দেশে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এ টিকাদান কর্মসূচি, যার নিবন্ধন শুরু হয় দেড় মাস আগে। ইতিমধ্যে ৮৯ লাখ ২৭ হাজার শিশুর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে, এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখনও চলছে।
রোববার ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির অগ্রগতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর। তিনি জানান, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নিবন্ধন বাড়াতে কাজ করছে অধিদপ্তর। পাশাপাশি স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিবন্ধনে অংশ নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, “আমাদের টার্গেট প্রায় ৫ কোটি। নিবন্ধন পর্যাপ্ত না হলে আমরা আলাপ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। সেটা কী হবে, তা এখনই বলতে পারছি না।” তিনি স্বীকার করেন, নিবন্ধনে মানুষের আগ্রহ কিছুটা কম।
“আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম যে লোকজন… আমার পরিবারেই দেখলাম যে… মানে সমস্যা আছে। সবাই জানেও না যে এইটা এরকম। আমার তিন নাতি-নাতনি আছে, জিজ্ঞেস করলাম তারা নিবন্ধন করেছে কি না, তারা বলে ‘না তো’; সবাই ব্যস্ত।”
নিবন্ধনে আগ্রহী করতে ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ জানান। এ ছাড়া জনসচেতনতা বাড়াতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
“দেশে সাড়ে তিন লাখ মসজিদ আছে। সমাজে ইমামদের একটা আলাদা ভাবমূর্তি আছে। লোকজন তাদের সম্মান করেন, অনুসরণ করেন, তাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে করেন। ইমামরা যদি জুমার খুতবার আগে বা পরে বিষয়টি নিয়ে বলেন, তাহলে মানুষের মনে বিশ্বাস আসবে; আমাদের কর্মসূচি সফল হবে।”
অধ্যাপক আবু জাফর জানান, টাইফয়েডের টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি অন্য টিকার মতোই নেওয়া যায়। টিকা নেওয়ার পর সতর্কতা হিসেবে ৩০ মিনিট টিকাদান কেন্দ্রে অবস্থান করার পরামর্শ দেন তিনি।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ১৮ কর্মদিবস টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ১০ কর্মদিবস বিদ্যালয়ে, আর পরের ৮ কর্মদিবস টিকাদান কেন্দ্রে শিশু-কিশোররা টিকা পাবে।
টাইফয়েডের টিকাদানের জন্য ১ আগস্ট থেকে অনলাইনে (vaxepi.gov.bd/registration/tcv) নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের জন্য ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হবে।
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশে প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এ টিকাদান কর্মসূচি, যার নিবন্ধন শুরু হয় দেড় মাস আগে। ইতিমধ্যে ৮৯ লাখ ২৭ হাজার শিশুর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে, এবং নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখনও চলছে।
রোববার ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির অগ্রগতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর। তিনি জানান, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নিবন্ধন বাড়াতে কাজ করছে অধিদপ্তর। পাশাপাশি স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিবন্ধনে অংশ নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মহাপরিচালক বলেন, “আমাদের টার্গেট প্রায় ৫ কোটি। নিবন্ধন পর্যাপ্ত না হলে আমরা আলাপ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। সেটা কী হবে, তা এখনই বলতে পারছি না।” তিনি স্বীকার করেন, নিবন্ধনে মানুষের আগ্রহ কিছুটা কম।
“আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম যে লোকজন… আমার পরিবারেই দেখলাম যে… মানে সমস্যা আছে। সবাই জানেও না যে এইটা এরকম। আমার তিন নাতি-নাতনি আছে, জিজ্ঞেস করলাম তারা নিবন্ধন করেছে কি না, তারা বলে ‘না তো’; সবাই ব্যস্ত।”
নিবন্ধনে আগ্রহী করতে ব্যাপক প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ জানান। এ ছাড়া জনসচেতনতা বাড়াতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
“দেশে সাড়ে তিন লাখ মসজিদ আছে। সমাজে ইমামদের একটা আলাদা ভাবমূর্তি আছে। লোকজন তাদের সম্মান করেন, অনুসরণ করেন, তাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে করেন। ইমামরা যদি জুমার খুতবার আগে বা পরে বিষয়টি নিয়ে বলেন, তাহলে মানুষের মনে বিশ্বাস আসবে; আমাদের কর্মসূচি সফল হবে।”
অধ্যাপক আবু জাফর জানান, টাইফয়েডের টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি অন্য টিকার মতোই নেওয়া যায়। টিকা নেওয়ার পর সতর্কতা হিসেবে ৩০ মিনিট টিকাদান কেন্দ্রে অবস্থান করার পরামর্শ দেন তিনি।
আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ১৮ কর্মদিবস টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ১০ কর্মদিবস বিদ্যালয়ে, আর পরের ৮ কর্মদিবস টিকাদান কেন্দ্রে শিশু-কিশোররা টিকা পাবে।
টাইফয়েডের টিকাদানের জন্য ১ আগস্ট থেকে অনলাইনে (vaxepi.gov.bd/registration/tcv) নিবন্ধন শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের জন্য ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হবে।