবে। বস্তার ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি কালিতে হাত দিয়ে লেখা যাবে না। চাল উৎপাদনকারী সকল মিলমালিক (অটো/হাস্কিং) কর্তৃক সরবরাহকৃত সকল প্রকার চালের ৫০ কেজি ,২৫ কেজি ,১০ কেজি, ৫ কেজি, ২ কেজি, ১ কেজি বস্তা বা প্যাকেটের ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি মুদ্রিত থাকতে হবে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।
রাইস মিল (অটোমেটিক ও হাস্কিং) থেকে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সরবরাহকৃত চালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং ‘উৎপাদন ও সরবরাহ’ মূল্য অবহিতকরণ সংক্রান্ত পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন।
এ পরিপত্রের আলোকে সকল জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য পরিদর্শকগণ পরিদর্শনকালে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
ধারা-৬ এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। ধারা-৭ এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদন্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ড।
আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এ পরিপত্রের নির্দেশ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রির কথা প্রায়ই শোনা যায় । চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ দাম বৃদ্ধি পেলে মিল মালিক, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ েকরতে শুনু করেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমত জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে এবং চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে আজ বুধবার একটি পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
পরিপত্রে জানানো হয় ,চালের উৎপাদনকারী মিল মালিকরা গুদাম হতে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করতে হবে।
ধানের জাতের নাম, প্রস্তুতকারক, ঠিকানা (উপজেলা ও জেলা), নিট ওজন, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্যের এই তথ্যগুলো ছক মোতাবেক লেখা থাকতে হবে। বস্তার ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি কালিতে হাত দিয়ে লেখা যাবে না। চাল উৎপাদনকারী সকল মিলমালিক (অটো/হাস্কিং) কর্তৃক সরবরাহকৃত সকল প্রকার চালের ৫০ কেজি ,২৫ কেজি ,১০ কেজি, ৫ কেজি, ২ কেজি, ১ কেজি বস্তা বা প্যাকেটের ওপর উল্লিখিত তথ্যাদি মুদ্রিত থাকতে হবে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিলগেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।
রাইস মিল (অটোমেটিক ও হাস্কিং) থেকে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সরবরাহকৃত চালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং ‘উৎপাদন ও সরবরাহ’ মূল্য অবহিতকরণ সংক্রান্ত পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন।
এ পরিপত্রের আলোকে সকল জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য পরিদর্শকগণ পরিদর্শনকালে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
ধারা-৬ এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। ধারা-৭ এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদন্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ড।
আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এ পরিপত্রের নির্দেশ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।