ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারী, পুরুষ ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের সুযোগ থাকবে এ হালনাগাদে।
নিবন্ধনের জন্য এবার ভোটারযোগ্য প্রায় ১৯ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ হতে পারে বলে মনে করছে ইসি।
সারাদেশে তথ্যসংগ্রহকারীসহ অন্তত ৬৫ হাজার লোকবল নিয়োজিত থাকবে এ কাজে।
সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সাভারে তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের (২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি বয়স আঠারো বছর) তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার কার্যক্রমে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন সিইসি।
নারীদের ভোটার হতে কম আগ্রহ থাকার নানা কারণ উল্লেখ করে স্থানীয় পর্যায়ে সবার সহযোগিতা যেমন চাওয়া হয়েছে, তেমনি বিদেশি নাগরিকদের ভোটার হওয়ার অপতৎপরতার বিষয়েও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
সোমবার থেকে শুরু হয়ে দেশজুড়ে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের পর বায়োমেট্রিকস নেওয়া, ছবি তোলার কাজ করা হবে। জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
রোববার নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা ছয় মাসের জন্য প্ল্যান করেছি; কিছু কমবেশি হতে পারে। টার্গেট হচ্ছে- ছয় মাসের মধ্যে যাতে শেষ করতে পারি।”
মাঠ কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা
হালনাগাদ কার্যক্রমকে সামনে রেখে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে ইসি সচিবালয়।
ভোটারযোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করা, তথ্য যাচাই, নারী ভোটাররা যাতে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা, ভিনদেশিদের যাতে তথ্য সংগ্রহ করা না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে মাঠ কর্মকর্তাদের। পরিপত্র-৬ এ ১৬ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
>> ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ও বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা;
>> তথ্য সংগ্রহকালে কোনো ব্যক্তির তথ্য ফরম পূরণের পূর্বে তিনি ইতোপূর্বে ভোটার হয়েছেন কি না তা অবশ্যই নিশ্চিত করা;
>> বাদ পড়া ভোটারদের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার কারণ যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হওয়া;
>> কোনো ব্যক্তির নামের আগে বা পরে কোনো পেশা, খেতাব, পদবি, অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সংযুক্ত না করা;
>> ভোটারযোগ্য ব্যক্তির বাংলা নামের ইংরেজি বানান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা;
>> বাড়ি বাড়ি গমনের সময় ভোটারযোগ্য অনুপুস্থিত ব্যক্তিদের তথ্যাদি অবশ্যই রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা;
>> নিবন্ধন কেন্দ্রে আসার জন্য নিবন্ধন স্লিপ (ফরম-৫) ফরম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করা;
>> সুপারভাইজার কর্তৃক তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রতিদিনের তথ্য সংগ্রহের কাজ তদারকি ও নমুনা যাচাই করা;
>> সুপারভাইজাররা তথ্য সংগ্রহকারীর পূরণকৃত ফরমের কিছু অংশ দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গমন করে শুদ্ধতা যাচাই করা এবং কোনো ভুল ধরা পড়লে তা শুদ্ধ করা;
>> ভোটারযোগ্য নারীদের নিবন্ধনের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা, অর্থাৎ কোনোক্রমেই ভোটারযোগ্য কোনো নারী যেন বাদ না পড়েন তা তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার কর্তৃক নিশ্চিত করা;
>> নিবন্ধন ফরম পূরণকারীদের নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা;
>> বিশেষ এলাকার জন্য তথ্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেওয়া। বিশেষ তথ্য ফরম পূরণের সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করে অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষ এলাকাসমূহের জন্য নিবন্ধন ফরম-২ এর সঙ্গে বিশেষ তথ্য ফরমও পূরণ করা;
>> এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ভোটার স্থানান্তরের আবেদন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ভোটার কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন অফিসারের নিকট দাখিল করা;
>> মৃত ভোটারের নাম কর্তনের জন্য ফরম-১২ এ তথ্য সংগ্রহকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। কোনোক্রমেই জীবিত ভোটারের নাম মৃত হিসেবে যেন তথ্য সংগ্রহ না করা হয় সেজন্য সতর্ক থাকা;
>> সুপারভাইজার, তথ্য সংগ্রহকারী ও শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সুস্পষ্টভাবে লিখা; এবং
>> কোনোক্রমেই রোহিঙ্গা এবং ভিনদেশি ব্যক্তিদের তথ্য যেন সংগৃহীত না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা।
নারী ভোটারদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততার নির্দেশনা
ভোটারযোগ্য নারীদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে ও তথ্য সংগ্রহের ব্যাপক প্রচার চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। ইতোমধ্যে নারী ভোটার কম হওয়ার বিষয়ে কিছু কারণের কথা তুলে ধরে হালনাগাদের স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভোটার এভাবে কমে যাওয়ার পেছনে আটটি কারণ চিহ্নিত করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। সেগুলো মোকাবিলার চেষ্টাও করা হচ্ছে।
বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নারী ভোটার কম হওয়ার বিষয়ে লক্ষ্য করা গেছে-
>> নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহে অনীহা;
>> হিন্দু অবিবাহিত মেয়েদের পিত্রালয়ে নিবন্ধন করতে অনীহা;
>> অবিবাহিত, অনগ্রসর ও নিরক্ষর মেয়েদের ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কম আগ্রহ;
>> বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে ব্যর্থতা;
>> রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র দূরবর্তী হওয়া;
>> আবহাওয়া অনুকূল না থাকা;
>> সামাজিক কুসংস্কার ও ধর্মীয় অজুহাতে ছবি তুলতে অনীহা এবং
>> প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের অসচেতনতা অন্যতম।
পরিপত্র-৪ এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নারীদের অন্তর্ভুক্তির হার যেন উল্লেখযোগ্যভাবে কম না হয়, সেজন্য হালনাগাদ কার্যক্রমের সময় সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (বিশেষ করে সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা), দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও গ্রাম পুলিশ বা চৌকিদার-দফাদারকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
এ ছাড়া হালনাগাদ কার্যক্রমে নারীদের নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিশেষ করে নারী জনপ্রতিনিধি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্যসহ সাধারণ আসনের বিপরীতে নির্বাচিত মহিলা জনপ্রতিনিধি) সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
এরইমধ্যে বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা বা থানা, সিটি করপোরেশন পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
“জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে তাদের প্রচারের কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে” বলেছে ইসি।
গত ২ জানুয়ারি চলতি বছরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জনের নাম।
সবশেষ গতবছর ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটার ছিলেন ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি।
এরপর ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন, এ বছরের হালনাগাদে তারা তালিকায় যুক্ত হলেন। নতুন ভোটারদের নিয়ে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। ২ মার্চ তাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে।
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারী, পুরুষ ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভোটারযোগ্য নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের সুযোগ থাকবে এ হালনাগাদে।
নিবন্ধনের জন্য এবার ভোটারযোগ্য প্রায় ১৯ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ হতে পারে বলে মনে করছে ইসি।
সারাদেশে তথ্যসংগ্রহকারীসহ অন্তত ৬৫ হাজার লোকবল নিয়োজিত থাকবে এ কাজে।
সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সাভারে তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের (২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি বয়স আঠারো বছর) তথ্য সংগ্রহ ও প্রচার কার্যক্রমে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন সিইসি।
নারীদের ভোটার হতে কম আগ্রহ থাকার নানা কারণ উল্লেখ করে স্থানীয় পর্যায়ে সবার সহযোগিতা যেমন চাওয়া হয়েছে, তেমনি বিদেশি নাগরিকদের ভোটার হওয়ার অপতৎপরতার বিষয়েও সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
সোমবার থেকে শুরু হয়ে দেশজুড়ে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের পর বায়োমেট্রিকস নেওয়া, ছবি তোলার কাজ করা হবে। জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
রোববার নির্বাচন ভবনে এক অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা ছয় মাসের জন্য প্ল্যান করেছি; কিছু কমবেশি হতে পারে। টার্গেট হচ্ছে- ছয় মাসের মধ্যে যাতে শেষ করতে পারি।”
মাঠ কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা
হালনাগাদ কার্যক্রমকে সামনে রেখে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে ইসি সচিবালয়।
ভোটারযোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করা, তথ্য যাচাই, নারী ভোটাররা যাতে বাদ না পড়ে সে বিষয়ে নজর দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা, ভিনদেশিদের যাতে তথ্য সংগ্রহ করা না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে মাঠ কর্মকর্তাদের। পরিপত্র-৬ এ ১৬ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
>> ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ও বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা;
>> তথ্য সংগ্রহকালে কোনো ব্যক্তির তথ্য ফরম পূরণের পূর্বে তিনি ইতোপূর্বে ভোটার হয়েছেন কি না তা অবশ্যই নিশ্চিত করা;
>> বাদ পড়া ভোটারদের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার কারণ যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হওয়া;
>> কোনো ব্যক্তির নামের আগে বা পরে কোনো পেশা, খেতাব, পদবি, অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সংযুক্ত না করা;
