শিক্ষক নিয়োগের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থীরা ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ জারির দাবিতে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় রাতে ‘মোমবাতি মিছিল’ করার পর সেখানে অবস্থান করছেন।
সোমবার সকালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ কার্যালয় অভিমুখে ‘লং মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা বলেছেন, দাবি না মানলে সংস্থার কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীরা রোববার সারাদিন শাহবাগে ‘মহাসমাবেশ ও বিক্ষোভ’ কর্মসূচি পালন করেন।
রাতে সাড়ে ৮টায় প্রার্থীরা প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে মিছিল করেন। জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিলটি টিএসসি মোড় ঘুরে আবার জাদুঘরে ফিরে আসে। এরপর সেখানেই অবস্থান করছিলেন তারা।
নিয়োগ প্রার্থীদের নেতা খোরশেদ আলম রাত ১০টায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সারারাত জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করবো। সকাল ১০টায় আমরা এনটিআরসিএ কার্যালয়ের দিকে ‘লং মার্চ’ করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি না করলে তারা সকালে এনটিআরসিএ কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ‘শাটডাউন এনটিআরসিএ’ কর্মসূচি ঘোষণা করবো।”
খোরশেদ আলম বলেন, বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে শিক্ষক ও প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
“গত জুন মাসে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারি হলে আমরাও আবেদন করি। গণবিজ্ঞপ্তির ফলাফল অনুযায়ী লক্ষাধিক পদের বিপরীতে মাত্র ৪১ লাখ ৬২৭ জন প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। এত বিপুল সংখক শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও আমরা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থীর শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পাইনি।”
এই গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য থাকা পদের সঙ্গে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্য পদ যুক্ত করে তাদের নিয়োগ দিতে অক্টোবরের মধ্যেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি চান তারা।
গত ১৬ জুন জারি করা ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য থাকা ১ লাখ ৮২২টি শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন চায় এনটিআরসিএ। ২২ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত চলে আবেদন প্রক্রিয়া।
গত ১৯ অগাস্ট ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করে গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার সুযোগ ছিল।
৩০ সেপ্টেম্বর এনটিআরসিএ আয়োজিত এক কর্মশালায় সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “খালি চোখে মনে হয় বিপুল পদ খালি, এদিকে প্রার্থীরাও সুপারিশ পাননি, কিন্তু বিষয়টি এমন না। কারণ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রার্থীরা কোন একটি নির্দিষ্ট পদের বিপরীতে উত্তীর্ণ হন।
“দেখা যায় একটি বিষয়ে প্রার্থী বেশি কিন্তু পদ কম, এ ক্ষেত্রে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থী থেকে যান। আবার আরেকটি বিষয়ে শূন্য পদ বেশি কিন্ত প্রার্থী কম, সে ক্ষেত্রে পদ খালি থেকে যায়।”
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
শিক্ষক নিয়োগের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থীরা ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ জারির দাবিতে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় রাতে ‘মোমবাতি মিছিল’ করার পর সেখানে অবস্থান করছেন।
সোমবার সকালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ কার্যালয় অভিমুখে ‘লং মার্চ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা বলেছেন, দাবি না মানলে সংস্থার কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীরা রোববার সারাদিন শাহবাগে ‘মহাসমাবেশ ও বিক্ষোভ’ কর্মসূচি পালন করেন।
রাতে সাড়ে ৮টায় প্রার্থীরা প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে মিছিল করেন। জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিলটি টিএসসি মোড় ঘুরে আবার জাদুঘরে ফিরে আসে। এরপর সেখানেই অবস্থান করছিলেন তারা।
নিয়োগ প্রার্থীদের নেতা খোরশেদ আলম রাত ১০টায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সারারাত জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করবো। সকাল ১০টায় আমরা এনটিআরসিএ কার্যালয়ের দিকে ‘লং মার্চ’ করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি জারি না করলে তারা সকালে এনটিআরসিএ কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ‘শাটডাউন এনটিআরসিএ’ কর্মসূচি ঘোষণা করবো।”
খোরশেদ আলম বলেন, বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে শিক্ষক ও প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
“গত জুন মাসে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারি হলে আমরাও আবেদন করি। গণবিজ্ঞপ্তির ফলাফল অনুযায়ী লক্ষাধিক পদের বিপরীতে মাত্র ৪১ লাখ ৬২৭ জন প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। এত বিপুল সংখক শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও আমরা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৬ হাজার ২১৩ জন প্রার্থীর শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পাইনি।”
এই গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য থাকা পদের সঙ্গে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত শূন্য পদ যুক্ত করে তাদের নিয়োগ দিতে অক্টোবরের মধ্যেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি চান তারা।
গত ১৬ জুন জারি করা ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য থাকা ১ লাখ ৮২২টি শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন চায় এনটিআরসিএ। ২২ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত চলে আবেদন প্রক্রিয়া।
গত ১৯ অগাস্ট ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করে গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার সুযোগ ছিল।
৩০ সেপ্টেম্বর এনটিআরসিএ আয়োজিত এক কর্মশালায় সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “খালি চোখে মনে হয় বিপুল পদ খালি, এদিকে প্রার্থীরাও সুপারিশ পাননি, কিন্তু বিষয়টি এমন না। কারণ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রার্থীরা কোন একটি নির্দিষ্ট পদের বিপরীতে উত্তীর্ণ হন।
“দেখা যায় একটি বিষয়ে প্রার্থী বেশি কিন্তু পদ কম, এ ক্ষেত্রে সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থী থেকে যান। আবার আরেকটি বিষয়ে শূন্য পদ বেশি কিন্ত প্রার্থী কম, সে ক্ষেত্রে পদ খালি থেকে যায়।”