দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরন ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব আবদুল মান্নানের মনোনয়ন ঋণখেলাপির অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে নোয়াখালীর ছয়টি আসনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-৩ আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরনসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অন্যরা হলেন, জাসদের জয়নাল আবদীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম ও মনিরুল ইসলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ঋণ খেলাপি হওয়ায় মামুনুর রশীদ কিরনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এ আসনে বৈধ প্রার্থী জাকের পার্টির মো. বাহার উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ, ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. সুমন আল হোসাইন ভূঁইয়া।
এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে তিনজনের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে। এরা হলেন, স্বতন্ত্র আক্তার হোসেন ফয়সাল, জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ ও সাম্যবাদী দলের মহিউদ্দিন।
এই বিষয়ে মামুনুর রশিদ কিরণ বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামে যতগুলো ঋণ আছে তার সবগুলোই নিয়ম অনুযায়ী হালনাগাদ আছে। সব কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে। সবকিছু বলার পরও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন বাতিল করেছেন। আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করব। আশা করি মনোনয়ন ফিরে পাব।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “৩০ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী মামুনুর রশিদ কিরণ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোনয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই। ”
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে মোট নয়জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় যাচাই-বাছাই শেষে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ঋণ খেলাপির অভিযোগে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এ আসনে বাতিল হওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- গণতন্ত্রী পার্টির সারওয়ার ই দীন, জাসদের এস এম রহিম উল্যাহ ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. জিহাদ চৌধুরী।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ, জাকের পার্টির মো. সোহরাব উদ্দিন ও ইসলামি ফ্রন্টের মো. আবদুল আলীম।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের ভুল সংশোধন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নির্বাচন কমিশনে আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরন ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব আবদুল মান্নানের মনোনয়ন ঋণখেলাপির অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে নোয়াখালীর ছয়টি আসনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-৩ আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। এরমধ্যে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরনসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অন্যরা হলেন, জাসদের জয়নাল আবদীন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম ও মনিরুল ইসলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ঋণ খেলাপি হওয়ায় মামুনুর রশীদ কিরনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এ আসনে বৈধ প্রার্থী জাকের পার্টির মো. বাহার উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ, ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. সুমন আল হোসাইন ভূঁইয়া।
এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে তিনজনের মনোনয়ন স্থগিত করা হয়েছে। এরা হলেন, স্বতন্ত্র আক্তার হোসেন ফয়সাল, জাতীয় পার্টির ফজলে এলাহী সোহাগ ও সাম্যবাদী দলের মহিউদ্দিন।
এই বিষয়ে মামুনুর রশিদ কিরণ বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামে যতগুলো ঋণ আছে তার সবগুলোই নিয়ম অনুযায়ী হালনাগাদ আছে। সব কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে। সবকিছু বলার পরও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন বাতিল করেছেন। আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করব। আশা করি মনোনয়ন ফিরে পাব।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “৩০ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী মামুনুর রশিদ কিরণ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোনয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই। ”
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে মোট নয়জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় যাচাই-বাছাই শেষে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ঋণ খেলাপির অভিযোগে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এ আসনে বাতিল হওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- গণতন্ত্রী পার্টির সারওয়ার ই দীন, জাসদের এস এম রহিম উল্যাহ ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. জিহাদ চৌধুরী।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ, জাকের পার্টির মো. সোহরাব উদ্দিন ও ইসলামি ফ্রন্টের মো. আবদুল আলীম।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের ভুল সংশোধন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নির্বাচন কমিশনে আপিলের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।