মা মাছ রক্ষায় চলা সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই চলছে ইলিশ শিকার
পদ্মা পাড়ের গোয়ালন্দে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে ইলিশ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা -সংবাদ
সারা দেশে চলছে মা ইলিশ রক্ষায় বিশেষ অভিযান। বন্ধ রয়েছে ইলিশ ধরা। তবে পদ্মাপাড়ের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। জেলেরা মহোৎসবে শিকার করছেন মা ইলিশ। এরপর বিক্রির জন্য পদ্মা পাড়েই বসে তাদের অস্থায়ী বাজার। এছাড়া প্রতিটি গ্রামে ফেরি করে বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ২৮ জেলে আটক
গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের অন্তত তিন কিলোমিটার হেঁটে পানি-কাদা মারিয়ে দুর্গম চরকর্ণেশন কলাবাগানে গিয়ে দেখা যায়, এখানে নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে ইলিশ বেচা-কেনার জন্য অস্থায়ী বাজার বসেছে। এ অস্থায়ী বাজারে জেলে ও মাছ ক্রেতাদের জন্য আছে খাবারের, চায়ের দোকানসহ ডিজেল তেলসহ প্রয়োজনীয় নানা সামগ্রীর দোকান।
এখানে নির্বিঘ্নে বেচা-কেনা হচ্ছে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ মাছ। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এখানে আসেন ইলিশ কিনতে। এসময় দেখা যায়, পদ্মাপাড়েই জেলেরা জাল মেরামত করছেন। অন্যদিকে পদ্মায় জেলে নৌকাগুলো ব্যস্ত ইলিশ শিকারে। কেউ আবার মাছ ধরে ফিরে আসছেন এ অস্থায়ী বাজারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এখানকার জেলেরা অনেকটাই মারমুখী। সেখানে পৌঁছে তাদের নানা জেরার মুখে পড়তে হয়। এ সময় তারা জানায়, এখানে কোনো অভিযান দল আসলে, তারা তাদের প্রতিরোধ করবেন।
মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানের সময় ইলিশ ধরা নিয়ে জেলেরা দিচ্ছে নানা যুক্তি। তারা বলছেন, পদ্মা নদীর এই এলাকায় সারা বছর খুবই কম ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। শুধু এই নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরে। কেউ কেউ বলেন, ‘এ ইলিশ যদি আমরা এখন নাও ধরি, তবুও এসব ইলিশ পদ্মা নদীতে থাকবে না। এগুলো ভারতে চলে যাবে। তাই তারা এ ভাবে ডিমওয়ালা ইলিশ শিকার করছেন।
গত শুক্রবার উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের অন্তার মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীতে অসংখ্য জেলে নৌকা মাছ শিকার করছে। নৌকাগুলো মা ইলিশ শিকার করার পর তীরে আসলেই ক্রেতারা দরদাম করছে। এ ক্ষেত্রে ৮শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৫শ’-১৬শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আর ছোট সাইজের ইলিশ সাড়ে ৩শ’-৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সময় এক জেলের সঙ্গে কথা হয়।
ইলিশের দাম তো অন্য সময়ের মতই, তো এখন অবৈধভাবে শিকার করছেন কেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘যে ইলিশ এখন ১৫শ’ টাকায় বিক্রি করছি, তা অন্য সময় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হতো।’ আরেক জেলে বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন ভাটি অঞ্চলে অভিযানের কারণে জেলেরা স্বাভাবিকভাবে নদীতে নামতে পারে না, তাই এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণ ইলিশ চলে আসে। যা বছরের অন্যসময় পাওয়া যায় না।
এসময় মা ইলিশ কিনতে আসা অনেকেই বলেন, এভাবে ডিমওয়ালা ইলিশ শিকার করলে একটা সময় নদীতে আর ইলিশের দেখা মিলবে না। তারপরও তারা কেন ইলিশ কিনতে এসেছেন? জানতে চাইলে তারা বলেন, সারা বছর ইলিশের যে দাম তাতে কিনে খাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই ইলিশের স্বাদ নিতে একটু কম টাকায় বাধ্য হয়ে ইলিশ মাছ কিনছেন।
আলাপকালে জেলেরা অভিযোগ করেন, পদ্মা নদীর জেলেদের অনেকেই নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারি অনুদান পান না। যারা জেলে না, অন্য পেশায় আছেন, তারাই বিভিন্ন উপায়ে জেলে তালিকায় নাম দিয়ে অনুদান পেয়ে থাকেন। যারা প্রকৃত জেলে তারা কোনো সরকারি সহায়তা পান না।
