আবারও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ভেসে আসছে গুলির শব্দ। ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত থেকে এ গুলির শব্দ শুনতে পান কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবাসীরা। এরই মধ্যে মায়ানমারে চলমান সংঘাতের জের ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মংডু আরাকান আর্মির দখলে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশ ও মায়ানমারে দুই পারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে। রাখাইন রাজ্যে এখনও পাঁচ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে। তাদের সঙ্গে আরাকান আর্মির বিরোধ রয়েছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে টহল জোরদার করেছে কোস্টগার্ড ও বিজিবি।
প্রায় এক বছর ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছিল। কিন্তু রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে যাওয়ার পর বন্ধ ছিল গোলাগুলির শব্দ। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে আবারও ওপার থেকে ভেসে আসছে গুলির শব্দ।
এরই মধ্যে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জারি নিষেধাজ্ঞা। টেকনাফের কোনো নৌ-যান যেনো বাংলাদেশে জলসীমা ছাড়িয়ে মায়ানমারের জলসীমায় না যায়, সেজন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। এই নৌ-রুটে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল করবে কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায়।
গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সেখানকার জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকার আর্মি। তারপর নাফনদীর মায়ানমার অংশে নৌ-চলাচলে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেয় আরাকার আর্মি। এরপরই গত বুধবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তবে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এহসান উদ্দিন। বিগত সরকারের সময় থেকে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও নাফনদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। তবে সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার যাতায়াত করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই যেন সেগুলো বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে মায়ানমারের কাছাকাছি না যায় সেজন্য বিশেষ সতর্কতা নেয়া হচ্ছে।
গত বুধবার নিষেধাজ্ঞা জারির পর বৃহস্পতিবারও নাফ নদীতে নৌ-যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেন্টমার্টিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছানো হয় বিশেষ ব্যবস্থায়। কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সেদিন সেন্টমার্টিন যায় সাতটি পণ্যবাহী ট্রলার।
আরাকান আর্মি মায়ানমারের মংডু শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর বন্ধই ছিল ওপার থেকে ভেসে আসা বিষ্ফোরণের শব্দ। তবে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, গত সোমবারের পর ওপার থেকে কোনো শব্দ শোনা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত আবার গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা আগের মতো বিকট না। ধারণা করা হচ্ছে, স্থলভাগে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মায়ানমারের জান্তা বাহিনী বা তাদের সমর্থিত রোহিঙ্গা গোষ্ঠী আত্মগোপনে থাকা জায়গা ঘিরে এমন গোলাগুলি হতে পারে।
সাবরাং ইউনিয়নের সদস্য শরীফ আহমদ বলেন, শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ার পূর্বে মায়ানমারের মগনীপাড়া, পতুংজা পাড়া, সাবারংয়ের আচারবুনিয়া এলাকার পূর্বে মায়ানমারের সুধাপাড়া, উকিল পাড়া, সিকদার পাড়া, ফয়েজীপাড়া এলাকা থেকে আসছে এসব গোলাগুলির শব্দ।
টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, মায়ানমারে এমন পরিস্থিতিতে নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশের সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কতার পাশাপাশি টহল জোরদার করেছে।
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
আবারও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ভেসে আসছে গুলির শব্দ। ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত থেকে এ গুলির শব্দ শুনতে পান কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবাসীরা। এরই মধ্যে মায়ানমারে চলমান সংঘাতের জের ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মংডু আরাকান আর্মির দখলে চলে যাওয়ায় বাংলাদেশ ও মায়ানমারে দুই পারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে। রাখাইন রাজ্যে এখনও পাঁচ লাখের মতো রোহিঙ্গা আছে। তাদের সঙ্গে আরাকান আর্মির বিরোধ রয়েছে। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে টহল জোরদার করেছে কোস্টগার্ড ও বিজিবি।
প্রায় এক বছর ধরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাত চলছিল। কিন্তু রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে যাওয়ার পর বন্ধ ছিল গোলাগুলির শব্দ। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে আবারও ওপার থেকে ভেসে আসছে গুলির শব্দ।
এরই মধ্যে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জারি নিষেধাজ্ঞা। টেকনাফের কোনো নৌ-যান যেনো বাংলাদেশে জলসীমা ছাড়িয়ে মায়ানমারের জলসীমায় না যায়, সেজন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। এই নৌ-রুটে জরুরি প্রয়োজনে যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল করবে কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায়।
গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সেখানকার জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকার আর্মি। তারপর নাফনদীর মায়ানমার অংশে নৌ-চলাচলে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা দেয় আরাকার আর্মি। এরপরই গত বুধবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তবে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এহসান উদ্দিন। বিগত সরকারের সময় থেকে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও নাফনদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। তবে সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার যাতায়াত করতে পারবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই যেন সেগুলো বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে মায়ানমারের কাছাকাছি না যায় সেজন্য বিশেষ সতর্কতা নেয়া হচ্ছে।
গত বুধবার নিষেধাজ্ঞা জারির পর বৃহস্পতিবারও নাফ নদীতে নৌ-যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেন্টমার্টিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছানো হয় বিশেষ ব্যবস্থায়। কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সেদিন সেন্টমার্টিন যায় সাতটি পণ্যবাহী ট্রলার।
আরাকান আর্মি মায়ানমারের মংডু শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর বন্ধই ছিল ওপার থেকে ভেসে আসা বিষ্ফোরণের শব্দ। তবে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, গত সোমবারের পর ওপার থেকে কোনো শব্দ শোনা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত আবার গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা আগের মতো বিকট না। ধারণা করা হচ্ছে, স্থলভাগে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মায়ানমারের জান্তা বাহিনী বা তাদের সমর্থিত রোহিঙ্গা গোষ্ঠী আত্মগোপনে থাকা জায়গা ঘিরে এমন গোলাগুলি হতে পারে।
সাবরাং ইউনিয়নের সদস্য শরীফ আহমদ বলেন, শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ার পূর্বে মায়ানমারের মগনীপাড়া, পতুংজা পাড়া, সাবারংয়ের আচারবুনিয়া এলাকার পূর্বে মায়ানমারের সুধাপাড়া, উকিল পাড়া, সিকদার পাড়া, ফয়েজীপাড়া এলাকা থেকে আসছে এসব গোলাগুলির শব্দ।
টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, মায়ানমারে এমন পরিস্থিতিতে নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশের সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কতার পাশাপাশি টহল জোরদার করেছে।