চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান এ জাতিকে ‘নতুন করে জন্ম দেওয়ার’ যে সুযোগ এনে দিয়েছে, মতভিন্নতার কারণে তা যেন হারাতে না হয়, সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, “এই একমাত্র সুযোগ। আমাদেরকে এটা গ্রহণ করতেই হবে। এটা থেকে বিচ্যুত হবার উপায় নেই। সমঝোতা বলেন, ঐক্য বলেন, যাই বলেন, যখন নির্বাচনে যাব, একমত হয়ে সবাই যাব। এর মধ্যে কোনো দ্বিমত আর আমরা রাখব না।”
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের পথ খুঁজতে রোববার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দিয়ে এ আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সামনে রেখে ইউনূস বলেন, “আমার একান্ত আবেদন, যখনই আপনারা এই সনদ করবেন, কোলাকুলি করে, যে হ্যাঁ, ‘আমরা একমত হয়ে গেছি’। তাহলে নির্বাচন ইত্যাদি সব সার্থক হবে।”
জুলাই অভ্যুত্থান রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ এনে দিয়েছে, ইউনূস তাকে তুলনা করেন আলাদিনের প্রদীপের দৈত্যের সঙ্গে।
“আলাদিনের প্রদীপে ঘষা দিলে একটা দৈত্য বেরিয়ে আসে। দৈত্য এসে জিজ্ঞেস করে, কী করতে হবে আমার। এই যে প্রশ্নটা করে, এটার উত্তরে নানাভাবে দেওয়া যায়। বলতে পারে যে আমার জন্য এক কাপ চা নিয়ে এসো। সে চা নিয়ে আসবে। তাকে যদি বলা হয় সারা দুনিয়া আমার কাছে নিয়ে আস, সারা দুনিয়া নিয়ে আসত।
“এখন ছাত্র জনতা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই দৈত্য সৃষ্টি করে দিয়েছে আমাদেরকে। আমরা তার কাছে কী চাইব? আমরা কি তার কাছে এক কাপ চা চাইব? নাকি আমাদের দুনিয়া পাল্টে ফেলতে চাইব? এটা আমাদের হাতে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এই জাতিকে একেবারে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তৈরি করে দিয়ে যাব, আমাদের হাতে সুযোগটা এসেছে, ছাত্রজনতা আমাদেরকে এই সুযোগটা দিয়েছে।
“সেখানে ছোটখাটো বিষয়ের মধ্যে আটকে গিয়ে আমরা যেন মূল, বড় জিনিস হরিয়ে না ফেলি। আমরা বড় জিনিসের জন্য যাই, যে এই জাতিকে আমরা যেভাবে চালু করে দিলাম, এটা খালি উপর দিকে উঠবে; নিচে, ডানে, বায়ে তাকানোর আর দরকার নাই, ওই অংশটা করা।”
ইউনূসের ভাষায়, বাংলাদেশে আর কখনো যেন ‘স্বৈরাচার’ আসন গেড়ে বসতে না পারে, সেই পথ বন্ধ করতেই এত সংস্কার করতে হচ্ছে।
“তো সেই স্বৈরাচারকে বন্ধ করতে হলে আমাদেরকে সব একমত হয়ে এটা করতে হবে। দ্বিমতের কোনো জায়গা এখানে (জুলাই সনদে) নাই। আমরা অনেক কথা বলতে পারি, কিন্তু দ্বিমত করে সমাপ্ত করতে পারব না।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যেহেতু আমাদের ওই লক্ষ্যটা আছে। ওই দৈত্যকে আমরা সবচাইতে বড় কাজটা দেব। যেটা আর আর কেউ কোনোদিন চাইবারও সুযোগ পাবে না, এই দৈত্যও কোনোদিন পাবে না। একবারই পাচ্ছি আমরা এই দৈত্য। এই দৈত্যকে আমাদের মনের সমস্ত আশা তার ঘাড়ে দিয়ে দেব, যে এটি আমাদের পূরণ করে দাও। সে জিনিসের দিকে আমারা যেতে চাই।”
