জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নেবে তা আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন এই সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার,(১১ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সরকার নিজেদের মতো কাজ করছে: আসিফ নজরুল
সংস্কার: আমলাতন্ত্র প্রচণ্ডভাবে বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়
রাষ্ট্র সংস্কার ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ নয় মাসের প্রচেষ্টার শেষ পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েই গেছে। বিশেষ করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও গণভোট আয়োজনের দিনক্ষণ নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতের মূল দাবি- জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা। অন্যদিকে গণভোট ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের দিনই করার পক্ষে বিএনপি। সনদ বাস্তবায়ন এবং উভয়কক্ষে পিআর চালুর বিষয়েও জামায়াতের দাবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে দলটি। সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট ইস্যুতে বিএনপির পক্ষে কিছু দল এবং জামায়াতের পক্ষে কিছু দল নীতিগত অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্ভব হলে এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে সমঝোতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের যে আহ্বান ছিল, সে সময় শেষ হয়েছে। নিজেদের মধ্যে সৃষ্ট মতবিরোধের মীমাংসা করতে পারেনি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
আগেই জানিয়েছিল
অন্তর্বর্তী সরকার আগেই জানিয়েছিল, দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য না হলে অন্তর্বর্তী সরকারই পদক্ষেপ নেবে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে মতৈক্যে পৌঁছাতে না পারায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিজ থেকেই একটি ‘সিদ্ধান্ত নেবে’। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত’ সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ‘এখতিয়ার রয়েছে’।
মঙ্গলবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইন উপদেষ্টাকে পেয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সব দলের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করেছি। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, ভালো কিছু হবে।’ তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে, এ ধরনের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রত্যাশা করেই বসে থাকেনি। সরকার নিজেদের মতো কাজ করেছে। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে।’
সাড়া দেয়নি
সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনার জন্য জামায়াতে ইসলামী উদ্যোগ নিলেও বিএনপি তাতে সাড়া দেয়নি। বিএনপি বলেছে, তারা প্রধান উপদেষ্টা ডাকলে আলোচনায় বসবেন। ছয়দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ ৯ দলের যে উদ্যোগ, সেটিও এগোয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে এবং গণভোট আয়োজনের তারিখ নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে এখন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দিকেই তাকিয়ে আছে দলগুলো।
দোষ দেয়া হয়
মঙ্গলবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনগত সহায়তা প্রদান (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ খসড়া সংশোধন প্রস্তাব বিষয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন এত আলোচনা করেছে, অথচ সংস্কার নেই, পণ্ডশ্রম হয়েছে, এমন দোষ দেয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘অপপ্রচারের মাত্রা এমন জায়গায় চলে গেছে যে, ২৫ লাখ টাকার খাবারের বিল বানিয়েছে ৮৩ কোটি টাকা। সবকিছুতে সীমা থাকা উচিত।’
সংস্কার ভাবনার ক্ষেত্রে সবকিছু সংবিধানের মধ্যে আটকে গেছে মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘একদল মানুষ পাগল হয়ে গেছে। মানে, সব সংস্কার শুধু সংবিধানে করলেই হবে। অন্য সংস্কার কোনো কিছুই ইম্পর্ট্যান্ট না। আমাদের এই দেখার মানসিকতার একটু পরিবর্তন প্রয়োজন আছে।’
*বড় বড় কাজ হয়েছে*
রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সবার মানসিকতার পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজে আসে না, এমন মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি বইয়ের মধ্যে কতগুলো ভালো ভালো কথা লিখে রাখলেই সবকিছু ভালো হয়ে যাবে না। সংবিধান কোনো ম্যাজিক নয়।’
আইন মন্ত্রণালয়ে ‘বড় বড় কাজ’ হয়েছে দাবি করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনে যে প্রস্তাব দিয়েছে, আমারটা আমি খুব ভালো জানি। আমারটা বলছি, যেখানে ৭০-৮০ শতাংশ সংস্কার ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। সমস্যাটা হচ্ছে, যে জিনিসটা হয়েছে, সেটা কেউ লক্ষ্য করে না। যেটা হয়নি, সেটা নিয়ে হাহাকার।’
*আমলাতন্ত্র*
পুলিশ সংস্কার কমিশন আইনের খসড়া তৈরির অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আইন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করার কথা ছিল, কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় নিজেদের উদ্যোগেই এটি প্রস্তুত করেছিল। আইনটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ছিল যে, কমিশন তিনজন আইজিপির নাম প্রস্তাব করবে এবং সরকার সেই তিনজনের মধ্য থেকে একজনকে আইজিপি পদে নিয়োগ দেবেন। যখন এই আইনটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে পাঠানো হয়, তখন আমলাতন্ত্র প্রচণ্ডভাবে আইনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কী পদক্ষেপ নেবে তা আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন এই সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার,(১১ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সরকার নিজেদের মতো কাজ করছে: আসিফ নজরুল
