ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে হত্যার সংখ্যা ‘বেড়ে গেছে’, আপাতদৃষ্টিতে এমন মনে হলেও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে, এর পেছনের মূল কারণ নতুন করে অপরাধ ‘বৃদ্ধি নয়’ বরং দীর্ঘদিন ‘দমনকৃত ও রেকর্ডবিহীন থাকা’ বহু হত্যা মামলা ‘পুনঃনথিভুক্ত হওয়ায়’ এ চিত্র তৈরি হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ মাস
হত্যার পরিসংখ্যান বেড়েছে পুরোনো মামলা আবার নথিভুক্ত হওয়ায়
চুরির ঘটনা কমেছে যা আইনশৃঙ্খলার উন্নতির ইঙ্গিত
শেখ হাসিনার আমলে অপরাধের তথ্য কম দেখানো হতো
ক্ষমতাসীনরা ভুক্তভোগীদের মামলা করতে বাধা দিত
নাগরিকরা এখন নির্দ্বিধায় অভিযোগ করতে পারছে
গড় হিসেব বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৮ মাসে ৩২২টি হত্যা মামলা বেশী হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ৩৩৩৯টি বেশী হয়েছে; অপহরণ মামলা ২৮৮টি বেশী হয়েছে।
সরকারপ্রধানের প্রেস শাখা আরও বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দাঙ্গা, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধ ‘উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে’, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির একটি তুলনামূলক চিত্র প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠান।
‘২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত অপরাধের তুলনামূলক চিত্র এখানে তুলে ধরা হলো’ শিরোনামে ওই বিবৃতির শুরুতে ‘হত্যাকা-’ প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের গত ১৩ মাসে হত্যাকাণ্ডের হার বেশি বলে মনে হলেও এর আংশিক কারণ হলো, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে কমপক্ষে ১ হাজার ১৩০টি হত্যাকাণ্ডের মামলা ৬ আগস্ট ২০২৪ এর (অভ্যূত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন) পর থেকে চলতি বছরের আগস্টের পর্যন্ত দায়ের করা হয়েছে।’
হত্যা, নারী ও শিশ নির্যাতন, অপহরণ
বিবৃতির সঙ্গে অপরাধের যে পরিসংখ্যান প্রেস উইং পাঠিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪ সালে (১২ মাসে) দেশে হত্যা মামলা হয়েছে ৩ হাজার ৪৪০টি।
অভ্যূত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় ওই বছর ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত (৮ মাস) দেশে খুনের মামলা হয়েছে ২ হাজার ৬১৬টি।
২০২৪ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৬৪টি। চলতি বছর আগস্ট (৮ মাস) পর্যন্ত একই ইস্যুতে মামলা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৯টি। ২০২৪ সালে অপহরণ মামলা হয়েছে ৬৪২টি। চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত অপহরণ মামলা হয়েছে ৭১৬টি।
গড় হিসেব বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিগত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৮ মাসে হত্যা মামলা ৩২২টি মামলা বেশী হয়েছে। একই হিসেবে এ বছর নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ৩৩৩৯টি বেশী হয়েছে; অপহরণ মামলা ২৮৮টি বেশী হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অনেক হত্যার মামলা বিগত ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে দায়ের করা যায়নি। পুলিশকে মামলা নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পরেই এসব তথ্য সামনে এসেছে এবং মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়েছে।’
অন্যান্য অপরাধ কি বেড়েছে?