পদ্মা পাড়ে কথা হয় ওয়াজেদ মণ্ডলের (৬৫) সঙ্গে। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ শিকারিদের সঙ্গে অভিযানকারীদের চোর-পুলিশ খেলা দেখতে নদী পাড়ে এসেছেন। তবে নদীতে অসংখ্য জেলে নৌকা দেখতে পেলেও কোনো অভিযান দেখেননি। তিনি বলেন, ‘কিসের অভিযান? সবাই তো নির্বিঘ্নে ইলিশ শিকার করছেন।’
গোয়ালন্দ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আমজাদ হোসেন বিপুল (৫০) জানান, ভোর বেলায় ইলিশ বিক্রির ফেরিওয়ালার হাঁক-ডাকে ঘুম ভাঙে। পাড়া-মহল্লায় অসংখ্য মানুষ ফেরি করে ইলিশ বিক্রি করছে।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি ত্রীনাথ সাহা সাংবাকিদের জানান, ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষায় প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে। তবে তাদের আভিযানিক দল যেদিকে যান, তখন সুযোগ বুঝে জেলেরা অন্যদিকে মা ইলিশ শিকার শুরু করে। তাদের সমস্ত জনবল দিয়ে সার্বক্ষণিক নদীতে টহল রেখেছেন। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে মা ইলিশ রক্ষায় তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট জানান, নিষেধাজ্ঞাকালে তারা সার্বক্ষণিক মা ইলিশ রক্ষার জন্য অভিযান পরিচালনার জন্য নদীতেই অবস্থান করেন। তাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এ সুযোগে জেলেরা বেপরোয়া হয়ে মা ইলিশ শিকারের চেষ্টা করে থাকে। তবে জেলেরা নদীতে মা ইলিশ শিকারে আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের অভিযানের মুখে পড়ে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৮ জেলেকে আটক করেছেন।
## নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ২৮ জেলেকে আটক
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে মা ইলিশ শিকার করায় গোয়ালন্দ উপজেলার অন্তারমোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জেলেসহ মঙ্গলবার, (১৪ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ৫ লাখ মিটার কারেন্টজাল জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আসাদুজ্জামান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ২০ দিন করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মা মাছ রক্ষায় চলা সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই চলছে ইলিশ শিকার
পদ্মা পাড়ের গোয়ালন্দে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে ইলিশ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
সারা দেশে চলছে মা ইলিশ রক্ষায় বিশেষ অভিযান। বন্ধ রয়েছে ইলিশ ধরা। তবে পদ্মাপাড়ের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। জেলেরা মহোৎসবে শিকার করছেন মা ইলিশ। এরপর বিক্রির জন্য পদ্মা পাড়েই বসে তাদের অস্থায়ী বাজার। এছাড়া প্রতিটি গ্রামে ফেরি করে বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ২৮ জেলে আটক
গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের অন্তত তিন কিলোমিটার হেঁটে পানি-কাদা মারিয়ে দুর্গম চরকর্ণেশন কলাবাগানে গিয়ে দেখা যায়, এখানে নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে ইলিশ বেচা-কেনার জন্য অস্থায়ী বাজার বসেছে। এ অস্থায়ী বাজারে জেলে ও মাছ ক্রেতাদের জন্য আছে খাবারের, চায়ের দোকানসহ ডিজেল তেলসহ প্রয়োজনীয় নানা সামগ্রীর দোকান।
এখানে নির্বিঘ্নে বেচা-কেনা হচ্ছে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ মাছ। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এখানে আসেন ইলিশ কিনতে। এসময় দেখা যায়, পদ্মাপাড়েই জেলেরা জাল মেরামত করছেন। অন্যদিকে পদ্মায় জেলে নৌকাগুলো ব্যস্ত ইলিশ শিকারে। কেউ আবার মাছ ধরে ফিরে আসছেন এ অস্থায়ী বাজারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এখানকার জেলেরা অনেকটাই মারমুখী। সেখানে পৌঁছে তাদের নানা জেরার মুখে পড়তে হয়। এ সময় তারা জানায়, এখানে কোনো অভিযান দল আসলে, তারা তাদের প্রতিরোধ করবেন।
মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানের সময় ইলিশ ধরা নিয়ে জেলেরা দিচ্ছে নানা যুক্তি। তারা বলছেন, পদ্মা নদীর এই এলাকায় সারা বছর খুবই কম ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। শুধু এই নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরে। কেউ কেউ বলেন, ‘এ ইলিশ যদি আমরা এখন নাও ধরি, তবুও এসব ইলিশ পদ্মা নদীতে থাকবে না। এগুলো ভারতে চলে যাবে। তাই তারা এ ভাবে ডিমওয়ালা ইলিশ শিকার করছেন।
