আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিটিআরসি ভবনের মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আজ শুক্রবার তিনি এ তথ্য জানান।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইএসপি স্তরে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানো হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতে গুরুত্ব
আলোচনা সভায় উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ শিক্ষা খাতে ইন্টারনেট ব্যবহারে অনেক দূর এগিয়েছে। এখন কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতেও ইন্টারনেটকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে।” তিনি আরও জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজগুলোকে আরও সহজলভ্য করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করাই মানুষকে বিচ্ছিন্ন করা
জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আসিফ মাহমুদ বলেন,
*“ইন্টারনেট থেকে কাউকে বিচ্ছিন্ন করা মানেই তার জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা। আমরা দেখেছি, অভ্যুত্থানের সময় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রেখে কীভাবে তথ্য গোপন করা হয়েছিল।”*
তিনি বলেন, “পুনরায় ইন্টারনেট চালু হওয়ার পরই সেসব চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে—যেখানে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই নিপীড়ন ইন্টারনেট ছাড়া বিশ্বের সামনে আসত না।”
নারীদের জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেসের প্রতিশ্রুতি
নারীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একটি সুন্দর ও নিরাপদ সাইবার স্পেস তৈরিতে কাজ করছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের মাধ্যমে নারীদের জন্য একটি নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্ব
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন,
“যারা এখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না কিংবা কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করেন না, তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করলেই কেবল আমরা জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সঠিক পথে এগোতে পারব।”
তিনি জানান, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–সম্পর্কিত নীতিমালায় নারী ও পুরুষ—উভয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিটিআরসি ভবনের মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আজ শুক্রবার তিনি এ তথ্য জানান।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাসে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইএসপি স্তরে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানো হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়াতে গুরুত্ব
আলোচনা সভায় উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ শিক্ষা খাতে ইন্টারনেট ব্যবহারে অনেক দূর এগিয়েছে। এখন কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতেও ইন্টারনেটকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে।” তিনি আরও জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের কাজগুলোকে আরও সহজলভ্য করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করাই মানুষকে বিচ্ছিন্ন করা
জুলাই মাসের গণ-আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আসিফ মাহমুদ বলেন,
*“ইন্টারনেট থেকে কাউকে বিচ্ছিন্ন করা মানেই তার জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা। আমরা দেখেছি, অভ্যুত্থানের সময় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রেখে কীভাবে তথ্য গোপন করা হয়েছিল।”*
তিনি বলেন, “পুনরায় ইন্টারনেট চালু হওয়ার পরই সেসব চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে—যেখানে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই নিপীড়ন ইন্টারনেট ছাড়া বিশ্বের সামনে আসত না।”
নারীদের জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেসের প্রতিশ্রুতি
নারীদের ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একটি সুন্দর ও নিরাপদ সাইবার স্পেস তৈরিতে কাজ করছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়নের মাধ্যমে নারীদের জন্য একটি নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্ব
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন,
“যারা এখনো ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না কিংবা কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করেন না, তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করলেই কেবল আমরা জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সঠিক পথে এগোতে পারব।”
তিনি জানান, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–সম্পর্কিত নীতিমালায় নারী ও পুরুষ—উভয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।