ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি ফেইসবুক ভিত্তিক প্রতিবাদী দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার,(১৫ নভেম্বর ২০২৫) নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, দলটির মাঠে প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি খুব কম।
পোস্টে প্রেস সচিব লেখেন, তিনটি সাম্প্রতিক ঘটনা তার বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে যে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে; সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পোস্টে শফিকুল আলম ওই ৩ ঘটনার বর্ণনায় যা লিখেছেন-
১. বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে
বিএনপি তাদের সংসদীয় প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে- এমন একটি ব্যাপক আশঙ্কা ছিল। অনেকের ধারণা ছিল, শত শত বিদ্রোহী প্রার্থী দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না। বিক্ষোভে নামবেন। এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়াতে পারেন। কিন্তু এক-দুটি সামান্য ঘটনা ছাড়া ঘোষণাটি আশ্চর্যজনকভাবে শান্ত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, বিএনপি নেতৃত্ব যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে। মনোনয়নের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ইঙ্গিত দেয়Ñ প্রচারণা ও নির্বাচনের সময় দলের ভেতরে সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম।
২. আওয়ামী লীগের সক্ষমতার সীমা স্পষ্টভাবে দেখছি এবং তা বেশ ছোট
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে তাদের একটি বিস্তৃত তৃণমূল নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা যে কোনো নির্বাচন ব্যাহত করার মতো শক্তিশালী। কিন্তু গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহ প্রমাণ করে দিয়েছে- দলটির বাস্তব সংগঠিত শক্তি আসলে কতটা সীমিত। এখন তারা ক্রমেই ভাড়াটে টোকাই-ধরনের ক্ষুদ্র দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা ফাঁকা বাসে আগুন দিতে পারে, ৩০ সেকেন্ডের ‘ঝটিকা মিছিল’ করতে পারে, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এআই শাটডাউনের মতো প্রচারণা চালাতে পারে। প্রকৃত অর্থে, যার মাঠে প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি খুব কম। আমার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণও তাই নির্দেশ করে, দলের তৃণমূল হয় ভেঙে গেছে, নয়তো প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা নিমজ্জিত হয়েছে। এই বাস্তবতা বিবেচনা করে, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো অস্থিরতা বা বিঘœ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ বলে মনে করি।
৩. পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন এখন আরও সংগঠিত
সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা দেখেই বোঝা যায়- পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন (ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি) এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সংগঠিত। সবচেয়ে দক্ষ ও সক্ষম কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
শফিকুল আরও লেখেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তারা জাতির প্রত্যাশিত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।’
লামিয়া মোর্শেদসহ ৩ জনকে রাষ্ট্রদূত*
প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও তার বোন হোসনা সিদ্দিকীকে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে গণমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুকে আরেক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রেস সচিব লিখেছেন, “সূত্রহীন ও কল্পনানির্ভর ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উল্লিখিত তিনজনকে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিতে চায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, তাদের কথিত ‘রাষ্ট্রদূত হওয়ার খায়েশ’ পূরণে ‘পেশাদার কূটনীতিকদের বলি দিতে হচ্ছে’।”
তিনি লিখেছেন, ‘সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতি, দায়িত্ববোধ ও পেশাদারত্বহীন এই প্রতিবেদনে রাষ্ট্রদূতের সম্মানজনক পদকে ‘মাখন খাওয়া’ এবং তাদের কল্পিত নিয়োগকে ‘গাছেরটা খেয়ে তলারটা কুড়ানো’-র মতো অবমাননাকর উপমার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে- যা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য চরম অপমানজনক ও নিন্দনীয়। এ ধরনের ভাষা প্রয়োগ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ স্পষ্টভাবে ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মানসিকতার প্রতিফলন।’
ফেইসবুক পোস্টে প্রেস সচিব লিখেন, ‘এই বিষয়ে লামিয়া মোর্শেদ আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানালে মানবজমিন দাবি করে যে, তারা (মানবজমিন) সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রাথমিক আলোচনার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেÑ যদিও সেই দাবিটিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
তিনি লিখেন, ‘কোনো দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমের পক্ষে এ ধরনের অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করে অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ অকল্পনীয়। মানবজমিন এর মধ্য দিয়ে নিজেদের তৃতীয় সারির সংবাদমাধ্যমের মানহীনতার স্তরে নামিয়ে এনেছে এবং যথারীতি কোনো ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি।’
শফিকুল আলম লিখেন, ‘আমরা দৈনিক মানবজমিনের প্রতি উক্ত মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর প্রতিবেদনটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি ফেইসবুক ভিত্তিক প্রতিবাদী দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার,(১৫ নভেম্বর ২০২৫) নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, দলটির মাঠে প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি খুব কম।
পোস্টে প্রেস সচিব লেখেন, তিনটি সাম্প্রতিক ঘটনা তার বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করেছে যে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে; সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পোস্টে শফিকুল আলম ওই ৩ ঘটনার বর্ণনায় যা লিখেছেন-
১. বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে
বিএনপি তাদের সংসদীয় প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে- এমন একটি ব্যাপক আশঙ্কা ছিল। অনেকের ধারণা ছিল, শত শত বিদ্রোহী প্রার্থী দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না। বিক্ষোভে নামবেন। এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়াতে পারেন। কিন্তু এক-দুটি সামান্য ঘটনা ছাড়া ঘোষণাটি আশ্চর্যজনকভাবে শান্ত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, বিএনপি নেতৃত্ব যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করেছে। মনোনয়নের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ইঙ্গিত দেয়Ñ প্রচারণা ও নির্বাচনের সময় দলের ভেতরে সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম।
২. আওয়ামী লীগের সক্ষমতার সীমা স্পষ্টভাবে দেখছি এবং তা বেশ ছোট
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে তাদের একটি বিস্তৃত তৃণমূল নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা যে কোনো নির্বাচন ব্যাহত করার মতো শক্তিশালী। কিন্তু গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহ প্রমাণ করে দিয়েছে- দলটির বাস্তব সংগঠিত শক্তি আসলে কতটা সীমিত। এখন তারা ক্রমেই ভাড়াটে টোকাই-ধরনের ক্ষুদ্র দুষ্কৃতকারী গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, যারা ফাঁকা বাসে আগুন দিতে পারে, ৩০ সেকেন্ডের ‘ঝটিকা মিছিল’ করতে পারে, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এআই শাটডাউনের মতো প্রচারণা চালাতে পারে। প্রকৃত অর্থে, যার মাঠে প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি খুব কম। আমার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণও তাই নির্দেশ করে, দলের তৃণমূল হয় ভেঙে গেছে, নয়তো প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা নিমজ্জিত হয়েছে। এই বাস্তবতা বিবেচনা করে, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনো অস্থিরতা বা বিঘœ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ বলে মনে করি।
৩. পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন এখন আরও সংগঠিত
সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা দেখেই বোঝা যায়- পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন (ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি) এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সংগঠিত। সবচেয়ে দক্ষ ও সক্ষম কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
শফিকুল আরও লেখেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তারা জাতির প্রত্যাশিত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।’
লামিয়া মোর্শেদসহ ৩ জনকে রাষ্ট্রদূত*
প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক দূত লামিয়া মোর্শেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও তার বোন হোসনা সিদ্দিকীকে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে গণমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুকে আরেক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রেস সচিব লিখেছেন, “সূত্রহীন ও কল্পনানির্ভর ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উল্লিখিত তিনজনকে বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিতে চায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, তাদের কথিত ‘রাষ্ট্রদূত হওয়ার খায়েশ’ পূরণে ‘পেশাদার কূটনীতিকদের বলি দিতে হচ্ছে’।”
তিনি লিখেছেন, ‘সাংবাদিকতার ন্যূনতম নীতি, দায়িত্ববোধ ও পেশাদারত্বহীন এই প্রতিবেদনে রাষ্ট্রদূতের সম্মানজনক পদকে ‘মাখন খাওয়া’ এবং তাদের কল্পিত নিয়োগকে ‘গাছেরটা খেয়ে তলারটা কুড়ানো’-র মতো অবমাননাকর উপমার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে- যা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য চরম অপমানজনক ও নিন্দনীয়। এ ধরনের ভাষা প্রয়োগ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ স্পষ্টভাবে ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মানসিকতার প্রতিফলন।’
ফেইসবুক পোস্টে প্রেস সচিব লিখেন, ‘এই বিষয়ে লামিয়া মোর্শেদ আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানালে মানবজমিন দাবি করে যে, তারা (মানবজমিন) সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রাথমিক আলোচনার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেÑ যদিও সেই দাবিটিও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
তিনি লিখেন, ‘কোনো দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমের পক্ষে এ ধরনের অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করে অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ অকল্পনীয়। মানবজমিন এর মধ্য দিয়ে নিজেদের তৃতীয় সারির সংবাদমাধ্যমের মানহীনতার স্তরে নামিয়ে এনেছে এবং যথারীতি কোনো ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি।’
শফিকুল আলম লিখেন, ‘আমরা দৈনিক মানবজমিনের প্রতি উক্ত মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর প্রতিবেদনটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছি।’