alt

এয়ারবাস না কেনার ব্যাপারে সতর্ক করলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত

কুটনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

প্রতিশ্রতি দেয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ যদি এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ না কেনার সিদ্ধান্ত নেয় তবে ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে ‘প্রভাব পড়বে’ বলে জানালেন রাষ্ট্রদূত র‌্যুডিগার লোটৎস। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’-এ এ কথা বলেন জার্মান দূত।

রাষ্ট্রদূত র‌্যুডিগার লোটৎস বলেন, ইউরোপের বাজারে শুল্কছাড়ের আলোচনার আবহও এয়ারবাস নিয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের কারণে বদলে যেতে পারে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে আসছে ফ্রান্সভিত্তিক ইউরোপিয়ান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস। এর মধ্যে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, বাংলাদেশ ফ্রান্সের কোম্পানি এয়ারবাস থেকে ১০টি বড় উড়োজাহাজ ‘কেনার প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “এয়ারবাস বিষয়ক প্রশ্ন, এটা আমাদের বাণিজ্য সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কি-না। অবশ্যই ফেলবে, অবশ্যই ফেলবে। “আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। এবং আমাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কটা যেমন, আমাদের মনে হয়, এটা এভাবেই চলতে দেওয়া উচিত। আমি মনে করি, বাণিজ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে নির্ভর করার মত পরিস্থিতি থাকা দরকার।”

এয়ারবাস থেকে আটটি যাত্রীবাহী ও দুটি পণ্যবাহী উড়োজাহাজ কেনার বিষয় ‘পর্যালোচনার’ মধ্যে আমেরিকান কোম্পানি বোয়িংও তৎপর হয়ে ওঠে। তৎকালীন সরকারের সঙ্গে দুপক্ষের দেনদরবারের মধ্যে ২০২৪ সালের অগাস্টে গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর ডনাল্ড ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ শুল্কের খড়গ থেকে বাঁচতে গত জুলাই মাসে অন্তর্বর্তী সরকার মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এতে তাতে ফ্রান্সের কোম্পানি এয়ারবাস থেকে বিমানের জন্য ১০টি বড় উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এরপর ইউরোপও নড়েচড়ে বসে। এয়ারবাস বিক্রির জন্য তারাও চাপ দিতে থাকে সরকারের ওপর।

গত জুন মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরে গেলে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাউটার ভ্যান ভার্স। এর পর থেকে কোম্পানির প্রতিনিধিরা সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তবে এয়ারলাইন্স ব্যবসায় উড়োজাহাজের প্রয়োজন হলে সেই চাহিদা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির তরফ থেকে আসার নিয়ম রয়েছে। এখানে যার জন্য উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে, সেই বিমানকেই রাখা হচ্ছে অন্ধকারে। চলতি মাসের শুরুতে ফ্রান্স দূতাবাসে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা একযোগে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, উড়োজাহাজ কেনার আলোচনায় যেন এয়ারবাসকে ‘যৌক্তিকভাবে’ বিবেচনা করা হয়।

এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার আলোচনা থেকে বাংলাদেশ সরে এলে তার প্রভাব কেমন হবে, তা আজ ডিক্যাব টকে জার্মান রাষ্ট্রদূত লোটৎসের কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক। উত্তরে তিনি বলেন, “এখানে সম্পূর্ণ একটা পটভূমি রয়েছে। জিএসপি প্লাসের প্রশ্ন যখন আসে, সেটা কাউকে হুমকি দেওয়া বা তেমন কিছু না, একেবারেই না। তবে, দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলো এ ধরনের (এয়ারবাস) সিদ্ধান্তের উপরও কিছুটা নির্ভর করে। সুতরাং জিএসপি প্লাসের সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত বা এমন বিষয়ের দরকষাকষি কীভাবে চলবে, এখানে নেওয়া এয়ারবাস বিষয়ক সিদ্ধান্ত তার আবহ কিছুটা পরিবর্তন করবে। সুতরাং এটাই আমি বলতে পারি।”

