ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই লঞ্চের পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নৌপুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, “তাসরিফ-৪ এবং ফারহান-৬ নামের লঞ্চের পাঁচজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসা করছি। এখনো মামলা রুজু হয়নি। তাই তাদের গ্রেপ্তার বলা যাবে না।"
ঈদের দিন বেলা ৩টার দিকে একটি লঞ্চের ছিঁড়ে যাওয়া রশির আঘাতে সদরঘাট টার্মিনালের পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী প্রাণ হারান।
তারা হলেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার মাটিচোরা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বিল্লাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬), তাদের মেয়ে মাইশা (৩); পটুয়াখালী সদরের জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন হাওলাদার (৩৮) এবং ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ কাফীর ছেলে রবিউল (১৯)।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ রশি দিয়ে সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে এমভি ফারহান-৬ নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়।
ওই রশির আঘাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। কেউ কেউ পাশে থাকা লঞ্চের সঙ্গে বাড়িও খায়।
নৌপুলিশের ঢাকা অঞ্চলের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, “ওই যাত্রীরা পন্টুনে ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, ছিঁড়ে যাওয়া রশির আঘাতেই তাদের মৃত্যু হয়।”
এ ঘটনায় এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাসরিফ-৪ এর রুট পারমিট বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ঘটনা তদন্তে সংস্থাটির তরফে তিন সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সারাদেশ: তারেক রহমান কখন রওনা করবেন
সারাদেশ: বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যা
খেলা: মোহামেডান-কিংস ম্যাচ ড্র