স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও জনবল সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ওষুধের ওপর বাড়ানো ভ্যাট কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। আজ শনিবার দুপুরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওষুধে ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, “আমরা কেবিনেটে এ ভ্যাট না বাড়ানোর সুপারিশ করেছিলাম। তবে অর্থ উপদেষ্টা দেশের সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি দেশের টাকাপয়সা ও ডলারের সংকট মোকাবিলা করছেন। আশা করছি, আগামীতে ওষুধের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগের সরকারের রেখে যাওয়া ঋণ পরিশোধ ও ডলারের সংকটের কারণে আমাদের সারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যও কম পরিমাণে কিনতে হয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান বুঝে-শুনেই করতে হয়েছে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা জানান, প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নির্বাচন ডিসেম্বর নাগাদ হতে পারে। তবে সংস্কারের প্রেক্ষিতে যদি প্রয়োজন হয়, তা জুনেও হতে পারে।
স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, “আমি এখনো জানি না তারা কী কী প্রস্তাব দেবে। তবে আমরা তাদের বলেছি, এমন কিছু স্বল্পমেয়াদি প্রস্তাব দিতে, যেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব।”
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রসঙ্গে নূরজাহান বেগম বলেন, “স্বাস্থ্য খাতে অনেক দুর্নীতির চিত্র রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিল্ডিং তৈরি হলেও ম্যানপাওয়ার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে সেগুলো অচল হয়ে আছে। ময়মনসিংহে ২২টি বিল্ডিং তৈরি হলেও কার্যকর কোনো হাসপাতাল চালু হয়নি। মানিকগঞ্জে কেনা দুটি এমআরআই মেশিনও কাজ করছে না। এসব সমস্যা দুর্নীতির ফলাফল। আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যা দুর্নীতিকে নির্মূল করবে।”
হাসপাতালে জনবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা হঠাৎ করেই ডাক্তার বা নার্স তৈরি করতে পারব না। তাই আমাদের বর্তমান জনবল ও সম্পদ বিবেচনায় কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করছি।”
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জলাবদ্ধতার সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিষয়টি শুনেছি এবং সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়েছি। এর সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এ সফরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালক এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য খাতের এই সমস্যাগুলোর সমাধানে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন নূরজাহান বেগম।
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও জনবল সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ওষুধের ওপর বাড়ানো ভ্যাট কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। আজ শনিবার দুপুরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওষুধে ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, “আমরা কেবিনেটে এ ভ্যাট না বাড়ানোর সুপারিশ করেছিলাম। তবে অর্থ উপদেষ্টা দেশের সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি দেশের টাকাপয়সা ও ডলারের সংকট মোকাবিলা করছেন। আশা করছি, আগামীতে ওষুধের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আগের সরকারের রেখে যাওয়া ঋণ পরিশোধ ও ডলারের সংকটের কারণে আমাদের সারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যও কম পরিমাণে কিনতে হয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান বুঝে-শুনেই করতে হয়েছে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা জানান, প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নির্বাচন ডিসেম্বর নাগাদ হতে পারে। তবে সংস্কারের প্রেক্ষিতে যদি প্রয়োজন হয়, তা জুনেও হতে পারে।
স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, “আমি এখনো জানি না তারা কী কী প্রস্তাব দেবে। তবে আমরা তাদের বলেছি, এমন কিছু স্বল্পমেয়াদি প্রস্তাব দিতে, যেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব।”
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রসঙ্গে নূরজাহান বেগম বলেন, “স্বাস্থ্য খাতে অনেক দুর্নীতির চিত্র রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বিল্ডিং তৈরি হলেও ম্যানপাওয়ার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে সেগুলো অচল হয়ে আছে। ময়মনসিংহে ২২টি বিল্ডিং তৈরি হলেও কার্যকর কোনো হাসপাতাল চালু হয়নি। মানিকগঞ্জে কেনা দুটি এমআরআই মেশিনও কাজ করছে না। এসব সমস্যা দুর্নীতির ফলাফল। আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যা দুর্নীতিকে নির্মূল করবে।”
হাসপাতালে জনবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা হঠাৎ করেই ডাক্তার বা নার্স তৈরি করতে পারব না। তাই আমাদের বর্তমান জনবল ও সম্পদ বিবেচনায় কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করছি।”
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জলাবদ্ধতার সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিষয়টি শুনেছি এবং সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে প্রস্তাব চেয়েছি। এর সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এ সফরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, উপপরিচালক এবং মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য খাতের এই সমস্যাগুলোর সমাধানে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন নূরজাহান বেগম।