গত শুক্রবার উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের অন্তার মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীতে অসংখ্য জেলে নৌকা মাছ শিকার করছে। নৌকাগুলো মা ইলিশ শিকার করার পর তীরে আসলেই ক্রেতারা দরদাম করছে। এ ক্ষেত্রে ৮শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৫শ’-১৬শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আর ছোট সাইজের ইলিশ সাড়ে ৩শ’-৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সময় এক জেলের সঙ্গে কথা হয়।
ইলিশের দাম তো অন্য সময়ের মতই, তো এখন অবৈধভাবে শিকার করছেন কেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘যে ইলিশ এখন ১৫শ’ টাকায় বিক্রি করছি, তা অন্য সময় ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হতো।’ আরেক জেলে বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন ভাটি অঞ্চলে অভিযানের কারণে জেলেরা স্বাভাবিকভাবে নদীতে নামতে পারে না, তাই এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণ ইলিশ চলে আসে। যা বছরের অন্যসময় পাওয়া যায় না।
এসময় মা ইলিশ কিনতে আসা অনেকেই বলেন, এভাবে ডিমওয়ালা ইলিশ শিকার করলে একটা সময় নদীতে আর ইলিশের দেখা মিলবে না। তারপরও তারা কেন ইলিশ কিনতে এসেছেন? জানতে চাইলে তারা বলেন, সারা বছর ইলিশের যে দাম তাতে কিনে খাওয়া প্রায় অসম্ভব। তাই ইলিশের স্বাদ নিতে একটু কম টাকায় বাধ্য হয়ে ইলিশ মাছ কিনছেন।
আলাপকালে জেলেরা অভিযোগ করেন, পদ্মা নদীর জেলেদের অনেকেই নিষেধাজ্ঞাকালীন সরকারি অনুদান পান না। যারা জেলে না, অন্য পেশায় আছেন, তারাই বিভিন্ন উপায়ে জেলে তালিকায় নাম দিয়ে অনুদান পেয়ে থাকেন। যারা প্রকৃত জেলে তারা কোনো সরকারি সহায়তা পান না।
পদ্মা পাড়ে কথা হয় ওয়াজেদ মণ্ডলের (৬৫) সঙ্গে। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ শিকারিদের সঙ্গে অভিযানকারীদের চোর-পুলিশ খেলা দেখতে নদী পাড়ে এসেছেন। তবে নদীতে অসংখ্য জেলে নৌকা দেখতে পেলেও কোনো অভিযান দেখেননি। তিনি বলেন, ‘কিসের অভিযান? সবাই তো নির্বিঘ্নে ইলিশ শিকার করছেন।’
গোয়ালন্দ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আমজাদ হোসেন বিপুল (৫০) জানান, ভোর বেলায় ইলিশ বিক্রির ফেরিওয়ালার হাঁক-ডাকে ঘুম ভাঙে। পাড়া-মহল্লায় অসংখ্য মানুষ ফেরি করে ইলিশ বিক্রি করছে।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ওসি ত্রীনাথ সাহা সাংবাকিদের জানান, ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষায় প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে। তবে তাদের আভিযানিক দল যেদিকে যান, তখন সুযোগ বুঝে জেলেরা অন্যদিকে মা ইলিশ শিকার শুরু করে। তাদের সমস্ত জনবল দিয়ে সার্বক্ষণিক নদীতে টহল রেখেছেন। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে মা ইলিশ রক্ষায় তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট জানান, নিষেধাজ্ঞাকালে তারা সার্বক্ষণিক মা ইলিশ রক্ষার জন্য অভিযান পরিচালনার জন্য নদীতেই অবস্থান করেন। তাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এ সুযোগে জেলেরা বেপরোয়া হয়ে মা ইলিশ শিকারের চেষ্টা করে থাকে। তবে জেলেরা নদীতে মা ইলিশ শিকারে আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের অভিযানের মুখে পড়ে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ২৮ জেলেকে আটক করেছেন।
## নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ২৮ জেলেকে আটক
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে মা ইলিশ শিকার করায় গোয়ালন্দ উপজেলার অন্তারমোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জেলেসহ মঙ্গলবার, (১৪ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ৫ লাখ মিটার কারেন্টজাল জব্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আসাদুজ্জামান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ২০ দিন করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।