সংস্কার: আমলাতন্ত্র প্রচণ্ডভাবে বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়
রাষ্ট্র সংস্কার ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ নয় মাসের প্রচেষ্টার শেষ পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েই গেছে। বিশেষ করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও গণভোট আয়োজনের দিনক্ষণ নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতের মূল দাবি- জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা। অন্যদিকে গণভোট ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের দিনই করার পক্ষে বিএনপি। সনদ বাস্তবায়ন এবং উভয়কক্ষে পিআর চালুর বিষয়েও জামায়াতের দাবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে দলটি। সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোট ইস্যুতে বিএনপির পক্ষে কিছু দল এবং জামায়াতের পক্ষে কিছু দল নীতিগত অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাও দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্ভব হলে এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে সমঝোতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের যে আহ্বান ছিল, সে সময় শেষ হয়েছে। নিজেদের মধ্যে সৃষ্ট মতবিরোধের মীমাংসা করতে পারেনি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
আগেই জানিয়েছিল
অন্তর্বর্তী সরকার আগেই জানিয়েছিল, দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য না হলে অন্তর্বর্তী সরকারই পদক্ষেপ নেবে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে মতৈক্যে পৌঁছাতে না পারায় জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিজ থেকেই একটি ‘সিদ্ধান্ত নেবে’। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত’ সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ‘এখতিয়ার রয়েছে’।
মঙ্গলবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইন উপদেষ্টাকে পেয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সব দলের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করেছি। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, ভালো কিছু হবে।’ তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে, এ ধরনের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রত্যাশা করেই বসে থাকেনি। সরকার নিজেদের মতো কাজ করেছে। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানা যাবে।’
সাড়া দেয়নি
সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনার জন্য জামায়াতে ইসলামী উদ্যোগ নিলেও বিএনপি তাতে সাড়া দেয়নি। বিএনপি বলেছে, তারা প্রধান উপদেষ্টা ডাকলে আলোচনায় বসবেন। ছয়দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ ৯ দলের যে উদ্যোগ, সেটিও এগোয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে এবং গণভোট আয়োজনের তারিখ নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেতে এখন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দিকেই তাকিয়ে আছে দলগুলো।
দোষ দেয়া হয়
মঙ্গলবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আইনগত সহায়তা প্রদান (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ খসড়া সংশোধন প্রস্তাব বিষয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন এত আলোচনা করেছে, অথচ সংস্কার নেই, পণ্ডশ্রম হয়েছে, এমন দোষ দেয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘অপপ্রচারের মাত্রা এমন জায়গায় চলে গেছে যে, ২৫ লাখ টাকার খাবারের বিল বানিয়েছে ৮৩ কোটি টাকা। সবকিছুতে সীমা থাকা উচিত।’
সংস্কার ভাবনার ক্ষেত্রে সবকিছু সংবিধানের মধ্যে আটকে গেছে মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘একদল মানুষ পাগল হয়ে গেছে। মানে, সব সংস্কার শুধু সংবিধানে করলেই হবে। অন্য সংস্কার কোনো কিছুই ইম্পর্ট্যান্ট না। আমাদের এই দেখার মানসিকতার একটু পরিবর্তন প্রয়োজন আছে।’
*বড় বড় কাজ হয়েছে*
রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সবার মানসিকতার পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজে আসে না, এমন মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি বইয়ের মধ্যে কতগুলো ভালো ভালো কথা লিখে রাখলেই সবকিছু ভালো হয়ে যাবে না। সংবিধান কোনো ম্যাজিক নয়।’
আইন মন্ত্রণালয়ে ‘বড় বড় কাজ’ হয়েছে দাবি করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনে যে প্রস্তাব দিয়েছে, আমারটা আমি খুব ভালো জানি। আমারটা বলছি, যেখানে ৭০-৮০ শতাংশ সংস্কার ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। সমস্যাটা হচ্ছে, যে জিনিসটা হয়েছে, সেটা কেউ লক্ষ্য করে না। যেটা হয়নি, সেটা নিয়ে হাহাকার।’
*আমলাতন্ত্র*
পুলিশ সংস্কার কমিশন আইনের খসড়া তৈরির অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এই আইন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করার কথা ছিল, কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় নিজেদের উদ্যোগেই এটি প্রস্তুত করেছিল। আইনটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ছিল যে, কমিশন তিনজন আইজিপির নাম প্রস্তাব করবে এবং সরকার সেই তিনজনের মধ্য থেকে একজনকে আইজিপি পদে নিয়োগ দেবেন। যখন এই আইনটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে পাঠানো হয়, তখন আমলাতন্ত্র প্রচণ্ডভাবে আইনের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায়।’