‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ অংশ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ জনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত এর আগে মামলার পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। মঙ্গলবার পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে নিয়ম অনুযায়ী পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন মহানগর হাকিম জুয়েল রানা।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সালাহউদ্দিন জানান, মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১১ নভেম্বর ধার্য করেছেন বিচারক।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনসহ ২৪ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্যান্য আসামিরা হলেন— মো. ইব্রাহীম খলিল বিপুল, মো. আব্দুস সবুর, মোছা. ছানোয়ারা খাতুন, মেহেদী হাসান আকাশ, এ কে এম আকতারুজ্জামান, কে এম রাশেদ, মোছা. মেরিনা খাতুন মেরি, সুশান্ত ভৌমিক, নিজাম বারী, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আনিচুজ্জামান আনিচ, মো. আকরামুল আলম, মো. নুর উন নবী মন্ডল দুলাল মাস্টার্স, মো. সাইফুল ইসলাম সর্দার, কাজী আবুল কালাম, মোছা. ফেন্সী, কে এম শাহ নেওয়াজ ওরফে শিবলু, রফিকুল ইসলাম, জিন্নাত সুলতানা ঝুমা, মেহেদী হাসান ঈশান ও জনি চন্দ্র সূত্রধর।
সিআইডির পক্ষ থেকে এই ২৪ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে এই মামলায় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। নতুন ২৪ জনকে যুক্ত করার পর মোট গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা দাঁড়াল ২৫।
গত ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আদালতে মামলাটি করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। তদন্ত শেষে ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নেন কয়েকশ নেতা-কর্মী। ওই সময় শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের সামনে ‘দেশবিরোধী’ বক্তব্য দেন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন।
বক্তব্যটি পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ বরিশাল বিভাগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম ও সাজ্জাদুল আনাম।
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ অংশ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ জনকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত এর আগে মামলার পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। মঙ্গলবার পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে নিয়ম অনুযায়ী পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন মহানগর হাকিম জুয়েল রানা।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সালাহউদ্দিন জানান, মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১১ নভেম্বর ধার্য করেছেন বিচারক।
এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনসহ ২৪ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দেখানো অন্যান্য আসামিরা হলেন— মো. ইব্রাহীম খলিল বিপুল, মো. আব্দুস সবুর, মোছা. ছানোয়ারা খাতুন, মেহেদী হাসান আকাশ, এ কে এম আকতারুজ্জামান, কে এম রাশেদ, মোছা. মেরিনা খাতুন মেরি, সুশান্ত ভৌমিক, নিজাম বারী, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আনিচুজ্জামান আনিচ, মো. আকরামুল আলম, মো. নুর উন নবী মন্ডল দুলাল মাস্টার্স, মো. সাইফুল ইসলাম সর্দার, কাজী আবুল কালাম, মোছা. ফেন্সী, কে এম শাহ নেওয়াজ ওরফে শিবলু, রফিকুল ইসলাম, জিন্নাত সুলতানা ঝুমা, মেহেদী হাসান ঈশান ও জনি চন্দ্র সূত্রধর।
সিআইডির পক্ষ থেকে এই ২৪ জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে এই মামলায় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। নতুন ২৪ জনকে যুক্ত করার পর মোট গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা দাঁড়াল ২৫।
গত ২৭ মার্চ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আদালতে মামলাটি করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক। তদন্ত শেষে ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নেন কয়েকশ নেতা-কর্মী। ওই সময় শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের সামনে ‘দেশবিরোধী’ বক্তব্য দেন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন।
বক্তব্যটি পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ বরিশাল বিভাগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম ও সাজ্জাদুল আনাম।