‘দুর্নীতির’ অভিযোগ থাকায় বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের সহযোগী সানজিদা আক্তারের দুটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তার ১০টি হিসাবও অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার, (১১ নভেম্বর ২০২৫) এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য দিয়েছেন।
এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থার সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান সানজিদা আক্তারের ফ্ল্যাট দুটি জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদন অনুযায়ী, ঢাকার নিকুঞ্জে থাকা ফ্ল্যাট দুটির দাম ৯৫ লাখ টাকা। আর তার ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা আছে ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ টাকা।
আবেদনে বলা হয়, শেখ আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ’ করে নিজ নামে ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের নামে জ্ঞাত ‘আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৭ জুলাই মামলা করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকালে নথিপত্র ও জব্দকৃত আলামত পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নান বিভিন্ন সময় ‘অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ গোপন করার উদ্দেশ্যে তার শুভাকাক্সক্ষী সানজিদা আক্তারের নামে কিনেছেন। অর্থাৎ এ বিষয়ে সানজিদা আক্তার তাকে সহযোগিতা করেছেন।
তদন্তের বরাতে দুদক জানায়, সানজিদা আকতারের নামে ঢাকা মহানগরীর খিলক্ষেত এলাকার নিকুঞ্জ-২ এ মোট ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট করে দিয়েছেন হান্নান। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত বা এফডিআর করা আছে। তল্লাশিকালে তার বাসা থেকে প্রায় ২৬ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়, যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলে প্রতীয়মান হয়।
তদন্তের সময় বিভিন্ন সূত্রের তথ্যের বরাতে দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, সানজিদা আক্তার এসব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র ‘হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত’ করার চেষ্টা করছেন। তদন্ত নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে সেগুলো উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য সানজিদা আক্তারের এসব স্থাবর সম্পদ ‘জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক। গত ৫ মে শেখ আব্দুল হান্নান পরিবারের তিন সদস্যের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। পরদিন তার জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাট জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত। তারপর ২৪ মে হান্নান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
‘দুর্নীতির’ অভিযোগ থাকায় বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের সহযোগী সানজিদা আক্তারের দুটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তার ১০টি হিসাবও অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার, (১১ নভেম্বর ২০২৫) এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য দিয়েছেন।
এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থার সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান সানজিদা আক্তারের ফ্ল্যাট দুটি জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। সেই আবেদন অনুযায়ী, ঢাকার নিকুঞ্জে থাকা ফ্ল্যাট দুটির দাম ৯৫ লাখ টাকা। আর তার ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা আছে ৪০ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ টাকা।
আবেদনে বলা হয়, শেখ আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ’ করে নিজ নামে ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিদের নামে জ্ঞাত ‘আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৭ জুলাই মামলা করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকালে নথিপত্র ও জব্দকৃত আলামত পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান হান্নান বিভিন্ন সময় ‘অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ গোপন করার উদ্দেশ্যে তার শুভাকাক্সক্ষী সানজিদা আক্তারের নামে কিনেছেন। অর্থাৎ এ বিষয়ে সানজিদা আক্তার তাকে সহযোগিতা করেছেন।
তদন্তের বরাতে দুদক জানায়, সানজিদা আকতারের নামে ঢাকা মহানগরীর খিলক্ষেত এলাকার নিকুঞ্জ-২ এ মোট ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের দুটি ফ্ল্যাট করে দিয়েছেন হান্নান। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে তার নামে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত বা এফডিআর করা আছে। তল্লাশিকালে তার বাসা থেকে প্রায় ২৬ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়, যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়’ বলে প্রতীয়মান হয়।
তদন্তের সময় বিভিন্ন সূত্রের তথ্যের বরাতে দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, সানজিদা আক্তার এসব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র ‘হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত’ করার চেষ্টা করছেন। তদন্ত নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে সেগুলো উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। এজন্য সানজিদা আক্তারের এসব স্থাবর সম্পদ ‘জরুরি ভিত্তিতে ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক। গত ৫ মে শেখ আব্দুল হান্নান পরিবারের তিন সদস্যের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। পরদিন তার জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাট জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত। তারপর ২৪ মে হান্নান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।