গণমাধ্যমের মালিকানা কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়ার বাধ্যবাধকতা ও মালিকানা সীমিত করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝারি ও বড় সংবাদমাধ্যমগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। একইসঙ্গে উদ্যোক্তা পরিচালক, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শেয়ারধারণের সীমা ২৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে নির্দিষ্ট মালিকানার সীমা থাকলেও গণমাধ্যমে এ ধরনের কোনো বিধিনিষেধ নেই। ফলে গণমাধ্যমেও একই নিয়ম প্রযোজ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া কর্মীদের জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে উদ্যোক্তারা তাদের সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারেন।
এছাড়া, একাধিক গণমাধ্যমের মালিকানা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কমিশন মত দিয়েছে। ‘ক্রস-ওনারশিপ’ নিষিদ্ধের জন্য অর্ডিন্যান্স জারির প্রস্তাব তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাদের মালিকানায় একাধিক গণমাধ্যম রয়েছে, তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালিকানা পুনর্গঠন করতে পারে। এর মধ্যে কোনো একটি গণমাধ্যম রেখে অন্যগুলোর মালিকানা বিক্রি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক উত্তরণে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে, যার একটি ছিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিশনে গণযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি, সংবাদমাধ্যম মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যসহ মোট নয়জন ছিলেন।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
গণমাধ্যমের মালিকানা কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়ার বাধ্যবাধকতা ও মালিকানা সীমিত করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝারি ও বড় সংবাদমাধ্যমগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে হবে। একইসঙ্গে উদ্যোক্তা পরিচালক, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শেয়ারধারণের সীমা ২৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে নির্দিষ্ট মালিকানার সীমা থাকলেও গণমাধ্যমে এ ধরনের কোনো বিধিনিষেধ নেই। ফলে গণমাধ্যমেও একই নিয়ম প্রযোজ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া কর্মীদের জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে উদ্যোক্তারা তাদের সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারেন।
এছাড়া, একাধিক গণমাধ্যমের মালিকানা নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কমিশন মত দিয়েছে। ‘ক্রস-ওনারশিপ’ নিষিদ্ধের জন্য অর্ডিন্যান্স জারির প্রস্তাব তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাদের মালিকানায় একাধিক গণমাধ্যম রয়েছে, তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালিকানা পুনর্গঠন করতে পারে। এর মধ্যে কোনো একটি গণমাধ্যম রেখে অন্যগুলোর মালিকানা বিক্রি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক উত্তরণে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে, যার একটি ছিল গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। সাংবাদিক কামাল আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিশনে গণযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, সম্পাদক পরিষদের প্রতিনিধি, সংবাদমাধ্যম মালিকদের সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যসহ মোট নয়জন ছিলেন।