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই যে নির্বাচন হবে, সেই প্রতিশ্রুতি আবারো তুলে ধরে ইউনূস বলেন, “আজকে এই পর্বের সমাপ্তি হল, তারপরে এখান থেকে আমাদেরকে নির্বাচন পর্যন্ত কীভাবে নিয়ে যাবেন, যাতে এই উৎসবের মধ্যেই নির্বাচনটা হয়ে যাবে। ভেতরে কোনোরকমের দুশ্চিন্তা রেখে যেন আমাদেরকে নির্বাচনে ঢুকতে না হয়।”
তিনি বলেন, “উৎসব এখান থেকেই সৃষ্টি হবে, এ উৎসব নিয়েই নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধেই হবে। এটা পরিষ্কার করে হবে। আর বাকিগুলো হলো ডিটেইলস। এটি হল পথ, আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি, এই পথেই আমরা যাব।
“পথ ঠিক আছে, তারপর এখন এখান থেকে কোথায় সাইনবোর্ড কী কী দিতে হবে সেগুলো পরের কথা। আমাদের যাত্রাপথ, আমাদের গন্তব্য পরিষ্কার, এটা পরিষ্কার করেন।”
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আর সনির্বন্ধ আবেদন, এটা শুধু আমার একার আবেদন না, সারা দেশবাসীর আবেদন, সবাই চায়, সবাই এটা থেকে মুক্ত হতে চায়, যেসব জিনিস হয়ে গেছে, তার থেকে মুক্ত হতে চায়।
“সমস্ত পথঘাট বন্ধ করতে চায়, যাতে কোনো জায়গা দিয়ে কেউ কোনো দিক ঢুকতে না পারে, প্রবেশ করার কোনো সুযোগ না পায়।”
বাংলাদেশ যদি সংস্কারের সেই লক্ষ্য পূরণ করে সফলভাবে নির্বাচন করে ফেলতে পারে, তাহলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশও বাংলাদেশের কাছে ‘শিখতে আসবে’ বলে ইউনূসের বিশ্বাস।
তিনি বলেন, “এখনো হয়ত আমরা সবাই বুঝতেছি না, যে ঐক্যমত্য কমিশন আমাদের কী দিয়েছে, কী পেয়েছি। এক বছর পরে যখন এদিকে ফিরে দেখবেন, তখন বুঝতেপারবেন, কী মহাকাণ্ড আপনারা করেছেন। দুই বছর দশ বছর পরে যখন অন্যরা দেখবে, তারা অবাক বিস্ময়ে তাকাবে, কী কী কাণ্ডটা আপনারা করেছেন।
“সেটা যেন নিখুঁত হয়, নির্দোষ হয়, এমনভাবে আমরা করব, যে এটা থেকে একটা নতুন জাতি জন্মগ্রহণ করল। আপনারা জন্মগ্রহণের এই সূতিকাগারটা তৈরি করে দিলেন, এখন সে তরতর করে এগিয়ে যেতে থাকবে। সেই আবেদন আপনাদের কাছে।”
ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো আর ঐকমত্য কমিশন এ পর্যন্ত যতটুকু করেছে, তা ইতিহাসের একটি ‘স্মরণীয় অধ্যায়’ হয়ে থাকবে।
“এটাকে একেবারে নিখুঁত করার জন্য আর যে কয়টা দিন বাকি আছে নির্বাচন পর্যন্ত, যাতে করে কোনো রকমের মনের মধ্যে কষ্ট না নিয়ে, কোনো রকমের মনের মধ্যে খুঁতখুঁতি না নিয়ে নির্বাচন করতে পারি, যে হ্যাঁ, আমরা জানি কী অর্জন করতে চাচ্ছি, আমরা কী অর্জন– পরিষ্কার আমাদের সামনে। আমরা সবাই মিলে করছি, আমরা কিছু বোঝাপড়া করেছি, এটা দেশের জন্য করেছি, জাতির জন্য করেছি।
“এটাই একমাত্র সুযোগ। এই সুযোগ আর জীবনে আসবে না, আলাদিনের সেই দৈত্য আর ফিরে আসবে না। সে একবারই জিজ্ঞেস করবে, আর জিজ্ঞেসও করবে না। আর আমরা সুযোগও পাব না। কাজেই এবারই যেন আমরা সেটা সমাপ্ত করতে পারি।”
রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবার সাফল্য কামনা করছি, এবং দেশের মঙ্গল হোক। যে সমস্ত ভয়ঙ্কর কথাবার্তা আমরা শুনি, সেই ভয়ঙ্কর কথাবার্তা যেন বাস্তবে আমাদেরকে দেখতে না হয়।
“আমরা সুন্দরভাবে নির্বাচন করে, নতুন যাত্রা শুরু করব জাতি হিসেবে, মহা উৎসবে আমরা যাত্রা শুরু করব। সবাইকে ধন্যবাদ।”
