বিচার বিভাগীয় সংস্কারের অংশ হিসেবে নিত্যনতুন উদ্যোগ
বিচার বিভাগের চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শনিবার মৌলভীবাজারে এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, “চলমান বিচারিক সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যে সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে, তারই অংশ হিসেবে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।” তিনি এই আদালতের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের জন্য বাণিজ্যিক বিরোধের দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এর ফলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা সময়োপযোগী ও কার্যকর আইনগত প্রতিকার লাভ করতে পারবেন, যা দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও উন্নত করবে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে।
এছাড়া প্রধান বিচারপতি মনে করেন, এই উদ্যোগ বিচার ব্যবস্থাকে পরিবর্তিত অর্থনৈতিক চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্যে পরিণত করবে।
সেমিনারে আরও উল্লেখযোগ্য আলোচনার বিষয় ছিল তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষাক্রমে সাংবিধানিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সংঘটিত বিপ্লব সংবিধানিকতা ও আইনের শাসনের প্রতি এদেশের তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি ও সচেতনতার বিষয়টি আমাদের সামনে নতুন করে তুলে ধরেছে।” তিনি মনে করেন, সংবিধান সংক্রান্ত বিষয়গুলি তরুণদের শিক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা একটি ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে অবদান রাখতে সাহায্য করবে।
বিচার বিভাগীয় সংস্কারের আওতায় প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “সংবিধানের ষষ্ঠ অংশের প্রথম অধ্যায়ের বেশ কিছু বিধান, যা কখনও সেভাবে প্রয়োগ করা হয়নি- তা বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে নতুন করে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।” এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কমিটি ফর জুডিসিয়াল রিফর্মের সভাপতি বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ এবং ঢাকার বাইরে হাই কোর্ট বিভাগের অধিবেশন আয়োজনের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি।
অবশেষে, বিচার বিভাগের কাঠামো শক্তিশালী করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট কাঠামো আরও কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তার উপরও গুরুত্ব দেন প্রধান বিচারপতি।
এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
বিচার বিভাগীয় সংস্কারের অংশ হিসেবে নিত্যনতুন উদ্যোগ
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
বিচার বিভাগের চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শনিবার মৌলভীবাজারে এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, “চলমান বিচারিক সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যে সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে, তারই অংশ হিসেবে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।” তিনি এই আদালতের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের জন্য বাণিজ্যিক বিরোধের দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এর ফলে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা সময়োপযোগী ও কার্যকর আইনগত প্রতিকার লাভ করতে পারবেন, যা দেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে আরও উন্নত করবে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে।
এছাড়া প্রধান বিচারপতি মনে করেন, এই উদ্যোগ বিচার ব্যবস্থাকে পরিবর্তিত অর্থনৈতিক চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্যে পরিণত করবে।
সেমিনারে আরও উল্লেখযোগ্য আলোচনার বিষয় ছিল তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষাক্রমে সাংবিধানিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সংঘটিত বিপ্লব সংবিধানিকতা ও আইনের শাসনের প্রতি এদেশের তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান প্রতিশ্রুতি ও সচেতনতার বিষয়টি আমাদের সামনে নতুন করে তুলে ধরেছে।” তিনি মনে করেন, সংবিধান সংক্রান্ত বিষয়গুলি তরুণদের শিক্ষার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তা একটি ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে অবদান রাখতে সাহায্য করবে।
বিচার বিভাগীয় সংস্কারের আওতায় প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “সংবিধানের ষষ্ঠ অংশের প্রথম অধ্যায়ের বেশ কিছু বিধান, যা কখনও সেভাবে প্রয়োগ করা হয়নি- তা বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে নতুন করে পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।” এছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কমিটি ফর জুডিসিয়াল রিফর্মের সভাপতি বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ এবং ঢাকার বাইরে হাই কোর্ট বিভাগের অধিবেশন আয়োজনের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি।
অবশেষে, বিচার বিভাগের কাঠামো শক্তিশালী করতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট কাঠামো আরও কার্যকর করার প্রয়োজনীয়তার উপরও গুরুত্ব দেন প্রধান বিচারপতি।
এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।