সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রেস সচিবের ব্রিফিং
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের আলোচনায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ হবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বুধবার ৫ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়ার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের কথা তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, ‘পুরো সংস্কারগুলো নিয়ে সবাই ঐকমত্যে আসবেন। ধরেন ৫ হাজার সংস্কারের মধ্যে ২ হাজারের ব্যাপারে ঐকমত্যে এলেন, এই কনসেনসাসে যেটা রিচ হবে, সবাই একমত হবে, সেটা রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করবে। স্বাক্ষর করার পর যেটা দাঁড়াবে সেটা হবে জুলাই চার্টার। এ জুলাই চার্টারের বাস্তবায়ন এ (অন্তর্বর্তী) সরকার কিছু করবে, পরবর্তী (নির্বাচিত) সরকারগুলো এসে করবে। এ বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে ইলেকশনটা কি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে নাকি আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে হবে?’
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কতটা করে ভোটে যাওয়া হবে তার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।’
বিএনপি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চেয়ে এলেও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা আগে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ সারার ওপর জোর দিচ্ছেন।
সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক কাতারে আনতে ঐকমত্য কমিশন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আর ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজ। বাকি কমিশনগুলোর প্রধানরাও ঐকমত্য কমিশনের সদস্য।
বুধবার সাংবাদিকদের শফিকুল আলম বলেন, ‘ছয়টা কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে কথা বলবেন ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কথার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে কতটুকু সংস্কার আসলে দ্রুত করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘কিছু সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনেরও প্রয়োজন পড়বে না, বরং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংস্কার সম্ভব হবে। আর কোনটা (সংস্কার) করার জন্য ‘কন্সটিটিউশনের অ্যামেন্ডমেন্ট’ দরকার। আবার কিছু সংস্কারের জন্য একটা ইমেডিয়েটলি মিনিস্ট্রি করতে পারে, সেটার জন্য কন্সটিটিউশন রিফর্মের দরকার হয় না, এমনকি পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গেও সেভাবে কথা বলার প্রয়োজন নাও হতে পারে। কিন্তু উনারা (ঐকমত্য কমিশন) সবার সঙ্গে কথা বলবেন।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রেস সচিবের ব্রিফিং
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে তা ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের আলোচনায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ হবে।
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বুধবার ৫ফেব্রুয়ারি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়ার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়নের কথা তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, ‘পুরো সংস্কারগুলো নিয়ে সবাই ঐকমত্যে আসবেন। ধরেন ৫ হাজার সংস্কারের মধ্যে ২ হাজারের ব্যাপারে ঐকমত্যে এলেন, এই কনসেনসাসে যেটা রিচ হবে, সবাই একমত হবে, সেটা রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করবে। স্বাক্ষর করার পর যেটা দাঁড়াবে সেটা হবে জুলাই চার্টার। এ জুলাই চার্টারের বাস্তবায়ন এ (অন্তর্বর্তী) সরকার কিছু করবে, পরবর্তী (নির্বাচিত) সরকারগুলো এসে করবে। এ বাস্তবায়নের আলোকে নির্ভর করবে ইলেকশনটা কি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে নাকি আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে হবে?’
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কতটা করে ভোটে যাওয়া হবে তার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে হতে পারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন।’
বিএনপি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চেয়ে এলেও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা আগে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ সারার ওপর জোর দিচ্ছেন।
সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক কাতারে আনতে ঐকমত্য কমিশন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আর ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজ। বাকি কমিশনগুলোর প্রধানরাও ঐকমত্য কমিশনের সদস্য।
বুধবার সাংবাদিকদের শফিকুল আলম বলেন, ‘ছয়টা কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে কথা বলবেন ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কথার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে কতটুকু সংস্কার আসলে দ্রুত করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘কিছু সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনেরও প্রয়োজন পড়বে না, বরং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংস্কার সম্ভব হবে। আর কোনটা (সংস্কার) করার জন্য ‘কন্সটিটিউশনের অ্যামেন্ডমেন্ট’ দরকার। আবার কিছু সংস্কারের জন্য একটা ইমেডিয়েটলি মিনিস্ট্রি করতে পারে, সেটার জন্য কন্সটিটিউশন রিফর্মের দরকার হয় না, এমনকি পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গেও সেভাবে কথা বলার প্রয়োজন নাও হতে পারে। কিন্তু উনারা (ঐকমত্য কমিশন) সবার সঙ্গে কথা বলবেন।’