দফায় দফায় সময় বাড়ানো ও খরচ কমিয়েও আশানুরূপ সাড়া না মেলায় ফের বাড়ছে হজ নিবন্ধনের সময়। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে হজে যাওয়ার জন্য মোট নিবন্ধন করেছেন মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬০ জন।
সে হিসেবে এখনো নিবন্ধনের বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৩৮ জন। এ অবস্থায় ফের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী নিবন্ধন সিস্টেমের বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে মোট নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে সরকারিতে কোটা ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৩০ জন। সে হিসেবে বেসরকারিতে ফাঁকা রয়েছে ৩ হাজার ৯৬৮ জন। এছাড়া সরকারিতে বাংলাদেশের জন্য কোটা রয়েছে ১৫ হাজার। আজ বিকেল পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৯৩০ জন। সে হিসেবে ফাঁকা রয়েছে ৫ হাজার ৭০ জন।
গত সোমবার ৬ষ্ঠ দফায় তিনদিন সময় বাড়িয়ে ৩০ মার্চ পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। নতুন সময়ের মধ্যে যারা নিবন্ধন করবেন তারা পরিবর্তিত প্যাকেজ অর্থাৎ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমে নিবন্ধন করতে পারছেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (ডিএস) আবুল কাসেম মোহাম্মদ শাহীন বলেন, সরকারি-বেসরকারি কোটা পুরোটাই পূরণ হয়ে যাবে। আর সব সময়ই বেসরকারি কোটা আগে পূরণ হয়। এরপর সরকারি কোটা পূরণ হয়। তাই এ নিয়ে মন্ত্রণালয় চিন্তিত নয়। তবে অনেকের পাসপোর্ট এখনো হাতে পাননি বলে এ পরিস্থিতি হয়েছে। তারা পাসপোর্ট পেলেই নিবন্ধন করবেন। এই বিষয়টি অনেকেই কল করে মন্ত্রণালয়কে জানাচ্ছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের হাজিদের জন্য মিনায় তাঁবুর খরচ (এ বি সি ডি ক্যাটাগরি) ৪১৩ সৌদি রিয়াল কমায় সৌদি সরকার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১১ হাজার ৭২৫ টাকা। যারা ইতোমধ্যে নিবন্ধন করেছেন, তাদের খাবারের টাকার সঙ্গে এই পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
হজের প্যাকেজের মূল্য কমানোর পরও সাড়া মিলছে না হজ নিবন্ধনে। খরচ কমানোর পর ছয়দিনে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ২ হাজার ২১ জন। পঞ্চম দফায় সময় বাড়ানোর কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় বাকি প্রায় ১০ হাজার হজযাত্রী পূরণ হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজযাত্রীদের হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে। সে হিসেবে এখনো হাতে আছে ১০ দিন। এর মধ্যে নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
দফায় দফায় সময় বাড়ানো ও খরচ কমিয়েও আশানুরূপ সাড়া না মেলায় ফের বাড়ছে হজ নিবন্ধনের সময়। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে হজে যাওয়ার জন্য মোট নিবন্ধন করেছেন মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬০ জন।
সে হিসেবে এখনো নিবন্ধনের বাকি রয়েছে ৯ হাজার ৩৮ জন। এ অবস্থায় ফের নিবন্ধনের সময় বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী নিবন্ধন সিস্টেমের বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারিভাবে মোট নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে সরকারিতে কোটা ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে নিবন্ধন করেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ২৩০ জন। সে হিসেবে বেসরকারিতে ফাঁকা রয়েছে ৩ হাজার ৯৬৮ জন। এছাড়া সরকারিতে বাংলাদেশের জন্য কোটা রয়েছে ১৫ হাজার। আজ বিকেল পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৯৩০ জন। সে হিসেবে ফাঁকা রয়েছে ৫ হাজার ৭০ জন।
গত সোমবার ৬ষ্ঠ দফায় তিনদিন সময় বাড়িয়ে ৩০ মার্চ পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। নতুন সময়ের মধ্যে যারা নিবন্ধন করবেন তারা পরিবর্তিত প্যাকেজ অর্থাৎ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমে নিবন্ধন করতে পারছেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (ডিএস) আবুল কাসেম মোহাম্মদ শাহীন বলেন, সরকারি-বেসরকারি কোটা পুরোটাই পূরণ হয়ে যাবে। আর সব সময়ই বেসরকারি কোটা আগে পূরণ হয়। এরপর সরকারি কোটা পূরণ হয়। তাই এ নিয়ে মন্ত্রণালয় চিন্তিত নয়। তবে অনেকের পাসপোর্ট এখনো হাতে পাননি বলে এ পরিস্থিতি হয়েছে। তারা পাসপোর্ট পেলেই নিবন্ধন করবেন। এই বিষয়টি অনেকেই কল করে মন্ত্রণালয়কে জানাচ্ছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের হাজিদের জন্য মিনায় তাঁবুর খরচ (এ বি সি ডি ক্যাটাগরি) ৪১৩ সৌদি রিয়াল কমায় সৌদি সরকার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১১ হাজার ৭২৫ টাকা। যারা ইতোমধ্যে নিবন্ধন করেছেন, তাদের খাবারের টাকার সঙ্গে এই পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
হজের প্যাকেজের মূল্য কমানোর পরও সাড়া মিলছে না হজ নিবন্ধনে। খরচ কমানোর পর ছয়দিনে নিবন্ধন করেছেন মাত্র ২ হাজার ২১ জন। পঞ্চম দফায় সময় বাড়ানোর কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় বাকি প্রায় ১০ হাজার হজযাত্রী পূরণ হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
হজ অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে কতজন হজযাত্রীদের হজ করতে যাবেন তা সৌদি সরকারকে জানানোর শেষ তারিখ আগামী ৯ মে। সে হিসেবে এখনো হাতে আছে ১০ দিন। এর মধ্যে নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা।