# ৪ কোম্পানি সংক্ষিপ্ত তালিকায়
# ঢাকা-বরিশাল পাইপলাইনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ঠিকাদার নিয়োগ
# শিল্পে প্রতি ঘনফুট গ্যাসের দাম ৩০-৪০ টাকা
# ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে দাম ৪৭.৬০ টাকা
# এলএনজিতে প্রাক্কলিত দর ৫০ টাকা- ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব ৩০-৪০ টাকা
এলএনজি আকারে ভোলার উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকা অঞ্চলে আনা হলে শিল্প কারখানার মালিকরা তা নেবেন কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত নয় পেট্রোবাংলা।
ওই গ্যাস এলএনজি করে আনলে দাম তুলনামূলক বেশি পড়বে। এ কারণে শিল্প কারখানার মালিকদের আগ্রহ কম বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
বর্তমানে সিএনজি আকারে ভোলার গ্যাস ঢাকায় আসছে।
বিকল্প উপায়ে হিসেবে ঢাকা বরিশাল-ভোলা পাইপলাইন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ভোলার গ্যাস তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আকারে ঢাকা এনে আবার গ্যাসে রুপান্তরিত করে কারখানায় দিতে ঘনমিটার প্রতি খরচ পড়বে প্রায় ৫০ টাকা।
পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছিলাম তাদের মতামত নেওয়ার জন্য। এফবিসিআই, বিজেএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। তারা সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তবে প্রাক্কলিত দর ৫০ টাকার মতো শুনে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।’
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, বৈঠকের পর মতামতের জন্য ১৬০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় পেট্রোবাংলা। কিন্তু আশানুরুপ সাড়া মেলেনি। অল্প কয়েকজন আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা প্রতি ঘনমিটার ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। মাত্র একজন উদ্যোক্তা ৫০ টাকার কথা শুনেও গ্যাস নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এলএনজি
ভোলা থেকে এলএনজি আকারে গ্যাস আনার বিষয়ে ৯টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহপত্র জমা দেয়। এখান থেকে গ্যাজপ্রম, সিসিডিসি, সিএমসিসহ ৪টি প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপরেশন ও মাইনস) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম রোববার সংবাদকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের মতামত জানতে তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। বিষয়টি বেশ জটিল মনে হচ্ছে।’
ভোলা থেকে এলএনজি আকারে প্রাকৃতিক গ্যাস আনতে আনতে পরিবহন খরচ কত পড়বে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিগুলো এখনও অর্থনৈতিক প্রস্তাব জমা দেয়নি, তাই খরচের বিষয়টি বলা যাচ্ছে না। সিএনজি আকারে আনতে যেমন খরচ হচ্ছে, প্রায় কাছাকাছি খরচ হতে পারে এলএনজিতেও।’
ইন্ট্রাকোর সিএনজি
বর্তমানে ভোলা থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস সিএনজি (রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস) আকারে এনে প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন ঘনফুট ঢাকায় গ্রাহক পর্যায়ে ব্রিক্রি করছে ইন্ট্রাকো গ্রুপ। প্রতি ঘনমিটারের দাম রাখছে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে ১৭ টাকা বিভিন্ন ফি ও মাশুল হিসেবে সরকার ও গ্যাস কোম্পানিগুলোর তহবিলে যায়।
বর্তমানে পুরাতন শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা। নতুন শিল্প-কারখানার জন্য দাম ঘনমিটার প্রতি ৪০ টাকা। পুরাতন কারখানার নিজস্ব কাজে ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। নতুন কারখানার জন্য দাম ৪২ টাকা করা হয়েছে।
পাইপলাইন প্রকল্প
এলএনজি ছাড়াও পাইপলাইনে ভোলার গ্যাস ঢাকায় আনতে চায় জ্বালানি বিভাগ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পিত ভোলা-বরিশাল-খুলনার রুট পরিবর্তন করে ভোলা-বরিশাল-ঢাকা চূড়ান্ত করেছে অন্তরবর্তী সরকার।
পেট্রোবাংলার সূত্র জানিয়েছে, ভোলা-বরিশাল রুটের সমীক্ষা আগে থেকে করা আছে। এখন বরিশাল-ঢাকার প্রাক-সমীক্ষার জন্য সম্প্রতি ঠিকাদার চুড়ান্ত করা হয়েছে। পাইপলাইনের প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েচে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগতে পারে কমপক্ষে ৪ বছর।
ভোলায় গ্যাসের মজুদ
দ্বীপজেলা ভোলাতে ২টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে। দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১৯ কোটি ঘনফুট। চাহিদা না থাকায় মাত্র উত্তোলন করা হয় ৭-৮ কোটি ঘনফুট।
ভোলায় আরও ১৫টি কূপ খননের লক্ষ্যে কাজ করছে পেট্রোবাংলা। প্রস্তাবিত কূপগুলো খনন শেষ হলে উৎপাদন ৩০ থেকে ৪০ কোটি ঘনফুট বাড়তে পারে। বর্তমানে ভোলায় গ্যাসের মজুদ রয়েছে প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এই মজুদ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