‘অন্যান্য অপরাধ কি বেড়েছে’- এমন প্রশ্ন রেখে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিগত বছরের তুলনায় ২০২৫ সালে অনেক ধরনের অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে হলেও এর আংশিক হচ্ছে এখন মানুষ রাজনৈতিক প্রভাবশালী অপরাধীদের বিরুদ্ধেও সহজে মামলা করতে পারছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা আগে ভুক্তভোগীদের মামলা করতে বাধা দিত, বিশেষ করে যদি অপরাধীরা তাদের দলের কর্মী হয়। শেখ হাসিনার আমলে অপরাধের তথ্য কম দেখানো হতো। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিতেও পুলিশ অনিচ্ছুক ছিল।’
ডেটাসেট থেকে উদাহরণ
‘ডেটাসেট থেকে উদাহরণ’- এর তথ্য দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০২৪ সালে ডাকাতির ঘটনা ছিল ১ হাজার ৪০৫। ২০২৫ সালে তা কমে ১ হাজার ৩১৪ হয়েছে।’ তবে ২০২৩ সালের এর প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ডাকাতির ঘটনা এখনও বেশি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘সমস্ত ডাকাতির ঘটনা এখন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই থানায় রেকর্ড করা হচ্ছে। থানাগুলোর মধ্যে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যার কারণে নাগরিকরা ভয় বা দ্বিধা ছাড়াই অপরাধের অভিযোগ করতে পারছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ এর অধীনে ২০২৪ সালে অপরাধের সংখ্যা ১ হাজার ২২৬ (২০২৪) থেকে কমে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৬৫১ এ। দাঙ্গার ঘটনাও ১২৫ (২০২৪ সাল) থেকে কমে ৫৯ (২০২৫ সাল) হয়েছে। চুরির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে ৮ হাজার ৬৫২ (২০২৪ সাল) থেকে কমে ৬ হাজার ৩৫৪ (২০২৫ সাল) হয়েছে।
*সাধারণ অপরাধ*
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ থেকে বোঝা যায়, রিপোর্ট করা সহিংস অপরাধ (যেমন খুন) বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ অপরাধ নিম্নমুখী প্রবণতার দিকে ঝুঁকছে, যা উন্নত আইন প্রয়োগ এবং সঠিকভাবে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া উভয়ের দিকেই ইঙ্গিত করে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের আগস্ট থেকে খুন এবং কিছু অপরাধের বৃদ্ধি কেবল সহিংসতার বৃদ্ধি নয় বরং দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা মামলাগুলো অবশেষে দায়ের হওয়ার প্রতিফলন। গত ১৩ মাসে রেকর্ড করা মামলার মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালে সংঘটিত হত্যার ঘটনাও হয়েছে।’
অপরাধমূলক জবাবদিহিতা উন্নত হয়েছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ভয় ছাড়াই এখন ভুক্তভোগীরা রিপোর্ট করতে পারছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে কোনো নাগরিককে নিরুৎসাহিত করেন না বা বাধা দেন না।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে, ‘কয়েকটি ক্যাটাগরিতে, বিশেষ করে চুরির ঘটনা প্রকৃতপক্ষে কমেছে যা আইনশৃঙ্খলার উন্নতির পাশাপাশি স্বাধীনভাবে মামলা দায়ের করার পরিবেশকে ইঙ্গিত করছে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে হত্যার সংখ্যা ‘বেড়ে গেছে’, আপাতদৃষ্টিতে এমন মনে হলেও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে, এর পেছনের মূল কারণ নতুন করে অপরাধ ‘বৃদ্ধি নয়’ বরং দীর্ঘদিন ‘দমনকৃত ও রেকর্ডবিহীন থাকা’ বহু হত্যা মামলা ‘পুনঃনথিভুক্ত হওয়ায়’ এ চিত্র তৈরি হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ মাস
হত্যার পরিসংখ্যান বেড়েছে পুরোনো মামলা আবার নথিভুক্ত হওয়ায়
চুরির ঘটনা কমেছে যা আইনশৃঙ্খলার উন্নতির ইঙ্গিত
শেখ হাসিনার আমলে অপরাধের তথ্য কম দেখানো হতো
ক্ষমতাসীনরা ভুক্তভোগীদের মামলা করতে বাধা দিত
নাগরিকরা এখন নির্দ্বিধায় অভিযোগ করতে পারছে
গড় হিসেব বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৮ মাসে ৩২২টি হত্যা মামলা বেশী হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ৩৩৩৯টি বেশী হয়েছে; অপহরণ মামলা ২৮৮টি বেশী হয়েছে।
সরকারপ্রধানের প্রেস শাখা আরও বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দাঙ্গা, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধ ‘উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে’, যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির একটি তুলনামূলক চিত্র প্রকাশ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠান।
‘২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত অপরাধের তুলনামূলক চিত্র এখানে তুলে ধরা হলো’ শিরোনামে ওই বিবৃতির শুরুতে ‘হত্যাকা-’ প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের গত ১৩ মাসে হত্যাকাণ্ডের হার বেশি বলে মনে হলেও এর আংশিক কারণ হলো, শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে কমপক্ষে ১ হাজার ১৩০টি হত্যাকাণ্ডের মামলা ৬ আগস্ট ২০২৪ এর (অভ্যূত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন) পর থেকে চলতি বছরের আগস্টের পর্যন্ত দায়ের করা হয়েছে।’
হত্যা, নারী ও শিশ নির্যাতন, অপহরণ
বিবৃতির সঙ্গে অপরাধের যে পরিসংখ্যান প্রেস উইং পাঠিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪ সালে (১২ মাসে) দেশে হত্যা মামলা হয়েছে ৩ হাজার ৪৪০টি।
অভ্যূত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় ওই বছর ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত (৮ মাস) দেশে খুনের মামলা হয়েছে ২ হাজার ৬১৬টি।
২০২৪ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৬৪টি। চলতি বছর আগস্ট (৮ মাস) পর্যন্ত একই ইস্যুতে মামলা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৯টি। ২০২৪ সালে অপহরণ মামলা হয়েছে ৬৪২টি। চলতি বছর আগস্ট পর্যন্ত অপহরণ মামলা হয়েছে ৭১৬টি।
গড় হিসেব বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিগত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম ৮ মাসে হত্যা মামলা ৩২২টি মামলা বেশী হয়েছে। একই হিসেবে এ বছর নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ৩৩৩৯টি বেশী হয়েছে; অপহরণ মামলা ২৮৮টি বেশী হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অনেক হত্যার মামলা বিগত ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে দায়ের করা যায়নি। পুলিশকে মামলা নিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পরেই এসব তথ্য সামনে এসেছে এবং মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়েছে।’
অন্যান্য অপরাধ কি বেড়েছে?
