রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ৫ মাসেরও কম সময়ে সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। মামলায় আসামি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জন। আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। জানিয়েছেন সিআইডির মালিবাগস্থ প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ কথা জানান।
শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিচারকার্য শুরুর আদেশ আদালতে, জানিয়েছেন সিআইডি
সিআইডি জানায়, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনটি এজেন্টা ছিল- সংস্কার ,নির্বাচন ও বিচার। সুষ্ঠু বিচারকার্য নিশ্চিতে সিআইডির ওপর অর্পিত দায়িত্ব তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জড়িত ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের চিহ্নিত করে মাত্র ৫ মাসের কম সময়ে তদন্ত শেষ করেছে সিআইডি।
গত ১৪ আগস্ট উক্ত মামলায় শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে বিচারের জন্য সিআইডির প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
সেই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য শুরু করার আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার, (১৪ অক্টোবর ২০২৫) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালত (নং ১৮) এই আদেশ দিয়েছে।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জন ও অজ্ঞাতনামা অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের সিআর (রমনা) মামলা (গত ২৭ মার্চ) দায়ের করেছে সিআইডি।
মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার ও যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে সিআইডি। পাশাপাশি সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে সিআইডি প্রয়োজনীয় সব সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে।
এভাবে ৫ মাসেরও কম সময়ে এ বছরের গত ১৪ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
উল্লেখ্য বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর জয় বাংলা বিগ্রেড নামীয় একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেশ ও বিদেশ থেকে অনেকেই অংশগ্রহণ করে।
সিআইডি প্রাথিমিকভাবে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য, ডিজিটাল উপাত্ত ও ভয়েস রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখতে পায়, উক্ত সভায় বর্তমান বৈধ সরকারকে উৎখাতের আহ্বান, গৃহযুদ্ধ সৃষ্টির পরিকল্পনা এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার ঘোষণাসহ রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য রয়েছে।
উল্লিখ রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য পুলিশ হেডকোয়াটার্স স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে অভিযোগ দায়েরের লক্ষ্যে অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ৪ মার্চ সিআইডিকে ক্ষমতা দেয়।
এরপর সিআইডিপ্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত হতে স্বল্পতম সময়ে সিআইডি আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে সেখানে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অনেকেই এ রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে সিআইডি দাবি করছেন।
উক্ত মামলায় সারাদেশের বিভিন্ন জেল খানায় অন্য মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য সিআইডি আদালতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার মাধ্যমে মোট ৯১ জনের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ৯১ জন ছাড়াও অভিযুক্ত আরও ১৯৫ জন আসামিরা বিভিন্নভাবে পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার, আদালত মামলাটির শুনানি দিন ধার্য ছিল। প্রধান আসামিসহ সিংহভাগ অনুপস্থিত থাকায় আদালত কর্তৃক জাতীয় পত্রিকায়তে বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক আদালতে বিচারকার্য পরিচালিত হওয়ার আদেশ দিয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ৫ মাসেরও কম সময়ে সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। মামলায় আসামি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জন। আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। জানিয়েছেন সিআইডির মালিবাগস্থ প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ কথা জানান।
শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিচারকার্য শুরুর আদেশ আদালতে, জানিয়েছেন সিআইডি
সিআইডি জানায়, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনটি এজেন্টা ছিল- সংস্কার ,নির্বাচন ও বিচার। সুষ্ঠু বিচারকার্য নিশ্চিতে সিআইডির ওপর অর্পিত দায়িত্ব তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জড়িত ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিদের চিহ্নিত করে মাত্র ৫ মাসের কম সময়ে তদন্ত শেষ করেছে সিআইডি।
গত ১৪ আগস্ট উক্ত মামলায় শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে বিচারের জন্য সিআইডির প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
সেই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকার্য শুরু করার আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার, (১৪ অক্টোবর ২০২৫) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালত (নং ১৮) এই আদেশ দিয়েছে।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জন ও অজ্ঞাতনামা অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের সিআর (রমনা) মামলা (গত ২৭ মার্চ) দায়ের করেছে সিআইডি।
মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার ও যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে সিআইডি। পাশাপাশি সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে সিআইডি প্রয়োজনীয় সব সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে।
এভাবে ৫ মাসেরও কম সময়ে এ বছরের গত ১৪ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে এ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
উল্লেখ্য বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর জয় বাংলা বিগ্রেড নামীয় একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেশ ও বিদেশ থেকে অনেকেই অংশগ্রহণ করে।
সিআইডি প্রাথিমিকভাবে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য, ডিজিটাল উপাত্ত ও ভয়েস রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখতে পায়, উক্ত সভায় বর্তমান বৈধ সরকারকে উৎখাতের আহ্বান, গৃহযুদ্ধ সৃষ্টির পরিকল্পনা এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার ঘোষণাসহ রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য রয়েছে।
উল্লিখ রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্য পুলিশ হেডকোয়াটার্স স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে অভিযোগ দায়েরের লক্ষ্যে অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ৪ মার্চ সিআইডিকে ক্ষমতা দেয়।
এরপর সিআইডিপ্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত হতে স্বল্পতম সময়ে সিআইডি আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে সেখানে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অনেকেই এ রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে সিআইডি দাবি করছেন।
উক্ত মামলায় সারাদেশের বিভিন্ন জেল খানায় অন্য মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য সিআইডি আদালতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার মাধ্যমে মোট ৯১ জনের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করেছে। গ্রেপ্তারকৃত ৯১ জন ছাড়াও অভিযুক্ত আরও ১৯৫ জন আসামিরা বিভিন্নভাবে পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার, আদালত মামলাটির শুনানি দিন ধার্য ছিল। প্রধান আসামিসহ সিংহভাগ অনুপস্থিত থাকায় আদালত কর্তৃক জাতীয় পত্রিকায়তে বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক আদালতে বিচারকার্য পরিচালিত হওয়ার আদেশ দিয়েছে।