ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দলের ব্যাংক হিসাব নম্বর এবং সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার,(০৮ অক্টোবর ২০২৫) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখায় জমা দেয়া হয়।
গত ৩১ জুলাই দলটি ইসিতে যে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছিল সেখানে ব্যাংক হিসাব নম্বর ছিল না। তবে সংশোধিত গঠনতন্ত্র আগেই ইসিতে জমা দিয়েছিল বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার দুটি বিষয়ে দলের হালনাগাদ তথ্য সম্বলিত চিঠি ইসিতে জমা দেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নিয়ম চালু হলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছিল তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। তখন অনেক দলকে সংবিধান, আইন, বিধি মেনে তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে হয়েছে। জামায়াতকেও কয়েক দফা চিঠি দেয়া হয়েছিল। এরইমধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়।
২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগে সর্বশেষ আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি বছর তারা নিবন্ধন ফিরে পায়। এরপর আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এক যুগ পর গত ৩১ জুলাই ফের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় দলটি। কিন্তু সেখানে ব্যাংক হিসাব নম্বর না থাকায় প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় ইসি সচিবালয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দলটি দুটি বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য সম্বলিত চিঠি ইসিতে জমা দিল।
কাউন্সিল করে গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং ইসলামী ব্যাংকে দলের হিসাব পরিচালনার বিষয়টি চিঠিতে তুলে ধরেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল পরওয়ার। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর থেকে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতে পারেনি জামায়াত। ‘প্রতিকূল অবস্থাই’ ব্যাংক হিসাব দিতে না পারার কারণ।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ২২তম সংশোধনী ‘যথাযথ প্রক্রিয়ায়’ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অনুমোদিত হয়েছে। এটাই সর্বশেষ সংশোধনী, যা গত ২৫ জুলাই জমা দেয়া হয়েছে। এখন ইসি তাগাদা দেয়ায় বুধবার আরেকটি কপিও জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
ইসির অতিরিক্তি সচিব কেএম আলী নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে।’ তবে গঠনতন্ত্রে কী ধরনের সংশোধনী আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
দলের ব্যাংক হিসাব নম্বর এবং সংশোধিত গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার,(০৮ অক্টোবর ২০২৫) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখায় জমা দেয়া হয়।
গত ৩১ জুলাই দলটি ইসিতে যে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছিল সেখানে ব্যাংক হিসাব নম্বর ছিল না। তবে সংশোধিত গঠনতন্ত্র আগেই ইসিতে জমা দিয়েছিল বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার দুটি বিষয়ে দলের হালনাগাদ তথ্য সম্বলিত চিঠি ইসিতে জমা দেন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নিয়ম চালু হলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছিল তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। তখন অনেক দলকে সংবিধান, আইন, বিধি মেনে তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে হয়েছে। জামায়াতকেও কয়েক দফা চিঠি দেয়া হয়েছিল। এরইমধ্যে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়।
২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার আগে সর্বশেষ আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চলতি বছর তারা নিবন্ধন ফিরে পায়। এরপর আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এক যুগ পর গত ৩১ জুলাই ফের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয় দলটি। কিন্তু সেখানে ব্যাংক হিসাব নম্বর না থাকায় প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে চিঠি দেয় ইসি সচিবালয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দলটি দুটি বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য সম্বলিত চিঠি ইসিতে জমা দিল।
কাউন্সিল করে গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং ইসলামী ব্যাংকে দলের হিসাব পরিচালনার বিষয়টি চিঠিতে তুলে ধরেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল পরওয়ার। চিঠিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর থেকে কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতে পারেনি জামায়াত। ‘প্রতিকূল অবস্থাই’ ব্যাংক হিসাব দিতে না পারার কারণ।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ২২তম সংশোধনী ‘যথাযথ প্রক্রিয়ায়’ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অনুমোদিত হয়েছে। এটাই সর্বশেষ সংশোধনী, যা গত ২৫ জুলাই জমা দেয়া হয়েছে। এখন ইসি তাগাদা দেয়ায় বুধবার আরেকটি কপিও জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
ইসির অতিরিক্তি সচিব কেএম আলী নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে।’ তবে গঠনতন্ত্রে কী ধরনের সংশোধনী আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তিনি দিতে পারেননি।