এমন প্রেক্ষাপটে এয়ারবাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ‘স্বাধীন’ বলে মন্তব্য করলেও তার একটি প্রভাব যে থাকবে, তা মনে করিয়ে দেন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক জীবনে আমরা যে সিদ্ধান্তই নিই না কেন, যে কেনো আবহের স্বাভাবিক মেজাজের ক্ষেত্রে তার কিছু পরিণতি থাকে। পরস্পরের স্বার্থে আমরা নিবিড় ব্যবসায়িক সম্পর্ক চালিয়ে যাব। কিন্তু আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, এর পরিণতি কী বা প্রভাব কী, তাহলে এটা খুব কঠিন শব্দ। যদি বলেন, এতে কি কোনো প্রভাব পড়বে? হ্যাঁ, পড়বে।”

ছবি

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি

ছবি

রঙিন হবে গণভোটের ব্যালট, সাদাকালো সংসদেরটি

ছবি

চাপ দিলে নাম প্রকাশ করে দেব: দুদক চেয়ারম্যান

ছবি

শব্দ দূষণে সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড, গেজেট

ছবি

নেতৃত্বের দায় না থাকলে বিচার ট্রাইব্যুনালে নয়: প্রসিকিউটর

শুধু আ’লীগ নেতা হওয়ার কারণে বিচার না করার আর্জি রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৬৩৩ জন ভর্তি, মৃত্যু ১

ছবি

নির্বাচনে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিরপেক্ষ ভূমিকা চায় সিইসি

ছবি

‘প্লট দুর্নীতি’: টিউলিপের রায় ১ ডিসেম্বর

রোকেয়ায় রেজিস্ট্রার: নিয়ম ভেঙে নিয়োগ, অনিয়মেই বাড়লো মেয়াদ

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের রায় ৪ ডিসেম্বর

ছবি

তাজরীন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর: ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও বিচারের দাবি স্বজনদের

ছবি

৪১ শতাংশ আইসিইউ রোগীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না

ছবি

সাংবাদিকবান্ধব নয় দেশের আইন, যারাই ক্ষমতায় যান ‘নিবর্তনের মানসিকতা পোষণ করেন’

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৭০৫ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ২

ছবি

অতিরিক্ত সংস্কার করতে গিয়ে রাষ্ট্রকাঠামো দুর্বল করা যাবে না: আসিফ নজরুল

ছবি

খালেদা জিয়ার হার্ট ও ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে: মেডিকেল বোর্ড

ছবি

সিনহা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ওসি প্রদীপ

ছবি

ভূমিকম্প: ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত: নাবিকরা চেলেঞ্জ মোকাবিলা ও সমুদ্রসীমা রক্ষা করবে

ছবি

সংবাদমাধ্যম থেকে বিচারকদের ‘অবমাননাকর’ ছবি সরানোর আদেশ

ছবি

জনগণের আস্থা ফেরাতে নির্বাচনী প্রচারণার দিকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান কমনওয়েলথ মহাসচিবের

ছবি

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

ছবি

ভূমিকম্পের সময় করণীয়, জানালো দমকল বিভাগ

ছবি

পোস্টাল ভোটিং: প্রথম পর্বে নিবন্ধনের সময় বাড়লো

প্লট দুর্নীতি মামলায় হাসিনা পরিবারের রায় আগামী বৃহস্পতিবার

ছবি

হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে আবার চিঠি দেয়া হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সম্ভাবনা নেই: উপদেষ্টা

বৈচিত্র্য বাধাগ্রস্ত হলে ফ্যাসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ছবি

সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান: সেনাদের ভার্চুয়াল হাজিরার আবেদনে ট্রাইব্যুনাল

ছবি

ঘুমধুম সীমান্তে মায়ানমার সেনা ও বিজিপির ৫ সদস্য আটক

ছবি

ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৮ জনের মৃত্যু

ছবি

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে আবারও ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

টিএফআই ও জেআইসি নির্যাতন মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী জেড আই খান পান্না নিয়োগ

ছবি

প্লট দুর্নীতি মামলায় হাসিনা পরিবারসহ আসামিদের রায় বৃহস্পতিবার

বিমানবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা

tab

এয়ারবাস না কেনার ব্যাপারে সতর্ক করলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত

কুটনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

প্রতিশ্রতি দেয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ যদি এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ না কেনার সিদ্ধান্ত নেয় তবে ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে ‘প্রভাব পড়বে’ বলে জানালেন রাষ্ট্রদূত র‌্যুডিগার লোটৎস। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’-এ এ কথা বলেন জার্মান দূত।

রাষ্ট্রদূত র‌্যুডিগার লোটৎস বলেন, ইউরোপের বাজারে শুল্কছাড়ের আলোচনার আবহও এয়ারবাস নিয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের কারণে বদলে যেতে পারে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে আসছে ফ্রান্সভিত্তিক ইউরোপিয়ান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস। এর মধ্যে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, বাংলাদেশ ফ্রান্সের কোম্পানি এয়ারবাস থেকে ১০টি বড় উড়োজাহাজ ‘কেনার প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “এয়ারবাস বিষয়ক প্রশ্ন, এটা আমাদের বাণিজ্য সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কি-না। অবশ্যই ফেলবে, অবশ্যই ফেলবে। “আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। এবং আমাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কটা যেমন, আমাদের মনে হয়, এটা এভাবেই চলতে দেওয়া উচিত। আমি মনে করি, বাণিজ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে নির্ভর করার মত পরিস্থিতি থাকা দরকার।”

এয়ারবাস থেকে আটটি যাত্রীবাহী ও দুটি পণ্যবাহী উড়োজাহাজ কেনার বিষয় ‘পর্যালোচনার’ মধ্যে আমেরিকান কোম্পানি বোয়িংও তৎপর হয়ে ওঠে। তৎকালীন সরকারের সঙ্গে দুপক্ষের দেনদরবারের মধ্যে ২০২৪ সালের অগাস্টে গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর ডনাল্ড ট্রাম্পের ৩৫ শতাংশ শুল্কের খড়গ থেকে বাঁচতে গত জুলাই মাসে অন্তর্বর্তী সরকার মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এতে তাতে ফ্রান্সের কোম্পানি এয়ারবাস থেকে বিমানের জন্য ১০টি বড় উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এরপর ইউরোপও নড়েচড়ে বসে। এয়ারবাস বিক্রির জন্য তারাও চাপ দিতে থাকে সরকারের ওপর।

গত জুন মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরে গেলে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাউটার ভ্যান ভার্স। এর পর থেকে কোম্পানির প্রতিনিধিরা সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তবে এয়ারলাইন্স ব্যবসায় উড়োজাহাজের প্রয়োজন হলে সেই চাহিদা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির তরফ থেকে আসার নিয়ম রয়েছে। এখানে যার জন্য উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে, সেই বিমানকেই রাখা হচ্ছে অন্ধকারে। চলতি মাসের শুরুতে ফ্রান্স দূতাবাসে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতরা একযোগে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, উড়োজাহাজ কেনার আলোচনায় যেন এয়ারবাসকে ‘যৌক্তিকভাবে’ বিবেচনা করা হয়।

এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনার আলোচনা থেকে বাংলাদেশ সরে এলে তার প্রভাব কেমন হবে, তা আজ ডিক্যাব টকে জার্মান রাষ্ট্রদূত লোটৎসের কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক। উত্তরে তিনি বলেন, “এখানে সম্পূর্ণ একটা পটভূমি রয়েছে। জিএসপি প্লাসের প্রশ্ন যখন আসে, সেটা কাউকে হুমকি দেওয়া বা তেমন কিছু না, একেবারেই না। তবে, দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত সিদ্ধান্তগুলো এ ধরনের (এয়ারবাস) সিদ্ধান্তের উপরও কিছুটা নির্ভর করে। সুতরাং জিএসপি প্লাসের সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত বা এমন বিষয়ের দরকষাকষি কীভাবে চলবে, এখানে নেওয়া এয়ারবাস বিষয়ক সিদ্ধান্ত তার আবহ কিছুটা পরিবর্তন করবে। সুতরাং এটাই আমি বলতে পারি।”

এমন প্রেক্ষাপটে এয়ারবাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ‘স্বাধীন’ বলে মন্তব্য করলেও তার একটি প্রভাব যে থাকবে, তা মনে করিয়ে দেন রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, “ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক জীবনে আমরা যে সিদ্ধান্তই নিই না কেন, যে কেনো আবহের স্বাভাবিক মেজাজের ক্ষেত্রে তার কিছু পরিণতি থাকে। পরস্পরের স্বার্থে আমরা নিবিড় ব্যবসায়িক সম্পর্ক চালিয়ে যাব। কিন্তু আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, এর পরিণতি কী বা প্রভাব কী, তাহলে এটা খুব কঠিন শব্দ। যদি বলেন, এতে কি কোনো প্রভাব পড়বে? হ্যাঁ, পড়বে।”

back to top