‘অন্যান্য অপরাধ কি বেড়েছে’- এমন প্রশ্ন রেখে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিগত বছরের তুলনায় ২০২৫ সালে অনেক ধরনের অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে হলেও এর আংশিক হচ্ছে এখন মানুষ রাজনৈতিক প্রভাবশালী অপরাধীদের বিরুদ্ধেও সহজে মামলা করতে পারছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা আগে ভুক্তভোগীদের মামলা করতে বাধা দিত, বিশেষ করে যদি অপরাধীরা তাদের দলের কর্মী হয়। শেখ হাসিনার আমলে অপরাধের তথ্য কম দেখানো হতো। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিতেও পুলিশ অনিচ্ছুক ছিল।’
ডেটাসেট থেকে উদাহরণ
‘ডেটাসেট থেকে উদাহরণ’- এর তথ্য দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০২৪ সালে ডাকাতির ঘটনা ছিল ১ হাজার ৪০৫। ২০২৫ সালে তা কমে ১ হাজার ৩১৪ হয়েছে।’ তবে ২০২৩ সালের এর প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ডাকাতির ঘটনা এখনও বেশি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘সমস্ত ডাকাতির ঘটনা এখন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই থানায় রেকর্ড করা হচ্ছে। থানাগুলোর মধ্যে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, যার কারণে নাগরিকরা ভয় বা দ্বিধা ছাড়াই অপরাধের অভিযোগ করতে পারছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ এর অধীনে ২০২৪ সালে অপরাধের সংখ্যা ১ হাজার ২২৬ (২০২৪) থেকে কমে ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৬৫১ এ। দাঙ্গার ঘটনাও ১২৫ (২০২৪ সাল) থেকে কমে ৫৯ (২০২৫ সাল) হয়েছে। চুরির ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে ৮ হাজার ৬৫২ (২০২৪ সাল) থেকে কমে ৬ হাজার ৩৫৪ (২০২৫ সাল) হয়েছে।
*সাধারণ অপরাধ*
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ থেকে বোঝা যায়, রিপোর্ট করা সহিংস অপরাধ (যেমন খুন) বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ অপরাধ নিম্নমুখী প্রবণতার দিকে ঝুঁকছে, যা উন্নত আইন প্রয়োগ এবং সঠিকভাবে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া উভয়ের দিকেই ইঙ্গিত করে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের আগস্ট থেকে খুন এবং কিছু অপরাধের বৃদ্ধি কেবল সহিংসতার বৃদ্ধি নয় বরং দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা মামলাগুলো অবশেষে দায়ের হওয়ার প্রতিফলন। গত ১৩ মাসে রেকর্ড করা মামলার মধ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালে সংঘটিত হত্যার ঘটনাও হয়েছে।’
অপরাধমূলক জবাবদিহিতা উন্নত হয়েছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ভয় ছাড়াই এখন ভুক্তভোগীরা রিপোর্ট করতে পারছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে কোনো নাগরিককে নিরুৎসাহিত করেন না বা বাধা দেন না।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলছে, ‘কয়েকটি ক্যাটাগরিতে, বিশেষ করে চুরির ঘটনা প্রকৃতপক্ষে কমেছে যা আইনশৃঙ্খলার উন্নতির পাশাপাশি স্বাধীনভাবে মামলা দায়ের করার পরিবেশকে ইঙ্গিত করছে।’