alt

রাজনীতি

মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফের মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ০১ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুটি পুরোনো মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে এসেছে।

মির্জা আব্বাসের জামিন আদালতে বাতিল হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর গতকাল রাতে গোয়েন্দা পুলিশ বা ডিবি পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। আজ বুধবার তাকে আদালতে নেওয়া হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

২ নভেম্বর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ঠিক করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬–এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম।

বিএনপির এই নেতার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মির্জা আব্বাসের পক্ষে তিনি আদালতের কাছে সময় আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মামলা করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৪ মে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

অন্যদিকে দুদকের করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে সাফাই সাক্ষ্যের জন্য ১১ নভেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১–এ বিচারাধীন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে এসেছে। সাফাই সাক্ষ্য শেষ হলে যুক্তিতর্ক শুনানির দিন পড়বে। আর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলে আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করবেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদক মামলা করেছিল ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। সেই মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি মন্ত্রী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি লন্ডনের একটি ব্যাংক হিসাবে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা জমা রাখেন। এ মামলার বিচার শুরু হয় ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর।

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুরোনো এসব মামলায় এখন বিচার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইনের গতিতেই মামলার কার্যক্রম শেষ হচ্ছে।

তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক পুরোনো মামলায় বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা হচ্ছে।

ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা

ছবি

১০ দফা সংস্কার প্রস্তাবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় জামায়াত

ছবি

ক্ষমতায় এলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ও দখলদারত্বের বিচার হবে : মির্জা ফখরুল

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে যেসব প্রস্তাব দিল জামায়াত

ছবি

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র হিসেবে বিএনপির শাহাদাত হোসেনকে ঘোষণা, প্রজ্ঞাপন জারি

ছবি

পদত্যাগ করেছেন এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী

ছবি

সাবেক মেয়র তাপস ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ছবি

সীমান্তে স্বর্ণা দাস হত্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিবাদ নেই কেন- প্রশ্ন রিজভীর

ছবি

সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

সংবিধান সংস্কার নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার গুরুত্ব

ছবি

সশস্ত্র বাহিনীতে রাজনীতি বন্ধ ও সামরিক আইন সংস্কারের দাবি

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণঅধিকার পরিষদের ১২ দফা দাবি

ছবি

নির্বাচন থেকে সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ : জামায়াত

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ: ইসি গঠন ও ভোটের রোড ম্যাপ চেয়েছে বিএনপি

ছবি

বিরাজনীতিকরণ চাই না, উদার গণতন্ত্র দেখতে চাই: ফখরুল

ছবি

সংলাপে কাদের সঙ্গে কখন বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

শহীদরা জাতির সম্পদ, দলীয় ভিত্তিতে তাদের ভাগ করতে চাই না

জনতা পার্টির নতুন চেয়ারম্যান হলেন হুমায়ূন কবীর আকন

শনিবার থেকে দলগুলোর সঙ্গে ফের আলোচনা

আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শরিকদের বিরুদ্ধে ট্র্যাইব্যুনালে অভিযোগ

ছবি

প্রকাশ্যে এল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

ছবি

দুই মামলায় আবারও ৭ দিনের রিমান্ডে সালমান এফ রহমান

বাংলাদেশে ৩৩ পুলিশ সুপারের নতুন স্থানে বদলি

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিদেশে দুদকের ৭১ চিঠি

ছবি

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর ডিবি হেফাজতে

ছবি

শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

ছবি

নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চান বিএনপি নেতা হাফিজ

ছবি

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত

ছবি

মুগ্ধের ভাইয়ের বেদনাবিধুর আহ্বান: ‘আমি এখন আর হাসতে পারি না’

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার জন্মদিনে `গণ জুতা নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা’

ছবি

সরকারকে নির্বাচনী রোড ম্যাপ পরিষ্কার করতে হবে: তারেক রহমান

গাজীপুরে বিএনপি মহাসচিব : মির্জা ফখরুল

ছবি

ক্ষমতায় থাকার জন্য হাসিনা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে : মির্জা ফখরুল

ছবি

পুলিশের ও থানার দালাল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতারা কাজ করেছে - সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন

ছবি

নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন

ছবি

শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও সংকট কাটেনি : ফখরুল

tab

রাজনীতি

মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফের মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ০১ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুটি পুরোনো মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে এসেছে।

মির্জা আব্বাসের জামিন আদালতে বাতিল হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের পর গতকাল রাতে গোয়েন্দা পুলিশ বা ডিবি পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। আজ বুধবার তাকে আদালতে নেওয়া হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

২ নভেম্বর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ঠিক করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬–এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম।

বিএনপির এই নেতার আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মির্জা আব্বাসের পক্ষে তিনি আদালতের কাছে সময় আবেদন করেন। আদালত ওই আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মামলা করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৪ মে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

অন্যদিকে দুদকের করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে সাফাই সাক্ষ্যের জন্য ১১ নভেম্বর দিন ধার্য রয়েছে। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১–এ বিচারাধীন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার শেষ পর্যায়ে এসেছে। সাফাই সাক্ষ্য শেষ হলে যুক্তিতর্ক শুনানির দিন পড়বে। আর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলে আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করবেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদক মামলা করেছিল ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। সেই মামলার অভিযোগে বলা হয়, তিনি মন্ত্রী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি লন্ডনের একটি ব্যাংক হিসাবে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা জমা রাখেন। এ মামলার বিচার শুরু হয় ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর।

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুরোনো এসব মামলায় এখন বিচার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইনের গতিতেই মামলার কার্যক্রম শেষ হচ্ছে।

তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক পুরোনো মামলায় বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা হচ্ছে।

back to top