নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য ‘নাম ও প্রতীক’ নির্ধারণে সর্বস্তরের মানুষের মতামত সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ লক্ষ্যে সংগঠন দুটো সারা দেশে জনমত জরিপ পরিচালনা করবে।
‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই জনমত কর্মসূচি পরিচালিত হবে। নতুন দলের কাছে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রত্যাশা কী এবং নতুন বাংলাদেশ কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে এই জরিপ চালানো হবে।
বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে এসব কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা প্রতিটি জেলায় এই মতামত সংগ্রহ করবেন। জেলাগুলোয় জনমত জরিপের জন্য ফরম সরবরাহ করা হয়েছে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে এই জনমত জরিপ হবে। জরিপ শেষ হলে ফলাফল জানানো হবে।
ভয়ের মধ্যে
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘অফলাইনে এক লাখের বেশি মানুষের কাছে যাওয়া হবে। এই জরিপের প্রশ্নে দলের নাম ও প্রতীক কী হতে পারে, সে প্রশ্ন থাকবে। মানুষ নতুন দলের কাছে কোন সমস্যার সমাধান চান, কোন তিনটি কাজ করলে দেশ বদলে যাবে, প্রত্যাশা কী ইত্যাদি প্রশ্ন থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠনের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। যেসব রাজনৈতিক দল এটা নিয়ে ভয়ের মধ্যে রয়েছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তারা সেসব নিয়ে কুতর্কের মধ্যে যেতে চান না। এটা কিংস পার্টি, সরকার-সমর্থিত দল- ধারণা যাদের মাথা থেকে আসে, তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তরুণেরা জনগণের মধ্যে রয়েছেন, সেখান থেকেই এই দল হবে।’
আওয়ামী সিলসিলা
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ক্লোজড। তারা যদি প্রাসঙ্গিক থাকতই, তাহলে ৫ আগস্ট পালিয়ে যেতে হতো না।’
গণমাধ্যমের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘মিডিয়ায় এখনও দেখি ভাশুরের নাম মুখে নিতে কেমন যেন লাগে। এখনও সাবেক প্রধানমন্ত্রী লেখা হয়। উনি কি সাবেক নাকি ফ্যাসিবাদের বুচার অব দিস মাদারল্যান্ড? তিনি এই বাংলাদেশের বুচার (কসাই)। তিনি চেয়ার টিকিয়ে রাখতে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। এখনও মিডিয়ায় ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা লেখা হয় না। তা যদি না করেন, তাহলে আপনারা যে আওয়ামী কাঠামো বা মিডিয়া ছিল, সেটির সিলসিলা অব্যাহত রাখছেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবেই এ দেশে হতে দেয়া হবে না। হাসিনার ভাষণ কোনো গণমাধ্যমে প্রচার করা হলে, ধরে নিতে হবে সেই গণমাধ্যম হাসিনাকে এখনও সহযোগিতা করছে। সুশীলতাকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে বলেই গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন প্রমুখ।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য ‘নাম ও প্রতীক’ নির্ধারণে সর্বস্তরের মানুষের মতামত সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ লক্ষ্যে সংগঠন দুটো সারা দেশে জনমত জরিপ পরিচালনা করবে।
‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই জনমত কর্মসূচি পরিচালিত হবে। নতুন দলের কাছে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রত্যাশা কী এবং নতুন বাংলাদেশ কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে এই জরিপ চালানো হবে।
বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে এসব কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা প্রতিটি জেলায় এই মতামত সংগ্রহ করবেন। জেলাগুলোয় জনমত জরিপের জন্য ফরম সরবরাহ করা হয়েছে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে এই জনমত জরিপ হবে। জরিপ শেষ হলে ফলাফল জানানো হবে।
ভয়ের মধ্যে
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘অফলাইনে এক লাখের বেশি মানুষের কাছে যাওয়া হবে। এই জরিপের প্রশ্নে দলের নাম ও প্রতীক কী হতে পারে, সে প্রশ্ন থাকবে। মানুষ নতুন দলের কাছে কোন সমস্যার সমাধান চান, কোন তিনটি কাজ করলে দেশ বদলে যাবে, প্রত্যাশা কী ইত্যাদি প্রশ্ন থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠনের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। যেসব রাজনৈতিক দল এটা নিয়ে ভয়ের মধ্যে রয়েছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তারা সেসব নিয়ে কুতর্কের মধ্যে যেতে চান না। এটা কিংস পার্টি, সরকার-সমর্থিত দল- ধারণা যাদের মাথা থেকে আসে, তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। তরুণেরা জনগণের মধ্যে রয়েছেন, সেখান থেকেই এই দল হবে।’
আওয়ামী সিলসিলা
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ক্লোজড। তারা যদি প্রাসঙ্গিক থাকতই, তাহলে ৫ আগস্ট পালিয়ে যেতে হতো না।’
গণমাধ্যমের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘মিডিয়ায় এখনও দেখি ভাশুরের নাম মুখে নিতে কেমন যেন লাগে। এখনও সাবেক প্রধানমন্ত্রী লেখা হয়। উনি কি সাবেক নাকি ফ্যাসিবাদের বুচার অব দিস মাদারল্যান্ড? তিনি এই বাংলাদেশের বুচার (কসাই)। তিনি চেয়ার টিকিয়ে রাখতে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। এখনও মিডিয়ায় ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা লেখা হয় না। তা যদি না করেন, তাহলে আপনারা যে আওয়ামী কাঠামো বা মিডিয়া ছিল, সেটির সিলসিলা অব্যাহত রাখছেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবেই এ দেশে হতে দেয়া হবে না। হাসিনার ভাষণ কোনো গণমাধ্যমে প্রচার করা হলে, ধরে নিতে হবে সেই গণমাধ্যম হাসিনাকে এখনও সহযোগিতা করছে। সুশীলতাকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে বলেই গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন প্রমুখ।