প্রায় ৪ দিনের বেশি বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে সারাদেশে সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা সম্ভব হয়েছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাংকিং খাত, কূটনীতিক অঞ্চল, বাণিজ্যিক এলাকা, গণমাধ্যম এলাকা, প্রযুক্তি খাত, পোশাক খাত, রপ্তানিমুখী বাণিজ্যিক এলাকা, বিমানবন্দর এলাকা, সমুদ্র বন্দর এলাকায় অগ্রাধিকার বিবেচনায় ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এর আওতা বাড়ানো হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গত কয়েকদিন ধরে পুরো দেশ ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আমরা আইআইজি, আইএসপিএবি এবং সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় আমাদের ডেটা সেন্টার মেরামত এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ফাইবার অপটিক ক্যাবল পুনঃসংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সক্ষম হয়েছি।
এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইন্টারনেট ব্যবহারে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা নিউ মিড়িয়াতে কোনো মিথ্যা তথ্য দেখে বা গুজবে, কোনো প্রকার ভেরিফাই না করে বিভ্রান্ত বা আবেগতাড়িত না হয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করার পরও দেখা যাবে কিছু এলাকায় ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সমস্যার জন্য হয়তো সংযোগে সমস্যা হতে পারে, সেগুলো আমাদের ইন্টারনেট সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করে যাবে।
পলক জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইল ফোন ইন্টারনেট বিষয়ে সিদ্ধান্ত আপাতত নেয়া হয়নি। এ সব বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে গুগলের সেবা পাওয়া যাবে।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনও আমরা পুরোপুরি সব এসেসমেন্ট সম্পন্ন করতে পারিনি, তবে আনুমানিক কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালির ক্ষতিগ্রস্থ খাজা টাওয়ারের ডেটা সেন্টার পরিদর্শন করে প্রতিমন্ত্রী জানান, সহিসংতায় ক্ষতিগ্রস্থ ইন্টারনেট অবকাঠামোর ৭০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, বাকি কাজ সম্পন্ন করার পর সচল করা হবে ইন্টারনেট।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর এক সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ জানান, শুধুমাত্র আইসিটি রপ্তানিতেই প্রতিদিন ক্ষতি ৭০-৮০ কোটি টাকা। বিগত ৫দিনে এই ক্ষতির পরিমাণ ৪০০ কোটির অধিক। এ অবস্থা চলতে থাকলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ হবার উপক্রম হবে। এতে দেশের বিপুল সংখ্যক আইটি প্রফেশনাল চাকরি হারাবে। বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের পরিবর্তে তুলনামূলক সুবিধাজনক অন্য কোনো বিকল্প দেশ খুজবে। কয়েক লক্ষ আইটি ফ্রিল্যান্সার কাজ হারাবে। সবমিলিয়ে সরকারের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪
প্রায় ৪ দিনের বেশি বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে সারাদেশে সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা সম্ভব হয়েছে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাংকিং খাত, কূটনীতিক অঞ্চল, বাণিজ্যিক এলাকা, গণমাধ্যম এলাকা, প্রযুক্তি খাত, পোশাক খাত, রপ্তানিমুখী বাণিজ্যিক এলাকা, বিমানবন্দর এলাকা, সমুদ্র বন্দর এলাকায় অগ্রাধিকার বিবেচনায় ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এর আওতা বাড়ানো হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গত কয়েকদিন ধরে পুরো দেশ ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আমরা আইআইজি, আইএসপিএবি এবং সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় আমাদের ডেটা সেন্টার মেরামত এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ফাইবার অপটিক ক্যাবল পুনঃসংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সক্ষম হয়েছি।
এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইন্টারনেট ব্যবহারে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা নিউ মিড়িয়াতে কোনো মিথ্যা তথ্য দেখে বা গুজবে, কোনো প্রকার ভেরিফাই না করে বিভ্রান্ত বা আবেগতাড়িত না হয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করার পরও দেখা যাবে কিছু এলাকায় ফাইবার অপটিক ক্যাবলের সমস্যার জন্য হয়তো সংযোগে সমস্যা হতে পারে, সেগুলো আমাদের ইন্টারনেট সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করে যাবে।
পলক জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইল ফোন ইন্টারনেট বিষয়ে সিদ্ধান্ত আপাতত নেয়া হয়নি। এ সব বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে গুগলের সেবা পাওয়া যাবে।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনও আমরা পুরোপুরি সব এসেসমেন্ট সম্পন্ন করতে পারিনি, তবে আনুমানিক কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে মহাখালির ক্ষতিগ্রস্থ খাজা টাওয়ারের ডেটা সেন্টার পরিদর্শন করে প্রতিমন্ত্রী জানান, সহিসংতায় ক্ষতিগ্রস্থ ইন্টারনেট অবকাঠামোর ৭০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, বাকি কাজ সম্পন্ন করার পর সচল করা হবে ইন্টারনেট।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ চালু হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর এক সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ জানান, শুধুমাত্র আইসিটি রপ্তানিতেই প্রতিদিন ক্ষতি ৭০-৮০ কোটি টাকা। বিগত ৫দিনে এই ক্ষতির পরিমাণ ৪০০ কোটির অধিক। এ অবস্থা চলতে থাকলে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ হবার উপক্রম হবে। এতে দেশের বিপুল সংখ্যক আইটি প্রফেশনাল চাকরি হারাবে। বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের পরিবর্তে তুলনামূলক সুবিধাজনক অন্য কোনো বিকল্প দেশ খুজবে। কয়েক লক্ষ আইটি ফ্রিল্যান্সার কাজ হারাবে। সবমিলিয়ে সরকারের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।