ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সংলাপ শুরুর আগেই নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত করতে চায় ইসি। সংলাপে নতুন নিবন্ধিত দলগুলোকেও রাখতে চায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, এই সংলাপ ৩০ সেপ্টেম্বর বা এর দুই এক আগে বা পরে শুরু হতে পারে। সংলাপটি এক থেকে দেড় মাস ধরে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- সংলাপে রাজনৈতিক দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, বিশেষজ্ঞ এবং আহত জুলাই যোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। যাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে তাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সংলাপের অন্তত ১০ দিন আগে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও দুর্গাপূজার ছুটি বিবেচনায় রেখে অক্টোবর মাসজুড়ে এই সংলাপ চলতে পারে।
নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ
করে সংলাপের আয়োজন করতে চায় ইসি। কারণ নতুন নিবন্ধিত দলগুলোকেও এবারের সংলাপে রাখতে চায় কমিশন। সেজন্য নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে ইসি। ইতোমধ্যে নিবন্ধনে আগ্রহী ২২টি নতুন দলের মাঠপর্যায়ের তদন্ত শেষ হয়েছে এবং কমিশন এখন প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করছে। নিবন্ধনযোগ্য দলের বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে এবং কোনো আপত্তি থাকলে তার শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগামী ২৩-৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে গেজেট প্রকাশের কথা রয়েছে।
তবে কোন কোন দল নিবন্ধন পাবে তা নিয়ে কোনো আভাস দিতে রাজি নয় সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত নেইনি। (কারা নিবন্ধন পাচ্ছে সে সিদ্ধান্ত) শিগগিরই হবে, যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। আরও চার-পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে।’ তিনি আরও জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কানাডা সফর শেষে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি দেশে ফিরলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রোডম্যাপে যে সময় রয়েছে, সে অনুযায়ী এ মাসের শেষ দিকে (সংলাপ) শুরু করবো। দুয়েক দিন এদিক-ওদিক হতে পারে, তবে রোডম্যাপ অনুসরণ করেই এগোবো।’
সংশ্লিষ্টরা বলছে, সংলাপে নির্বাচনি আইন সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা এবং ইসির কর্তৃত্বের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে কীভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, সে বিষয়েও ইসি দলগুলোর মতামত চাইবে।
ইতোমধ্যে দলগুলোর মতামত না নিয়েই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের একটি প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইসি, যা নিয়ে কোনো কোনো মহলে অস্বস্তি রয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সংলাপ শুরুর আগেই নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত করতে চায় ইসি। সংলাপে নতুন নিবন্ধিত দলগুলোকেও রাখতে চায় সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি। ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, এই সংলাপ ৩০ সেপ্টেম্বর বা এর দুই এক আগে বা পরে শুরু হতে পারে। সংলাপটি এক থেকে দেড় মাস ধরে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হবে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- সংলাপে রাজনৈতিক দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, বিশেষজ্ঞ এবং আহত জুলাই যোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। যাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে তাদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সংলাপের অন্তত ১০ দিন আগে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও দুর্গাপূজার ছুটি বিবেচনায় রেখে অক্টোবর মাসজুড়ে এই সংলাপ চলতে পারে।
নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ
করে সংলাপের আয়োজন করতে চায় ইসি। কারণ নতুন নিবন্ধিত দলগুলোকেও এবারের সংলাপে রাখতে চায় কমিশন। সেজন্য নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে ইসি। ইতোমধ্যে নিবন্ধনে আগ্রহী ২২টি নতুন দলের মাঠপর্যায়ের তদন্ত শেষ হয়েছে এবং কমিশন এখন প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করছে। নিবন্ধনযোগ্য দলের বিষয়ে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে এবং কোনো আপত্তি থাকলে তার শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আগামী ২৩-৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে গেজেট প্রকাশের কথা রয়েছে।
তবে কোন কোন দল নিবন্ধন পাবে তা নিয়ে কোনো আভাস দিতে রাজি নয় সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত নেইনি। (কারা নিবন্ধন পাচ্ছে সে সিদ্ধান্ত) শিগগিরই হবে, যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। আরও চার-পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে।’ তিনি আরও জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কানাডা সফর শেষে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি দেশে ফিরলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রোডম্যাপে যে সময় রয়েছে, সে অনুযায়ী এ মাসের শেষ দিকে (সংলাপ) শুরু করবো। দুয়েক দিন এদিক-ওদিক হতে পারে, তবে রোডম্যাপ অনুসরণ করেই এগোবো।’
সংশ্লিষ্টরা বলছে, সংলাপে নির্বাচনি আইন সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা এবং ইসির কর্তৃত্বের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে কীভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, সে বিষয়েও ইসি দলগুলোর মতামত চাইবে।
ইতোমধ্যে দলগুলোর মতামত না নিয়েই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের একটি প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইসি, যা নিয়ে কোনো কোনো মহলে অস্বস্তি রয়েছে।