আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড হলেও বাকি তিন আসামির খালাসে ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিশুর মা।
শনিবার সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
তারা আমার মেয়েকে মারতে সাহায্য করেছে
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শিশুটির মা সাংবাদিকদের বলেন,
*“হিটু শেখের সঙ্গে আরও তিনটা আসামি ছিল, তারা আমার মেয়েকে মারতে সহযোগিতা করেছে। তারা কীভাবে খালাস পেয়ে গেল?”
তিনি বলেন, “আমি চাই, ওরাও তো দোষী, ওদেরও শাস্তি হোক।”
মেয়ের জামাই সজীব শেখের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন,
“তার তো শালী, তার তো একটা দায়িত্ব ছিল। সে নিজেই ছেড়ে দিয়েছে। তাইলে আমরা এই রায়ে খুশি হলাম কীভাবে? আমি হাইকোর্টে যাব, যাতে ওই তিনজনেরও শাস্তি হয়।”
আপিলের ইঙ্গিত রাষ্ট্রপক্ষের
তিন আসামির খালাসের বিষয়ে আপিল করা হবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়োজিত বিশেষ কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী বলেন,
“আমরা রায়ের কপি সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শে উচ্চ আদালতে আপিল দায়েরের সম্ভাবনা রয়েছে।”
১৪ কর্ম দিবসেই বিচার শেষ
প্রসিকিউশন পক্ষের তথ্যমতে, এই মামলার বিচার মাত্র ১৪ কর্ম দিবসে সম্পন্ন হয়েছে। এটি দেশের বিচার ব্যবস্থায় দ্রুততম নিষ্পত্তিকৃত একটি মামলা বলে উল্লেখ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।
গত ৬ মার্চ, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ১১ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ১৩ মার্চ, সে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড হলেও বাকি তিন আসামির খালাসে ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিশুর মা।
শনিবার সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
তারা আমার মেয়েকে মারতে সাহায্য করেছে
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শিশুটির মা সাংবাদিকদের বলেন,
*“হিটু শেখের সঙ্গে আরও তিনটা আসামি ছিল, তারা আমার মেয়েকে মারতে সহযোগিতা করেছে। তারা কীভাবে খালাস পেয়ে গেল?”
তিনি বলেন, “আমি চাই, ওরাও তো দোষী, ওদেরও শাস্তি হোক।”
মেয়ের জামাই সজীব শেখের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন,
“তার তো শালী, তার তো একটা দায়িত্ব ছিল। সে নিজেই ছেড়ে দিয়েছে। তাইলে আমরা এই রায়ে খুশি হলাম কীভাবে? আমি হাইকোর্টে যাব, যাতে ওই তিনজনেরও শাস্তি হয়।”
আপিলের ইঙ্গিত রাষ্ট্রপক্ষের
তিন আসামির খালাসের বিষয়ে আপিল করা হবে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়োজিত বিশেষ কৌঁসুলি এহসানুল হক সমাজী বলেন,
“আমরা রায়ের কপি সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করব। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শে উচ্চ আদালতে আপিল দায়েরের সম্ভাবনা রয়েছে।”
১৪ কর্ম দিবসেই বিচার শেষ
প্রসিকিউশন পক্ষের তথ্যমতে, এই মামলার বিচার মাত্র ১৪ কর্ম দিবসে সম্পন্ন হয়েছে। এটি দেশের বিচার ব্যবস্থায় দ্রুততম নিষ্পত্তিকৃত একটি মামলা বলে উল্লেখ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।
গত ৬ মার্চ, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ১১ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ১৩ মার্চ, সে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।