চারদিনের সফরে ৪৭টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন। শনিবার বিকাল ৫টা ৭ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তিনি ঢাকা পৌঁছান।
ফ্লাইটটি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ডে চারদিনের সফরে মোট ৪৭টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। তার সফরে ৪টি রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান, ৪ জন মন্ত্রী, জাতিসংঘের ১০ শীর্ষ কর্মকর্তা, ১০টি বৈশ্বিক শীর্ষ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ৯টি প্রোগ্রাম, ৮টি মিডিয়া এনগেজমেন্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২১ জানুয়ারি ঢাকায় যাত্রা শুরু করার পর মুহাম্মদ ইউনূস ডাভোসে পৌঁছানোর পর একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে যোগ দেন। সফরের প্রথম দিন তিনি সাতটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।
এছাড়া পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা, মিউনিখ সুরক্ষা সম্মেলনের চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফ হিউসজেন, থাই প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনও তিনি প্রায় ১৪টি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি, মার্কিন জলবায়ু বিশেষ দূত জন কেরি, প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে অংশগ্রহণের সময়, ইউনূস ‘জলবায়ু ও প্রকৃতির অবস্থা’ শীর্ষক একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন এবং শোয়াব ফাউন্ডেশনের আয়োজিত সামাজিক উদ্যোক্তাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
২৩ জানুয়ারি, ইউনূস ১৪টি নির্ধারিত অনুষ্ঠান এবং আরো অনেক পার্শ্ব ইভেন্টে যোগ দেন। তিনি মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেডের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ, ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন।
সফরের শেষ দিন শুক্রবার তিনি সাতটিরও বেশি অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং মার্কিন বিনিয়োগকারী রে ডালিও এবং জেনেল গ্রুপের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আমের আলীরেজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
এই সফরটি তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি করতে সহায়ক হবে।
চারদিনের সফরে ৪৭টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন। শনিবার বিকাল ৫টা ৭ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তিনি ঢাকা পৌঁছান।
ফ্লাইটটি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ডে চারদিনের সফরে মোট ৪৭টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। তার সফরে ৪টি রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান, ৪ জন মন্ত্রী, জাতিসংঘের ১০ শীর্ষ কর্মকর্তা, ১০টি বৈশ্বিক শীর্ষ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ৯টি প্রোগ্রাম, ৮টি মিডিয়া এনগেজমেন্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২১ জানুয়ারি ঢাকায় যাত্রা শুরু করার পর মুহাম্মদ ইউনূস ডাভোসে পৌঁছানোর পর একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে যোগ দেন। সফরের প্রথম দিন তিনি সাতটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন।
এছাড়া পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা, মিউনিখ সুরক্ষা সম্মেলনের চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফ হিউসজেন, থাই প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনও তিনি প্রায় ১৪টি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি, মার্কিন জলবায়ু বিশেষ দূত জন কেরি, প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে অংশগ্রহণের সময়, ইউনূস ‘জলবায়ু ও প্রকৃতির অবস্থা’ শীর্ষক একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন এবং শোয়াব ফাউন্ডেশনের আয়োজিত সামাজিক উদ্যোক্তাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
২৩ জানুয়ারি, ইউনূস ১৪টি নির্ধারিত অনুষ্ঠান এবং আরো অনেক পার্শ্ব ইভেন্টে যোগ দেন। তিনি মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেডের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ, ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন।
সফরের শেষ দিন শুক্রবার তিনি সাতটিরও বেশি অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং মার্কিন বিনিয়োগকারী রে ডালিও এবং জেনেল গ্রুপের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আমের আলীরেজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেন মুহাম্মদ ইউনূস।
এই সফরটি তার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার সম্ভাবনা তৈরি করতে সহায়ক হবে।