ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার ‘যৌক্তিক মনে করছে না’ নির্বাচন কমিশন
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ৪২ হাজার ৬১৮টি সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার,(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবারের খসড়া তালিকা অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়লেও ভোটকক্ষের সংখ্যা কমেছে। ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। একইদিনে কমিশন জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এ ভোটারদের জন্য গড়ে প্রতি ৩ হাজার জনের জন্য একটি কেন্দ্র ধরে খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সে হিসাবে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৬১৮টি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি। অর্থাৎ কেন্দ্র বাড়ছে ৪৬৮টি।
তবে ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে ভোটকক্ষের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত কমিশন নিয়েছে বলে জানান ইসি সচিব। এবার মোট ভোটকক্ষ থাকছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। গত নির্বাচনে ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২টি ভোটকক্ষ ছিল। গতবারের চেয়ে প্রায় ১৭ হাজার ৪২৬টি কম। এরমধ্যে পুরুষ ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি এবং নারী ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি।
ইসি সচিব জানান, সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬০০ জন পুরুষ ভোটারের জন্য একটি এবং ৫০০ জন নারী ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে ৫০০ পুরুষ ও ৪০০ নারী ভোটারের জন্য একটি করে কক্ষ নির্ধারণের বিধান ছিল।
প্রকাশিত খসড়া তালিকার ওপর যে কোনো দাবি বা আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। আপত্তিগুলো ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিষ্পত্তি করে ২০ অক্টোবর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়টিকে ‘যৌক্তিক মনে করছে না’ নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে ইসির ‘করণীয় কিছু নেই’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
গত ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত সরকারের এক সভায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের বিষয়ে নির্দেশনা এসেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসির করণীয় জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। জবাবে ইসি জানিয়েছে, সিসিটিভি ও পুলিশের বডিওর্ন ক্যামেরা নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ৪৫ হাজার কেন্দ্রের জন্য এত সিসি ক্যামেরা কেনা যৌক্তিক নয়। একদিনের জন্য ভাড়া বা আউটসোর্স করেও এত ক্যামেরা পাওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে।
ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার ‘যৌক্তিক মনে করছে না’ নির্বাচন কমিশন
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ৪২ হাজার ৬১৮টি সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার,(১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবারের খসড়া তালিকা অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়লেও ভোটকক্ষের সংখ্যা কমেছে। ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। একইদিনে কমিশন জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এ ভোটারদের জন্য গড়ে প্রতি ৩ হাজার জনের জন্য একটি কেন্দ্র ধরে খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সে হিসাবে সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৬১৮টি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি। অর্থাৎ কেন্দ্র বাড়ছে ৪৬৮টি।
তবে ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে ভোটকক্ষের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত কমিশন নিয়েছে বলে জানান ইসি সচিব। এবার মোট ভোটকক্ষ থাকছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। গত নির্বাচনে ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২টি ভোটকক্ষ ছিল। গতবারের চেয়ে প্রায় ১৭ হাজার ৪২৬টি কম। এরমধ্যে পুরুষ ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি এবং নারী ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি।
ইসি সচিব জানান, সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী এখন থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬০০ জন পুরুষ ভোটারের জন্য একটি এবং ৫০০ জন নারী ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে ৫০০ পুরুষ ও ৪০০ নারী ভোটারের জন্য একটি করে কক্ষ নির্ধারণের বিধান ছিল।
প্রকাশিত খসড়া তালিকার ওপর যে কোনো দাবি বা আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর। আপত্তিগুলো ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিষ্পত্তি করে ২০ অক্টোবর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়টিকে ‘যৌক্তিক মনে করছে না’ নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে ইসির ‘করণীয় কিছু নেই’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
গত ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত সরকারের এক সভায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপনের বিষয়ে নির্দেশনা এসেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসির করণীয় জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। জবাবে ইসি জানিয়েছে, সিসিটিভি ও পুলিশের বডিওর্ন ক্যামেরা নিয়ে কমিশনের কিছু করার নেই।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ৪৫ হাজার কেন্দ্রের জন্য এত সিসি ক্যামেরা কেনা যৌক্তিক নয়। একদিনের জন্য ভাড়া বা আউটসোর্স করেও এত ক্যামেরা পাওয়া সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন এবং চলতি বছরের ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে।