চার দফা দাবি পূরণে সরকারকে দুইদিনের আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আহুত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরেন অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

দাবিগুলো হচ্ছে, ইন্টারনেট সচল করতে হবে ২, কারফিউ তুলতে হবে ৩, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার করে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং ৪, আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এই চারটি দাবি পূরণের পর আগের আটটি দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তারা।

সবগুলো দাবির সুরাহা হলে কোটা বিষয়ে তাদের এই আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা হতে পারে বলেন তারা। আদালতের রায় অনুসারে কোটা বাতিলের সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এই আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এই প্রজ্ঞাপনের আগে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ করা হয়নি।

কোটার বিষয়ে একটি স্বাধীন কমিশন প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তিনি, যেই কমিশন ছাত্রসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

এছাড়া কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতদের গুম, গ্রেপ্তারসহ বিভিন্ন নির্যাতনের অভিযোগ এনে সেগুলো বন্ধেরও দাবি জানান কোটা আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।

এছাড়া কোটা আন্দোলন শুরুর পর থেকে কোটা আন্দোলন দমন পীড়নের জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরেক সমন্বয়ক বলেন, ইন্টারনেট চালু না থাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে সমন্বয় করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে তাদের বিবৃতি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্ট হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ইন্টারনেট চালুর দাবি জানান তারা।

আন্দোলনের সমন্বয়কেরা আরও বলেন, কোটা আন্দোলনের দাবিগুলোর বিষয়ে সরকার আগে সাড়া দিলে এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না। ফলে সরকার এসব ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার এড়াতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তাদের আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক-আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের ও রিফাত রশীদ ১৮ তারিখ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ভীতি ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে আন্দোলনের এই সমন্বয়কেরা।