সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ (ইনসেটে) মঞ্চে উপবিষ্ট নেতারা -সংবাদ
‘কাদিয়ানি’দের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
শনিবার,(১৫ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসম্মেলনের মঞ্চ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্?ফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী।
তিনি বলেন, ‘কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা না হলে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন থেকে কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতার গণসই গ্রহণ; আগামী মে ও জুন মাসে দেশের প্রতিটি জেলার ডিসিকে স্মারকলিপি প্রদান এবং জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে প্রতিটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় খতমে নবুওয়ত সম্মেলন আয়োজন।
এরপরও দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল আলেম-ওলামাদের নিয়ে খতমে নবুওয়ত ডিসেম্বরে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন করবে বলেও জানান মুহিউদ্দিন রাব্বানী।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলের নেতারা খতমে নবুওয়তের এ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবদুল হামিদের (পীর সাহেব, মধুপুর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমানও বক্তব্য দেন।
এছাড়াও পাকিস্তানের ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান, পাকিস্তানের বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা হানিফ জালন্দরি, পাকিস্তানের ইউসুফ বিন্নুরি টাউন মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম আহমাদ ইউসুফ বিন্নুরি; ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানি, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানী, ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুয়ত মুভমেন্ট, সৌদি আরবের নায়েবে আমির শায়খ আবদুর রউফ মাক্কি, মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শায়খ মুসআব নাবিল ইবরাহিম এই সম্মেলনে অংশ নেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামাদের মধ্যে সম্মেলনে যোগ দেন হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, দারুল উলুম হাটহাজারীর অধ্যক্ষ খলিল আহমাদ কুরাইশী, আল হাইয়াতুল উলিয়া ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক প্রমুখ।
দেশে আগে বিক্ষিপ্তভাবে হলেও এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন করলো খতমে নবুওয়ত। বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের আলেমরা এ সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ এই সম্মেলন আয়োজন করে। এর তত্ত্বাবধানে ছিল খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি।
সারাদেশ থেকে খতমে নবুওয়তের নেতাকর্মীরা এ সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ‘খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ’-এর স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের বিশাল সমাবেশ (ইনসেটে) মঞ্চে উপবিষ্ট নেতারা -সংবাদ
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
‘কাদিয়ানি’দের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
শনিবার,(১৫ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসম্মেলনের মঞ্চ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্?ফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী।
তিনি বলেন, ‘কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করা না হলে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন থেকে কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতার গণসই গ্রহণ; আগামী মে ও জুন মাসে দেশের প্রতিটি জেলার ডিসিকে স্মারকলিপি প্রদান এবং জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে প্রতিটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় খতমে নবুওয়ত সম্মেলন আয়োজন।
এরপরও দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল আলেম-ওলামাদের নিয়ে খতমে নবুওয়ত ডিসেম্বরে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন করবে বলেও জানান মুহিউদ্দিন রাব্বানী।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দলের নেতারা খতমে নবুওয়তের এ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবদুল হামিদের (পীর সাহেব, মধুপুর) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমানও বক্তব্য দেন।
এছাড়াও পাকিস্তানের ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান, পাকিস্তানের বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা হানিফ জালন্দরি, পাকিস্তানের ইউসুফ বিন্নুরি টাউন মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম আহমাদ ইউসুফ বিন্নুরি; ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানি, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানী, ইন্টারন্যাশনাল খতমে নবুয়ত মুভমেন্ট, সৌদি আরবের নায়েবে আমির শায়খ আবদুর রউফ মাক্কি, মিসরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শায়খ মুসআব নাবিল ইবরাহিম এই সম্মেলনে অংশ নেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামাদের মধ্যে সম্মেলনে যোগ দেন হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, দারুল উলুম হাটহাজারীর অধ্যক্ষ খলিল আহমাদ কুরাইশী, আল হাইয়াতুল উলিয়া ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক প্রমুখ।
দেশে আগে বিক্ষিপ্তভাবে হলেও এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন করলো খতমে নবুওয়ত। বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের আলেমরা এ সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ এই সম্মেলন আয়োজন করে। এর তত্ত্বাবধানে ছিল খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি।
সারাদেশ থেকে খতমে নবুওয়তের নেতাকর্মীরা এ সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ‘খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ’-এর স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করেন।