পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ড, ধারণা স্থানীয়দের
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার আমির হোসেনের বাড়ির রাস্তার পাশ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- মিজমিজি এলাকার স্বপ্না আক্তার (৩৫), তার ছোট বোন লামিয়া আক্তার (২২) এবং লামিয়ার সন্তান আব্দুল্লাহ হাবিব (৪)। তাদের মধ্যে স্বপ্না আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানায় এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় নিহত লামিয়ার স্বামী মো. ইয়াসিন (৪০) কে আটক করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ও পিবিআই ঘটনাস্থলে যায় এবং বস্তাগুলোর ভেতরে থাকা খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী জানায়, লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন একজন মাদকাসক্ত। সে মাদকের মামলায় কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। নেশার টাকার জন্য প্রায়ই ইয়াসিন তার স্ত্রী লামিয়াকে মারধর করতো। এমন হত্যাকাণ্ড পারিবারিক কলহের জের ধরেই ঘটে থাকতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে।
নিহত লামিয়ার অন্য বড়বোন শিরিন আক্তার জানায়, ‘স্বামী ইয়াসিনের সঙ্গে লামিয়ার পারবারিক কলহ লেগেই থাকতো। তবে আমার দুই বোন ও ভাগিনাকে কে বা কারা হত্যা করে বস্তাবন্দি করে মাটি চাপা দিয়েছে তা জানি না।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, মিজমিজি এলাকায় বস্তাবন্দী লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। আমরা ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করি। এর মধ্যে দুই নারীর খণ্ড-বিখণ্ড ও এক শিশুর মরদেহ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং কারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তা শনাক্তের কাজ করছে পিবিআই। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন)
তারেক আল মেহেদী বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে দু’জন নারী ও একজন শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ড, ধারণা স্থানীয়দের
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার আমির হোসেনের বাড়ির রাস্তার পাশ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- মিজমিজি এলাকার স্বপ্না আক্তার (৩৫), তার ছোট বোন লামিয়া আক্তার (২২) এবং লামিয়ার সন্তান আব্দুল্লাহ হাবিব (৪)। তাদের মধ্যে স্বপ্না আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানায় এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় নিহত লামিয়ার স্বামী মো. ইয়াসিন (৪০) কে আটক করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ও পিবিআই ঘটনাস্থলে যায় এবং বস্তাগুলোর ভেতরে থাকা খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী জানায়, লামিয়ার স্বামী ইয়াসিন একজন মাদকাসক্ত। সে মাদকের মামলায় কিছুদিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। নেশার টাকার জন্য প্রায়ই ইয়াসিন তার স্ত্রী লামিয়াকে মারধর করতো। এমন হত্যাকাণ্ড পারিবারিক কলহের জের ধরেই ঘটে থাকতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে।
নিহত লামিয়ার অন্য বড়বোন শিরিন আক্তার জানায়, ‘স্বামী ইয়াসিনের সঙ্গে লামিয়ার পারবারিক কলহ লেগেই থাকতো। তবে আমার দুই বোন ও ভাগিনাকে কে বা কারা হত্যা করে বস্তাবন্দি করে মাটি চাপা দিয়েছে তা জানি না।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানান, মিজমিজি এলাকায় বস্তাবন্দী লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। আমরা ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করি। এর মধ্যে দুই নারীর খণ্ড-বিখণ্ড ও এক শিশুর মরদেহ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং কারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তা শনাক্তের কাজ করছে পিবিআই। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন)
তারেক আল মেহেদী বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে দু’জন নারী ও একজন শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।