পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে: তারেক রহমান দেশ অস্থিতিশীল করতে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল
অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে জনগণের মুখোমুখি করিয়ে দেয়ার হীন চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। এ অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
গতকাল রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তারা। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপির মিডিয়া সেল। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগেও আমরা দেখেছি, সংস্কার এবং নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে, ঠিক একইভাবে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করানোর চেষ্টা হচ্ছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে।’
নতুন করে এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকতে আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা দেখেছি, অতীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘১৯৭১ সালে সার্বভৌমত্বের লড়াইয়ে এবং বিগত ১৬-১৭ বছরের গণতান্ত্রিক উত্তরণের লড়াইয়ে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়।’ এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি সূক্ষ্মভাবে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আড়াই বছর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘সে সময়ে যেভাবে সাংবাদিকরা আমাদের পাশে ছিলেন এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশের পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।’ আগামী দিনেও তিনি সাংবাদিকদের বিএনপির পাশে থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আবারও দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আবারও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি সংকটময় সময়ে সেনাবাহিনী জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে। অথচ আজ তাদের বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয় বরং এটি দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তের অংশ।’
বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে, আমরা যাতে অরক্ষিত হয়ে পড়ি সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী যারা দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জাতির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তাদের আবার বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে একটি নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে আবার অস্থিতিশীল করার, আবার বিপদে নিমজ্জিত করার জন্য। বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাদেরও বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। এর পেছনে কোনো মহান উদ্দেশ্য থাকতে পারে না, এটার উদ্দেশ্য একটাইÑ ঠিক অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করা হয়েছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে এখনও নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) অতীতেও আমাদের জন্য কাজ করেছেন। আগামী দিনেও বিএনপির বিরুদ্ধে এসব প্রচারের বিরুদ্ধে আপনারা সত্য তথ্য তুলে কাজ করবেন।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন।
পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে: তারেক রহমান দেশ অস্থিতিশীল করতে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে জনগণের মুখোমুখি করিয়ে দেয়ার হীন চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। এ অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
গতকাল রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তারা। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপির মিডিয়া সেল। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগেও আমরা দেখেছি, সংস্কার এবং নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে, ঠিক একইভাবে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করানোর চেষ্টা হচ্ছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র আছে।’
নতুন করে এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকতে আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা দেখেছি, অতীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘১৯৭১ সালে সার্বভৌমত্বের লড়াইয়ে এবং বিগত ১৬-১৭ বছরের গণতান্ত্রিক উত্তরণের লড়াইয়ে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়।’ এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি সূক্ষ্মভাবে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আড়াই বছর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘সে সময়ে যেভাবে সাংবাদিকরা আমাদের পাশে ছিলেন এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশের পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।’ আগামী দিনেও তিনি সাংবাদিকদের বিএনপির পাশে থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আবারও দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আবারও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি সংকটময় সময়ে সেনাবাহিনী জাতির পাশে দাঁড়িয়েছে। অথচ আজ তাদের বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয় বরং এটি দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্তের অংশ।’
বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে, আমরা যাতে অরক্ষিত হয়ে পড়ি সেজন্য ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী যারা দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জাতির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তাদের আবার বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে একটি নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে আবার অস্থিতিশীল করার, আবার বিপদে নিমজ্জিত করার জন্য। বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাদেরও বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। এর পেছনে কোনো মহান উদ্দেশ্য থাকতে পারে না, এটার উদ্দেশ্য একটাইÑ ঠিক অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করা হয়েছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে এখনও নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) অতীতেও আমাদের জন্য কাজ করেছেন। আগামী দিনেও বিএনপির বিরুদ্ধে এসব প্রচারের বিরুদ্ধে আপনারা সত্য তথ্য তুলে কাজ করবেন।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন।