ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একই সময়ে আক্রান্ত হয়ে ৯১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মোট আক্রান্ত ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে
রাজধানীতে মোট মৃত্যু ২০৫ জন
মঙ্গলবার, (১১ নভেম্বর ২০২৫) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩ জনই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫১ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩১ জন, খুলনা বিভাগে ৭২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮৮ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন ও সিলেট বিভাগে ৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৮ জনের। এর মধ্যে গত অক্টোবর মাসে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। এটিই চলতি বছরে একমাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এদিকে নভেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মারা যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জনের এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মার্চ মাস ছিল মৃত্যুহীন। আবার এপ্রিলে ৭ জন ও মে মাসে ৩ জনের মৃত্যু হলেও বাড়তে থাকে জুন মাস থেকে। জুনে ১৯ জনের মৃত্যু হয়। জুলাইয়ে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪১ জনে। আর আগস্টে মৃত্যু ছিল ৩৯ জনের।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রথমেই দরকার জরুরি ভিত্তিতে মশক নিধন কার্যক্রমকে আরও গুরুত্ব দেয়া, এটি শুধু সিটি করপোরেশনের দায়িত্বই নয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি সাধারণ মানুষকেও যুক্ত করতে হবে। আর মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তারা। পাশাপাশি লার্ভিসাইড ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বড় করণীয় হলো জনসচেতনতা বাড়ানো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি পরিবারকে বুঝতে হবে যে, এডিস মশার জন্মস্থল ধ্বংস করা ব্যক্তিগত দায়িত্বও বটে। মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা ছাড়া ডেঙ্গু মোকাবিলা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকারকে আরও বেশি প্রচারণা চালাতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একই সময়ে আক্রান্ত হয়ে ৯১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মোট আক্রান্ত ৮০ হাজার ছাড়িয়েছে
রাজধানীতে মোট মৃত্যু ২০৫ জন
মঙ্গলবার, (১১ নভেম্বর ২০২৫) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩ জনই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫১ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩১ জন, খুলনা বিভাগে ৭২ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮৮ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন ও সিলেট বিভাগে ৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩১৮ জনের। এর মধ্যে গত অক্টোবর মাসে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। এটিই চলতি বছরে একমাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এদিকে নভেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মারা যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জনের এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মার্চ মাস ছিল মৃত্যুহীন। আবার এপ্রিলে ৭ জন ও মে মাসে ৩ জনের মৃত্যু হলেও বাড়তে থাকে জুন মাস থেকে। জুনে ১৯ জনের মৃত্যু হয়। জুলাইয়ে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪১ জনে। আর আগস্টে মৃত্যু ছিল ৩৯ জনের।
কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রথমেই দরকার জরুরি ভিত্তিতে মশক নিধন কার্যক্রমকে আরও গুরুত্ব দেয়া, এটি শুধু সিটি করপোরেশনের দায়িত্বই নয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এমনকি সাধারণ মানুষকেও যুক্ত করতে হবে। আর মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তারা। পাশাপাশি লার্ভিসাইড ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বড় করণীয় হলো জনসচেতনতা বাড়ানো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি পরিবারকে বুঝতে হবে যে, এডিস মশার জন্মস্থল ধ্বংস করা ব্যক্তিগত দায়িত্বও বটে। মানুষের মধ্যে সাপ্তাহিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা ছাড়া ডেঙ্গু মোকাবিলা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকারকে আরও বেশি প্রচারণা চালাতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।