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান এ জাতিকে ‘নতুন করে জন্ম দেওয়ার’ যে সুযোগ এনে দিয়েছে, মতভিন্নতার কারণে তা যেন হারাতে না হয়, সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, “এই একমাত্র সুযোগ। আমাদেরকে এটা গ্রহণ করতেই হবে। এটা থেকে বিচ্যুত হবার উপায় নেই। সমঝোতা বলেন, ঐক্য বলেন, যাই বলেন, যখন নির্বাচনে যাব, একমত হয়ে সবাই যাব। এর মধ্যে কোনো দ্বিমত আর আমরা রাখব না।”
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের পথ খুঁজতে রোববার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যোগ দিয়ে এ আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সামনে রেখে ইউনূস বলেন, “আমার একান্ত আবেদন, যখনই আপনারা এই সনদ করবেন, কোলাকুলি করে, যে হ্যাঁ, ‘আমরা একমত হয়ে গেছি’। তাহলে নির্বাচন ইত্যাদি সব সার্থক হবে।”
জুলাই অভ্যুত্থান রাষ্ট্র সংস্কারের যে সুযোগ এনে দিয়েছে, ইউনূস তাকে তুলনা করেন আলাদিনের প্রদীপের দৈত্যের সঙ্গে।
“আলাদিনের প্রদীপে ঘষা দিলে একটা দৈত্য বেরিয়ে আসে। দৈত্য এসে জিজ্ঞেস করে, কী করতে হবে আমার। এই যে প্রশ্নটা করে, এটার উত্তরে নানাভাবে দেওয়া যায়। বলতে পারে যে আমার জন্য এক কাপ চা নিয়ে এসো। সে চা নিয়ে আসবে। তাকে যদি বলা হয় সারা দুনিয়া আমার কাছে নিয়ে আস, সারা দুনিয়া নিয়ে আসত।
“এখন ছাত্র জনতা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই দৈত্য সৃষ্টি করে দিয়েছে আমাদেরকে। আমরা তার কাছে কী চাইব? আমরা কি তার কাছে এক কাপ চা চাইব? নাকি আমাদের দুনিয়া পাল্টে ফেলতে চাইব? এটা আমাদের হাতে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এই জাতিকে একেবারে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তৈরি করে দিয়ে যাব, আমাদের হাতে সুযোগটা এসেছে, ছাত্রজনতা আমাদেরকে এই সুযোগটা দিয়েছে।
“সেখানে ছোটখাটো বিষয়ের মধ্যে আটকে গিয়ে আমরা যেন মূল, বড় জিনিস হরিয়ে না ফেলি। আমরা বড় জিনিসের জন্য যাই, যে এই জাতিকে আমরা যেভাবে চালু করে দিলাম, এটা খালি উপর দিকে উঠবে; নিচে, ডানে, বায়ে তাকানোর আর দরকার নাই, ওই অংশটা করা।”
ইউনূসের ভাষায়, বাংলাদেশে আর কখনো যেন ‘স্বৈরাচার’ আসন গেড়ে বসতে না পারে, সেই পথ বন্ধ করতেই এত সংস্কার করতে হচ্ছে।
“তো সেই স্বৈরাচারকে বন্ধ করতে হলে আমাদেরকে সব একমত হয়ে এটা করতে হবে। দ্বিমতের কোনো জায়গা এখানে (জুলাই সনদে) নাই। আমরা অনেক কথা বলতে পারি, কিন্তু দ্বিমত করে সমাপ্ত করতে পারব না।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “যেহেতু আমাদের ওই লক্ষ্যটা আছে। ওই দৈত্যকে আমরা সবচাইতে বড় কাজটা দেব। যেটা আর আর কেউ কোনোদিন চাইবারও সুযোগ পাবে না, এই দৈত্যও কোনোদিন পাবে না। একবারই পাচ্ছি আমরা এই দৈত্য। এই দৈত্যকে আমাদের মনের সমস্ত আশা তার ঘাড়ে দিয়ে দেব, যে এটি আমাদের পূরণ করে দাও। সে জিনিসের দিকে আমারা যেতে চাই।”