>> ভোটারযোগ্য ব্যক্তির বাংলা নামের ইংরেজি বানান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা;
>> বাড়ি বাড়ি গমনের সময় ভোটারযোগ্য অনুপুস্থিত ব্যক্তিদের তথ্যাদি অবশ্যই রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা;
>> নিবন্ধন কেন্দ্রে আসার জন্য নিবন্ধন স্লিপ (ফরম-৫) ফরম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করা;
>> সুপারভাইজার কর্তৃক তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রতিদিনের তথ্য সংগ্রহের কাজ তদারকি ও নমুনা যাচাই করা;
>> সুপারভাইজাররা তথ্য সংগ্রহকারীর পূরণকৃত ফরমের কিছু অংশ দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গমন করে শুদ্ধতা যাচাই করা এবং কোনো ভুল ধরা পড়লে তা শুদ্ধ করা;
>> ভোটারযোগ্য নারীদের নিবন্ধনের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা, অর্থাৎ কোনোক্রমেই ভোটারযোগ্য কোনো নারী যেন বাদ না পড়েন তা তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার কর্তৃক নিশ্চিত করা;
>> নিবন্ধন ফরম পূরণকারীদের নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা;
>> বিশেষ এলাকার জন্য তথ্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেওয়া। বিশেষ তথ্য ফরম পূরণের সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করে অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষ এলাকাসমূহের জন্য নিবন্ধন ফরম-২ এর সঙ্গে বিশেষ তথ্য ফরমও পূরণ করা;
>> এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ভোটার স্থানান্তরের আবেদন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ভোটার কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন অফিসারের নিকট দাখিল করা;
>> মৃত ভোটারের নাম কর্তনের জন্য ফরম-১২ এ তথ্য সংগ্রহকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। কোনোক্রমেই জীবিত ভোটারের নাম মৃত হিসেবে যেন তথ্য সংগ্রহ না করা হয় সেজন্য সতর্ক থাকা;
>> সুপারভাইজার, তথ্য সংগ্রহকারী ও শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সুস্পষ্টভাবে লিখা; এবং
>> কোনোক্রমেই রোহিঙ্গা এবং ভিনদেশি ব্যক্তিদের তথ্য যেন সংগৃহীত না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা।
নারী ভোটারদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ও স্থানীয়দের সম্পৃক্ততার নির্দেশনা
ভোটারযোগ্য নারীদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে ও তথ্য সংগ্রহের ব্যাপক প্রচার চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। ইতোমধ্যে নারী ভোটার কম হওয়ার বিষয়ে কিছু কারণের কথা তুলে ধরে হালনাগাদের স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভোটার এভাবে কমে যাওয়ার পেছনে আটটি কারণ চিহ্নিত করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। সেগুলো মোকাবিলার চেষ্টাও করা হচ্ছে।
বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নারী ভোটার কম হওয়ার বিষয়ে লক্ষ্য করা গেছে-
>> নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহে অনীহা;
>> হিন্দু অবিবাহিত মেয়েদের পিত্রালয়ে নিবন্ধন করতে অনীহা;
>> অবিবাহিত, অনগ্রসর ও নিরক্ষর মেয়েদের ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কম আগ্রহ;
>> বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দাখিল করতে ব্যর্থতা;
>> রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র দূরবর্তী হওয়া;
>> আবহাওয়া অনুকূল না থাকা;
>> সামাজিক কুসংস্কার ও ধর্মীয় অজুহাতে ছবি তুলতে অনীহা এবং
>> প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের অসচেতনতা অন্যতম।
পরিপত্র-৪ এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটার তালিকায় নারীদের অন্তর্ভুক্তির হার যেন উল্লেখযোগ্যভাবে কম না হয়, সেজন্য হালনাগাদ কার্যক্রমের সময় সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (বিশেষ করে সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা), দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও গ্রাম পুলিশ বা চৌকিদার-দফাদারকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
এ ছাড়া হালনাগাদ কার্যক্রমে নারীদের নিবন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিশেষ করে নারী জনপ্রতিনিধি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্যসহ সাধারণ আসনের বিপরীতে নির্বাচিত মহিলা জনপ্রতিনিধি) সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
এরইমধ্যে বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা বা থানা, সিটি করপোরেশন পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
“জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে তাদের প্রচারের কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে” বলেছে ইসি।
গত ২ জানুয়ারি চলতি বছরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জনের নাম।
সবশেষ গতবছর ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটার ছিলেন ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি।
এরপর ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন, এ বছরের হালনাগাদে তারা তালিকায় যুক্ত হলেন। নতুন ভোটারদের নিয়ে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন। ২ মার্চ তাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে।