alt

জাতীয়

আওয়ামী লীগ দেশে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা

বাসস : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বুধবার ছয় উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর তিনটি এলাকায় ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সেখানে একটি চেয়ার দেখছেন যার ওপর বসিয়ে নির্যাতন করা হতো

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া (অন্ধকার যুগ)’ প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার গোপন বন্দিশালা ও টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়া বলে একটা কথা আছে না, গত সরকার সেই আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে সর্বক্ষেত্রে। এটা (গোপন বন্দিশালা) তার একটি নমুনা।’

বুধবার মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য, ভুক্তভোগী ও সাংবাদিকদের নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় তিনটি গোপন বন্দিশালা ঘুরে দেখেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বীভৎস দৃশ্য। নৃশংস জিনিস হয়েছে এখানে।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যতটাই শুনি মনে হয়, অবিশ্বাস্য, এটা কি আমাদেরই জগৎ, আমাদের সমাজ? যারা নিগৃহীত হয়েছেন, তারাও আমাদের সমাজেই আছেন। তাদের মুখ থেকে শুনলাম। কী হয়েছে, কোনো ব্যাখ্যা নেই।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের বিনা কারণে, বিনা দোষে উঠিয়ে আনা হতো। সন্ত্রাসী বা জঙ্গি বলে এখানে ঢুকিয়ে রাখা হতো।’ তিনি বলেন, ‘এই রকম টর্চার সেল সারাদেশে আছে। ধারণা ছিল, এখানে কয়েকটা আছে। এখন শুনছি বিভিন্ন ভার্সনে দেশজুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০ কেউ বলছে ৮০০, সংখ্যাও নিরূপণ করা যায়নি।’

বন্দিশালাগুলো খুঁজে বের করার জন্য গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘দেশের যে চূড়ান্ত অবনতি হয়েছিল সর্বক্ষেত্রে, এই বন্দিশালা তার একটি প্রতিচ্ছবি। এটা প্রমাণ করে মানুষের সামান্যতম মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল।’

বন্দিশালাগুলো স্বৈরাচারী শাসনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে জাতির কাছে বড় ডকুমেন্ট হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মুহাম্মদ ইউনূস জানান, ‘একজন বলছিলেন, যে খুপড়ির মধ্যে তাদের রাখা হয়েছে, গ্রামে মুরগির খাঁচাও এর চেয়ে বড় হয়। তাদের মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে। মানুষ হিসেবে সামান্যতম মানবিক অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।’

সমাজকে এসব থেকে বের করে না আনা গেলে সমাজ টিকবে না উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্যাতনের এই যে করুণ দৃশ্য, যারা করেছে তারা আমাদের সন্তান, আমাদের ভাই, আমাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন। এই সমাজকে যদি এর থেকে বের করে নিয়ে আসতে না পারি, তাহলে নতুন সমাজ গড়া সম্ভব হবে না’। গুমের শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ন্যায়বিচার যেন পায়, সেটা এখন প্রাধান্য দিতে হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন বাংলাদেশ ও নতুন পরিবেশ গড়তে চাই। সরকার সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিশন করেছে। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করবে।’

গুম কমিশনের প্রতিবেদনে এই আয়নাঘরের ডকুমেন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। একইসঙ্গে যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিচার করা হবে বলে জানান তিনি। এসব তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে রাখা হবে এবং বিচারের জন্য ব্যবহৃত হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং নাহিদ ইসলাম নিজেরাও এই আয়নাঘরে বন্দী ছিলেন এবং তারা ওই কক্ষটি চিহ্নিত করেছেন বলে জানান। উপস্থিত ভুক্তভোগী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও গুম কমিশনের সদস্য নুর খানও সেখানে ছিলেন। শেখ হাসিনার আমলে গুমের শিকার জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেমও এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন।

ঢাকার বাইরেও ‘আয়নাঘর’ আছে, খুঁজে বের করা হবে: প্রেস সচিব

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮০০ কোটি টাকা চাইলো ইসি

শেখ হাসিনা, তার সরকার ও দলের শীর্ষদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘প্রমাণ’ পেয়েছে জাতিসংঘ

মৃত্যুদণ্ড থাকলে ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে না জাতিসংঘ: রোরি মুনগোভেন

ছবি

টর্চার সেলে আটক থাকার কক্ষ শনাক্ত করলেন দুই উপদেষ্টা

ছবি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

ছবি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৮০০ কোটি টাকা চাইল ইসি

ছবি

আ. লীগ সরকার সর্বক্ষেত্রে আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠিত করেছিল

হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

বাংলাদেশের জন্য আজ ঐতিহাসিক দিন: শফিকুল আলম

বিক্ষোভকারীদের দমাতে ‘প্রাণঘাতি বলপ্রয়োগের’ নির্দেশ দেয় সরকার : জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন

ছবি

ডেভিল হান্টে অস্ত্র উদ্ধার ‘আশানুরূপ নয়’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে ড. ইউনূস

ছবি

বইমেলায় হামলা: মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত

ছবি

সংস্কারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন চান প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

সংবিধান সংস্কার কমিশনের জরিপ : ‌নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় ৮৬% মানুষ

ছবি

অপারেশন ডেভিল হান্ট: অভিযানের তৃতীয় দিনে গ্রেপ্তার ৬০৭ জন

গরম শুরুর আগেই আদানির পুরো বিদ্যুৎ চাইছে বাংলাদেশ

ছবি

শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা, দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টা

ছবি

‘ডেভিল হান্টের’ তৃতীয় দিনে হাতিয়ায় গোলাগুলি, বোমা বিস্ফোরণ

ছবি

দুর্নীতি: আরও খারাপ হয়েছে বাংলাদেশের অবস্থা, বলছে টিআইবি

ছবি

ট্রাইব্যুনালে অক্টোবরেই ৩-৪টি মামলার রায়, আশা আইন উপদেষ্টার

ছবি

এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১২ জনের মৃত্যু, রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩৪০

ছবি

বাংলাদেশে আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আশাবাদী মহাসচিব

হাসিনাকে আশ্রয়, ‘কুৎসা, উস্কানির’ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশে ‘অস্থিতিশীলতা’ তৈরীর চেষ্টায় ভারতঃ আইন উপদেষ্টা

ছবি

বইমেলায় ‘সব্যসাচী’ স্টল ঘিরে উত্তেজনার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ছবি

জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড: তিন-চারটি মামলার রায় আসতে পারে অক্টোবরের মধ্যে

ছবি

ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি

ছবি

শিল্পখাতে পানি ব্যবহারে চার্জ আরোপ হতে পারে: রিজওয়ানা হাসান

ছবি

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

ছবি

ভারত-বাংলাদেশ চুক্তি বাতিলের দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘গেইট লক’ কর্মসূচি

ছবি

বিচার বিবেচনা ছাড়া জামিন দেবেন না : আসিফ নজরুল

ছবি

কোনো ‘শয়তান’ যেন পালাতে না পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৪তম

ছবি

বইমেলার স্টলে ‘বিশৃঙ্খলা’: দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

শিশু সুরক্ষা নীতি লঙ্ঘন: ইউনিসেফের উদ্বেগ

tab

জাতীয়

আওয়ামী লীগ দেশে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা

বাসস

বুধবার ছয় উপদেষ্টাকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর তিনটি এলাকায় ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সেখানে একটি চেয়ার দেখছেন যার ওপর বসিয়ে নির্যাতন করা হতো

বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ‘আইয়ামে জাহেলিয়া (অন্ধকার যুগ)’ প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার গোপন বন্দিশালা ও টর্চার সেল হিসেবে পরিচিত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়া বলে একটা কথা আছে না, গত সরকার সেই আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে সর্বক্ষেত্রে। এটা (গোপন বন্দিশালা) তার একটি নমুনা।’

বুধবার মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য, ভুক্তভোগী ও সাংবাদিকদের নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় তিনটি গোপন বন্দিশালা ঘুরে দেখেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বীভৎস দৃশ্য। নৃশংস জিনিস হয়েছে এখানে।’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যতটাই শুনি মনে হয়, অবিশ্বাস্য, এটা কি আমাদেরই জগৎ, আমাদের সমাজ? যারা নিগৃহীত হয়েছেন, তারাও আমাদের সমাজেই আছেন। তাদের মুখ থেকে শুনলাম। কী হয়েছে, কোনো ব্যাখ্যা নেই।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের বিনা কারণে, বিনা দোষে উঠিয়ে আনা হতো। সন্ত্রাসী বা জঙ্গি বলে এখানে ঢুকিয়ে রাখা হতো।’ তিনি বলেন, ‘এই রকম টর্চার সেল সারাদেশে আছে। ধারণা ছিল, এখানে কয়েকটা আছে। এখন শুনছি বিভিন্ন ভার্সনে দেশজুড়ে আছে। কেউ বলছে ৭০০ কেউ বলছে ৮০০, সংখ্যাও নিরূপণ করা যায়নি।’

বন্দিশালাগুলো খুঁজে বের করার জন্য গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘দেশের যে চূড়ান্ত অবনতি হয়েছিল সর্বক্ষেত্রে, এই বন্দিশালা তার একটি প্রতিচ্ছবি। এটা প্রমাণ করে মানুষের সামান্যতম মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল।’

বন্দিশালাগুলো স্বৈরাচারী শাসনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে জাতির কাছে বড় ডকুমেন্ট হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মুহাম্মদ ইউনূস জানান, ‘একজন বলছিলেন, যে খুপড়ির মধ্যে তাদের রাখা হয়েছে, গ্রামে মুরগির খাঁচাও এর চেয়ে বড় হয়। তাদের মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে। মানুষ হিসেবে সামান্যতম মানবিক অধিকার থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।’

সমাজকে এসব থেকে বের করে না আনা গেলে সমাজ টিকবে না উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্যাতনের এই যে করুণ দৃশ্য, যারা করেছে তারা আমাদের সন্তান, আমাদের ভাই, আমাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন। এই সমাজকে যদি এর থেকে বের করে নিয়ে আসতে না পারি, তাহলে নতুন সমাজ গড়া সম্ভব হবে না’। গুমের শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ন্যায়বিচার যেন পায়, সেটা এখন প্রাধান্য দিতে হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন বাংলাদেশ ও নতুন পরিবেশ গড়তে চাই। সরকার সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিশন করেছে। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করবে।’

গুম কমিশনের প্রতিবেদনে এই আয়নাঘরের ডকুমেন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। একইসঙ্গে যারা এ ধরনের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিচার করা হবে বলে জানান তিনি। এসব তথ্য-প্রমাণ সিলগালা করে রাখা হবে এবং বিচারের জন্য ব্যবহৃত হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং নাহিদ ইসলাম নিজেরাও এই আয়নাঘরে বন্দী ছিলেন এবং তারা ওই কক্ষটি চিহ্নিত করেছেন বলে জানান। উপস্থিত ভুক্তভোগী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও গুম কমিশনের সদস্য নুর খানও সেখানে ছিলেন। শেখ হাসিনার আমলে গুমের শিকার জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মীর কাশেম আলীর ছেলে আহমেদ বিন কাশেমও এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন।

back to top