সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলা ভাষাভাষী নারী-পুরুষদের বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন,ভারত থেকে লোক ঠেলে দেওয়ার ঘটনা ‘উসকানি নয়’।
“আমি যখন বিজিবি ডিজি ছিলাম, তখনও এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসবকে আমি উসকানিমূলক মনে করি না।”
তিনি বলেন, “আমরা কাউকে জোর করে ফেরত পাঠাই না। ভারতকে অনুরোধ করেছি যেন প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রপার চ্যানেল দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।”
শনিবার সাতক্ষীরার রায়মঙ্গল নদী ও বয়েসিং খালের সংযোগস্থলে অবস্থিত ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও জানান, সম্প্রতি ভারতের গুজরাটে একটি বাঙালি বস্তি উচ্ছেদ করার পর থেকেই পুশ ইন বেড়েছে।
“এই প্রেক্ষিতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী ও রোহিঙ্গাদের ঠেলে দেওয়ার বিষয়েও আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
সীমান্তে নজরদারিতে ভাসমান বিওপি
সুন্দরবনের ৭৯ কিলোমিটার জলসীমায় এর আগে দুটি ভাসমান বিওপি স্থাপন করেছিল বিজিবি—কাঁচিকাটা ও আঠারোবেকিতে। এবার তৃতীয়টি স্থাপন করা হলো বয়েসিংয়ে, কারণ পূর্বের দুটি বিওপির মাঝে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ফাঁকা এলাকা ছিল।
“বয়েসিং ভাসমান বিওপি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেশনাল প্ল্যাটফর্ম। এটি সীমান্তের জলপথে টহল ও নজরদারি জোরদার করবে,” — বলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
‘পুশ ইন প্রতিরোধে জনগণের সহায়তা জরুরি’
বিওপি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন:
“পুশ ইন বেশি হচ্ছে সিলেট, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনশূন্য সীমান্ত দিয়ে।”
তিনি জানান, সীমান্তের বিস্তৃতি এতটাই বড় যে প্রতিটি জায়গায় টহল দেওয়া কঠিন। এজন্য জনগণ ও আনসার বাহিনীর সহায়তা চাওয়া হচ্ছে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে
পুশ ইন হওয়া লোকজনের মধ্যে জঙ্গি বা অপরাধী থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি বিজিবি প্রধান। “আমরা প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীর বিষয়েই সতর্ক। দেশের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ নজরদারি চলছে।”
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলা ভাষাভাষী নারী-পুরুষদের বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন,ভারত থেকে লোক ঠেলে দেওয়ার ঘটনা ‘উসকানি নয়’।
“আমি যখন বিজিবি ডিজি ছিলাম, তখনও এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এসবকে আমি উসকানিমূলক মনে করি না।”
তিনি বলেন, “আমরা কাউকে জোর করে ফেরত পাঠাই না। ভারতকে অনুরোধ করেছি যেন প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রপার চ্যানেল দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।”
শনিবার সাতক্ষীরার রায়মঙ্গল নদী ও বয়েসিং খালের সংযোগস্থলে অবস্থিত ‘বয়েসিং ভাসমান বিওপি’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও জানান, সম্প্রতি ভারতের গুজরাটে একটি বাঙালি বস্তি উচ্ছেদ করার পর থেকেই পুশ ইন বেড়েছে।
“এই প্রেক্ষিতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী ও রোহিঙ্গাদের ঠেলে দেওয়ার বিষয়েও আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।”
সীমান্তে নজরদারিতে ভাসমান বিওপি
সুন্দরবনের ৭৯ কিলোমিটার জলসীমায় এর আগে দুটি ভাসমান বিওপি স্থাপন করেছিল বিজিবি—কাঁচিকাটা ও আঠারোবেকিতে। এবার তৃতীয়টি স্থাপন করা হলো বয়েসিংয়ে, কারণ পূর্বের দুটি বিওপির মাঝে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ফাঁকা এলাকা ছিল।
“বয়েসিং ভাসমান বিওপি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অপারেশনাল প্ল্যাটফর্ম। এটি সীমান্তের জলপথে টহল ও নজরদারি জোরদার করবে,” — বলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
‘পুশ ইন প্রতিরোধে জনগণের সহায়তা জরুরি’
বিওপি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তিনি বলেন:
“পুশ ইন বেশি হচ্ছে সিলেট, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনশূন্য সীমান্ত দিয়ে।”
তিনি জানান, সীমান্তের বিস্তৃতি এতটাই বড় যে প্রতিটি জায়গায় টহল দেওয়া কঠিন। এজন্য জনগণ ও আনসার বাহিনীর সহায়তা চাওয়া হচ্ছে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে
পুশ ইন হওয়া লোকজনের মধ্যে জঙ্গি বা অপরাধী থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি বিজিবি প্রধান। “আমরা প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীর বিষয়েই সতর্ক। দেশের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ নজরদারি চলছে।”