চীন বাদে অন্যান্য দেশের ওপরে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিতের পর চাঙ্গা পুঁজিবাজারে আবারও দরপতন। চীন-যুক্তরাষ্ট্র পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে শুক্রবার নিউইয়র্ক স্টক মার্কেটের ছবি
চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে চীনের কোনো কোনো পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। এর জবাবে চীনও যুক্তরাজ্যের পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশে নিয়ে ঠেকিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের শীর্ষ পুঁজিবাজারগুলোতে আবারও মন্দাভাব দেখা যাচ্ছে।
তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন নেমে এসেছে ডলারের মুদ্রামান।
আমদানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপকে ‘উত্ত্যক্ততা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চীনের সঙ্গে হাত মেলানোর আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, এই যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না।
আর দিলেও ট্রাম্প এখনও তার অবস্থানে অনড় রয়েছেন। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক নীতির প্রভাব ইতিবাচক, খুব দ্রুতগতিতেই এর সুফল দেখা যাচ্ছে।
এদিকে কিছু দেশের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার কেনার সময় বাতলে দিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে বাজার প্রভাবিত করার অভিযোগ আনছেন তার বিরোধীরা। তারা বলছেন এই পদ্ধতিতে (ইনসাইডার ট্রেডিং) কাছের মানুষদের পুঁজিবাজার থেকে লাভ তুলে আনতে সহায়তা করেছেন ট্রাম্প।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, এখনই কেনার সবচেয়ে ভালো সময়।
এর চার ঘণ্টা পর চীন বাদে অধিকাংশ দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের স্থগিতের ঘোষণা দেন। এরপরই আবার বৈশ্বিক পুঁজিবাজার চাঙা হয়ে উঠতে শুরু করে। বাড়তে শুরু করে শেয়ারের দাম। অর্থাৎ, দাম পড়তির সময় যারা শেয়ার কিনেছিলেন তাদের লাভ হয়।
ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ও শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ও শেয়ার বাজারের পতন ও উত্থানের এই কাকতালকে প্রমাণ হিসেবে হাজির করেই এখন বিরোধীরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার প্রভাবিত করার অভিযোগ আনছেন।
বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটর অ্যাডাম শিফ এ বিষয়ে তদন্তেরও দাবি তুলেছেন।
একই দলের সিনেটর ক্রিস মার্ফি সামাজিক মাধ্যম এক্সের পোস্টে দাবি করেছেন, ইনসাইডার ট্রেডিং নিয়ে স্ক্যান্ডাল সামনে আসছে। তিনি বলেন, গত বুধবার সকালে ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে যে পোস্ট করেছেন তাতে স্পষ্ট তার কাছের মানুষজন যাতে টাকা বানাতে পারে সে বিষয়ে তিনি কতটা আগ্রহী ছিলেন। এজন্যই যে তথ্য শুধু তিনিই জানেন তা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
একই দলের আরেকজন রিপ্রেজেন্টটেটিভ আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ এই সময়ে কংগ্রেসের কোনো সদস্য পুঁজিবাজারে কেনাবেচা করেছেন কিনা সেই তথ্য চান।
ট্রাম্পের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকরা। তারা তার কাছে জানতে চান শুল্কারোপের
সিদ্ধান্ত স্থগিতের সিদ্ধান্ত তিনি কখন নেন।
ট্রাম্প জানান, সেদিন সকালেই। অবশ্য আমি কয়েকদিন থেকেই ভাবছিলাম।
আর হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, এটাই আর্ট অব দ্য ডিল, অর্থাৎ অন্য দেশকে চুক্তিতে আনার কৌশল।
চীন বাদে অন্যান্য দেশের ওপরে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিতের পর চাঙ্গা পুঁজিবাজারে আবারও দরপতন। চীন-যুক্তরাষ্ট্র পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে শুক্রবার নিউইয়র্ক স্টক মার্কেটের ছবি
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে চীনের কোনো কোনো পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। এর জবাবে চীনও যুক্তরাজ্যের পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশে নিয়ে ঠেকিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের শীর্ষ পুঁজিবাজারগুলোতে আবারও মন্দাভাব দেখা যাচ্ছে।
তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন নেমে এসেছে ডলারের মুদ্রামান।
আমদানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপকে ‘উত্ত্যক্ততা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চীনের সঙ্গে হাত মেলানোর আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, এই যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না।
আর দিলেও ট্রাম্প এখনও তার অবস্থানে অনড় রয়েছেন। তিনি বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক নীতির প্রভাব ইতিবাচক, খুব দ্রুতগতিতেই এর সুফল দেখা যাচ্ছে।
এদিকে কিছু দেশের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার কেনার সময় বাতলে দিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে বাজার প্রভাবিত করার অভিযোগ আনছেন তার বিরোধীরা। তারা বলছেন এই পদ্ধতিতে (ইনসাইডার ট্রেডিং) কাছের মানুষদের পুঁজিবাজার থেকে লাভ তুলে আনতে সহায়তা করেছেন ট্রাম্প।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, এখনই কেনার সবচেয়ে ভালো সময়।
এর চার ঘণ্টা পর চীন বাদে অধিকাংশ দেশের ওপর আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের স্থগিতের ঘোষণা দেন। এরপরই আবার বৈশ্বিক পুঁজিবাজার চাঙা হয়ে উঠতে শুরু করে। বাড়তে শুরু করে শেয়ারের দাম। অর্থাৎ, দাম পড়তির সময় যারা শেয়ার কিনেছিলেন তাদের লাভ হয়।
ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ও শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ও শেয়ার বাজারের পতন ও উত্থানের এই কাকতালকে প্রমাণ হিসেবে হাজির করেই এখন বিরোধীরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজার প্রভাবিত করার অভিযোগ আনছেন।
বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটর অ্যাডাম শিফ এ বিষয়ে তদন্তেরও দাবি তুলেছেন।
একই দলের সিনেটর ক্রিস মার্ফি সামাজিক মাধ্যম এক্সের পোস্টে দাবি করেছেন, ইনসাইডার ট্রেডিং নিয়ে স্ক্যান্ডাল সামনে আসছে। তিনি বলেন, গত বুধবার সকালে ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে যে পোস্ট করেছেন তাতে স্পষ্ট তার কাছের মানুষজন যাতে টাকা বানাতে পারে সে বিষয়ে তিনি কতটা আগ্রহী ছিলেন। এজন্যই যে তথ্য শুধু তিনিই জানেন তা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
একই দলের আরেকজন রিপ্রেজেন্টটেটিভ আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ এই সময়ে কংগ্রেসের কোনো সদস্য পুঁজিবাজারে কেনাবেচা করেছেন কিনা সেই তথ্য চান।
ট্রাম্পের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকরা। তারা তার কাছে জানতে চান শুল্কারোপের
সিদ্ধান্ত স্থগিতের সিদ্ধান্ত তিনি কখন নেন।
ট্রাম্প জানান, সেদিন সকালেই। অবশ্য আমি কয়েকদিন থেকেই ভাবছিলাম।
আর হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, এটাই আর্ট অব দ্য ডিল, অর্থাৎ অন্য দেশকে চুক্তিতে আনার কৌশল।