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই যে নির্বাচন হবে, সেই প্রতিশ্রুতি আবারো তুলে ধরে ইউনূস বলেন, “আজকে এই পর্বের সমাপ্তি হল, তারপরে এখান থেকে আমাদেরকে নির্বাচন পর্যন্ত কীভাবে নিয়ে যাবেন, যাতে এই উৎসবের মধ্যেই নির্বাচনটা হয়ে যাবে। ভেতরে কোনোরকমের দুশ্চিন্তা রেখে যেন আমাদেরকে নির্বাচনে ঢুকতে না হয়।”
তিনি বলেন, “উৎসব এখান থেকেই সৃষ্টি হবে, এ উৎসব নিয়েই নির্বাচন হবে এবং নির্বাচন ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধেই হবে। এটা পরিষ্কার করে হবে। আর বাকিগুলো হলো ডিটেইলস। এটি হল পথ, আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি, এই পথেই আমরা যাব।
“পথ ঠিক আছে, তারপর এখন এখান থেকে কোথায় সাইনবোর্ড কী কী দিতে হবে সেগুলো পরের কথা। আমাদের যাত্রাপথ, আমাদের গন্তব্য পরিষ্কার, এটা পরিষ্কার করেন।”
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আর সনির্বন্ধ আবেদন, এটা শুধু আমার একার আবেদন না, সারা দেশবাসীর আবেদন, সবাই চায়, সবাই এটা থেকে মুক্ত হতে চায়, যেসব জিনিস হয়ে গেছে, তার থেকে মুক্ত হতে চায়।
“সমস্ত পথঘাট বন্ধ করতে চায়, যাতে কোনো জায়গা দিয়ে কেউ কোনো দিক ঢুকতে না পারে, প্রবেশ করার কোনো সুযোগ না পায়।”
বাংলাদেশ যদি সংস্কারের সেই লক্ষ্য পূরণ করে সফলভাবে নির্বাচন করে ফেলতে পারে, তাহলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশও বাংলাদেশের কাছে ‘শিখতে আসবে’ বলে ইউনূসের বিশ্বাস।
তিনি বলেন, “এখনো হয়ত আমরা সবাই বুঝতেছি না, যে ঐক্যমত্য কমিশন আমাদের কী দিয়েছে, কী পেয়েছি। এক বছর পরে যখন এদিকে ফিরে দেখবেন, তখন বুঝতেপারবেন, কী মহাকাণ্ড আপনারা করেছেন। দুই বছর দশ বছর পরে যখন অন্যরা দেখবে, তারা অবাক বিস্ময়ে তাকাবে, কী কী কাণ্ডটা আপনারা করেছেন।
“সেটা যেন নিখুঁত হয়, নির্দোষ হয়, এমনভাবে আমরা করব, যে এটা থেকে একটা নতুন জাতি জন্মগ্রহণ করল। আপনারা জন্মগ্রহণের এই সূতিকাগারটা তৈরি করে দিলেন, এখন সে তরতর করে এগিয়ে যেতে থাকবে। সেই আবেদন আপনাদের কাছে।”
ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো আর ঐকমত্য কমিশন এ পর্যন্ত যতটুকু করেছে, তা ইতিহাসের একটি ‘স্মরণীয় অধ্যায়’ হয়ে থাকবে।
“এটাকে একেবারে নিখুঁত করার জন্য আর যে কয়টা দিন বাকি আছে নির্বাচন পর্যন্ত, যাতে করে কোনো রকমের মনের মধ্যে কষ্ট না নিয়ে, কোনো রকমের মনের মধ্যে খুঁতখুঁতি না নিয়ে নির্বাচন করতে পারি, যে হ্যাঁ, আমরা জানি কী অর্জন করতে চাচ্ছি, আমরা কী অর্জন– পরিষ্কার আমাদের সামনে। আমরা সবাই মিলে করছি, আমরা কিছু বোঝাপড়া করেছি, এটা দেশের জন্য করেছি, জাতির জন্য করেছি।
“এটাই একমাত্র সুযোগ। এই সুযোগ আর জীবনে আসবে না, আলাদিনের সেই দৈত্য আর ফিরে আসবে না। সে একবারই জিজ্ঞেস করবে, আর জিজ্ঞেসও করবে না। আর আমরা সুযোগও পাব না। কাজেই এবারই যেন আমরা সেটা সমাপ্ত করতে পারি।”
রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবার সাফল্য কামনা করছি, এবং দেশের মঙ্গল হোক। যে সমস্ত ভয়ঙ্কর কথাবার্তা আমরা শুনি, সেই ভয়ঙ্কর কথাবার্তা যেন বাস্তবে আমাদেরকে দেখতে না হয়।
“আমরা সুন্দরভাবে নির্বাচন করে, নতুন যাত্রা শুরু করব জাতি হিসেবে, মহা উৎসবে আমরা যাত্রা শুরু করব। সবাইকে ধন্যবাদ।”