# ৪ কোম্পানি সংক্ষিপ্ত তালিকায়
# ঢাকা-বরিশাল পাইপলাইনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ঠিকাদার নিয়োগ
# শিল্পে প্রতি ঘনফুট গ্যাসের দাম ৩০-৪০ টাকা
# ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে দাম ৪৭.৬০ টাকা
# এলএনজিতে প্রাক্কলিত দর ৫০ টাকা- ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব ৩০-৪০ টাকা
এলএনজি আকারে ভোলার উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকা অঞ্চলে আনা হলে শিল্প কারখানার মালিকরা তা নেবেন কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত নয় পেট্রোবাংলা।
ওই গ্যাস এলএনজি করে আনলে দাম তুলনামূলক বেশি পড়বে। এ কারণে শিল্প কারখানার মালিকদের আগ্রহ কম বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
বর্তমানে সিএনজি আকারে ভোলার গ্যাস ঢাকায় আসছে।
বিকল্প উপায়ে হিসেবে ঢাকা বরিশাল-ভোলা পাইপলাইন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, ভোলার গ্যাস তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আকারে ঢাকা এনে আবার গ্যাসে রুপান্তরিত করে কারখানায় দিতে ঘনমিটার প্রতি খরচ পড়বে প্রায় ৫০ টাকা।
পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসেছিলাম তাদের মতামত নেওয়ার জন্য। এফবিসিআই, বিজেএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন। তারা সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তবে প্রাক্কলিত দর ৫০ টাকার মতো শুনে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।’
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, বৈঠকের পর মতামতের জন্য ১৬০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় পেট্রোবাংলা। কিন্তু আশানুরুপ সাড়া মেলেনি। অল্প কয়েকজন আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা প্রতি ঘনমিটার ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। মাত্র একজন উদ্যোক্তা ৫০ টাকার কথা শুনেও গ্যাস নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এলএনজি
ভোলা থেকে এলএনজি আকারে গ্যাস আনার বিষয়ে ৯টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহপত্র জমা দেয়। এখান থেকে গ্যাজপ্রম, সিসিডিসি, সিএমসিসহ ৪টি প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপরেশন ও মাইনস) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম রোববার সংবাদকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের মতামত জানতে তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। বিষয়টি বেশ জটিল মনে হচ্ছে।’
ভোলা থেকে এলএনজি আকারে প্রাকৃতিক গ্যাস আনতে আনতে পরিবহন খরচ কত পড়বে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোম্পানিগুলো এখনও অর্থনৈতিক প্রস্তাব জমা দেয়নি, তাই খরচের বিষয়টি বলা যাচ্ছে না। সিএনজি আকারে আনতে যেমন খরচ হচ্ছে, প্রায় কাছাকাছি খরচ হতে পারে এলএনজিতেও।’
ইন্ট্রাকোর সিএনজি
বর্তমানে ভোলা থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস সিএনজি (রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস) আকারে এনে প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন ঘনফুট ঢাকায় গ্রাহক পর্যায়ে ব্রিক্রি করছে ইন্ট্রাকো গ্রুপ। প্রতি ঘনমিটারের দাম রাখছে ৪৭ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে ১৭ টাকা বিভিন্ন ফি ও মাশুল হিসেবে সরকার ও গ্যাস কোম্পানিগুলোর তহবিলে যায়।
বর্তমানে পুরাতন শিল্পে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৩০ টাকা। নতুন শিল্প-কারখানার জন্য দাম ঘনমিটার প্রতি ৪০ টাকা। পুরাতন কারখানার নিজস্ব কাজে ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। নতুন কারখানার জন্য দাম ৪২ টাকা করা হয়েছে।
পাইপলাইন প্রকল্প
এলএনজি ছাড়াও পাইপলাইনে ভোলার গ্যাস ঢাকায় আনতে চায় জ্বালানি বিভাগ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পিত ভোলা-বরিশাল-খুলনার রুট পরিবর্তন করে ভোলা-বরিশাল-ঢাকা চূড়ান্ত করেছে অন্তরবর্তী সরকার।
পেট্রোবাংলার সূত্র জানিয়েছে, ভোলা-বরিশাল রুটের সমীক্ষা আগে থেকে করা আছে। এখন বরিশাল-ঢাকার প্রাক-সমীক্ষার জন্য সম্প্রতি ঠিকাদার চুড়ান্ত করা হয়েছে। পাইপলাইনের প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েচে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগতে পারে কমপক্ষে ৪ বছর।
ভোলায় গ্যাসের মজুদ
দ্বীপজেলা ভোলাতে ২টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। ৯টি কূপ খনন করা হয়েছে। দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১৯ কোটি ঘনফুট। চাহিদা না থাকায় মাত্র উত্তোলন করা হয় ৭-৮ কোটি ঘনফুট।
ভোলায় আরও ১৫টি কূপ খননের লক্ষ্যে কাজ করছে পেট্রোবাংলা। প্রস্তাবিত কূপগুলো খনন শেষ হলে উৎপাদন ৩০ থেকে ৪০ কোটি ঘনফুট বাড়তে পারে। বর্তমানে ভোলায় গ্যাসের মজুদ রয়েছে প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এই মজুদ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।