রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী -সংবাদ
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৫ জন মারা গেছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৩৯ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার, (১৬ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৪ হাজার ৯৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৩৬ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৮১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪১ জন, ঢাকা বিভাগে ২৪৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৮২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৮ জন, খুলনা বিভাগে ১১৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৬ জন, রংপুর বিভাগে ৯ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন রয়েছে।
নিহত ৫ জনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন মারা গেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ৫৪ জন, ৬-১০ বছর বয়সের ৪০ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৬০ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ১৩৬ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ১৬৫ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ১৩২ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ১০৪ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ১২২ জন, ৪১-৪৫ বছর বয়সের ৮০ জন, ৪৬-৫০ বছর বয়সের ৫৪ জন ও ৫১-৫৫ বছর বয়সের ৩৮ জন।
হাসপাতালের তথ্য মতে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬৫ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৪১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২৬ জন, সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৭৮ জন এবং মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৭৮ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে এখনও ৮৪২ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩২১৯ জন ভর্তি আছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক মানুষ এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে আছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মশা প্রজননের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। মশার ঘনত্ব ও প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিও অনেক বেশি। বিভিন্ন বিজ্ঞানীর গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১২৬ প্রজাতির মশা শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে ঢাকায় ১৪-১৬ প্রজাতির মশা রয়েছে। এছাড়া মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও অ্যানসেফালাইটিস।
ঢাকায় প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেয় ১৯৬৩ সালে। ওই সময় এটিকে ঢাকা ফিভার হিসেবে চিহ্নিত করা বা নাম দেয়া হয়েছিল। ২০০০ সালে বিজ্ঞানীরা একে ডেঙ্গু হিসেবে চিহ্নিত করেন। ওই বছর বাংলাদেশে ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। তখন ৯৩ জন মারাও গেছেন। এরপর থেকে প্রতি বছর কম বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আবার অনেকে মারাও গেছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী -সংবাদ
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৫ জন মারা গেছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৩৯ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে রোববার, (১৬ নভেম্বর ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৪ হাজার ৯৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৩৬ জন মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৮১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪১ জন, ঢাকা বিভাগে ২৪৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৮২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৮ জন, খুলনা বিভাগে ১১৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪৬ জন, রংপুর বিভাগে ৯ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন রয়েছে।
নিহত ৫ জনের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন মারা গেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫ বছর বয়সের ৫৪ জন, ৬-১০ বছর বয়সের ৪০ জন, ১১-১৫ বছর বয়সের ৬০ জন, ১৬-২০ বছর বয়সের ১৩৬ জন, ২১-২৫ বছর বয়সের ১৬৫ জন, ২৬-৩০ বছর বয়সের ১৩২ জন, ৩১-৩৫ বছর বয়সের ১০৪ জন, ৩৬-৪০ বছর বয়সের ১২২ জন, ৪১-৪৫ বছর বয়সের ৮০ জন, ৪৬-৫০ বছর বয়সের ৫৪ জন ও ৫১-৫৫ বছর বয়সের ৩৮ জন।
হাসপাতালের তথ্য মতে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬৫ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৪১ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২৬ জন, সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালে ৩৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৭৮ জন এবং মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৭৮ জন ভর্তি আছে। এভাবে রাজধানীর ১৮টি হাসপাতালে এখনও ৮৪২ জন ভর্তি আছে। সারাদেশের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৩২১৯ জন ভর্তি আছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক কবিরুল বাশার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক মানুষ এখন ডেঙ্গু ঝুঁকিতে আছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মশা প্রজননের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। মশার ঘনত্ব ও প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিও অনেক বেশি। বিভিন্ন বিজ্ঞানীর গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১২৬ প্রজাতির মশা শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে ঢাকায় ১৪-১৬ প্রজাতির মশা রয়েছে। এছাড়া মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও অ্যানসেফালাইটিস।
ঢাকায় প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেয় ১৯৬৩ সালে। ওই সময় এটিকে ঢাকা ফিভার হিসেবে চিহ্নিত করা বা নাম দেয়া হয়েছিল। ২০০০ সালে বিজ্ঞানীরা একে ডেঙ্গু হিসেবে চিহ্নিত করেন। ওই বছর বাংলাদেশে ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। তখন ৯৩ জন মারাও গেছেন। এরপর থেকে প্রতি বছর কম বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আবার অনেকে মারাও গেছেন।