বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেয়া হচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যকে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয় তিনি।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, “বিএনপির নেতারা কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।”
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে আগের দিন বিএনপির আলোচনায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া এই বিবৃতি পাঠানো হয় গণমাধ্যমে।
ফখরুল নেতা বলেছিলেন, “বিএনপি যারা করে, তাদের ঘর-বাড়ি পর্যন্ত দখল করে নেওয়া হচ্ছে, তাদের জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে, তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দুঃসম্পর্কের আত্মীয় যারা আছে তাদেরকে বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা বর্ণবাদ ছাড়া কিছু নয়।”
এসব অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন।
“বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।”
২০০১ সালের অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয় বলেও অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
তিনি বলেন, “লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।
“বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারা দেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।”
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, “এ জন্যই স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।”
দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “অগণতান্ত্রিক ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি; দেবেও না। তাই বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।”
বিএনপি "পাকিস্তানি ভাবাদর্শ‘কে পুঁজি করে রাজনীতি করে- এমন অভিযোগ এনে কাদের বলেন, “বিএনপির একান্ত কাম্যই হল যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়।
“তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়া-মোশতাক ‘চক্র’ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করার অভিযোগও আনেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বলেন, “সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে; ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করে।
“স্বৈরাচারী জিয়া রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধী দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।”
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেয়া হচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যকে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ কথা বলা হয় তিনি।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, “বিএনপির নেতারা কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।”
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে আগের দিন বিএনপির আলোচনায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া এই বিবৃতি পাঠানো হয় গণমাধ্যমে।
ফখরুল নেতা বলেছিলেন, “বিএনপি যারা করে, তাদের ঘর-বাড়ি পর্যন্ত দখল করে নেওয়া হচ্ছে, তাদের জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে, তাদের ছেলে-মেয়েদেরকে চাকরির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি দুঃসম্পর্কের আত্মীয় যারা আছে তাদেরকে বিএনপি হিসেবে চিহ্নিত করে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা বর্ণবাদ ছাড়া কিছু নয়।”
এসব অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন।
“বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।”
২০০১ সালের অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচনে জিতে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয় বলেও অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
তিনি বলেন, “লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।
“বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারা দেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।”
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, “এ জন্যই স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।”
দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে দাবি করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “অগণতান্ত্রিক ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি; দেবেও না। তাই বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।”
বিএনপি "পাকিস্তানি ভাবাদর্শ‘কে পুঁজি করে রাজনীতি করে- এমন অভিযোগ এনে কাদের বলেন, “বিএনপির একান্ত কাম্যই হল যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়।
“তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়া-মোশতাক ‘চক্র’ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করার অভিযোগও আনেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। বলেন, “সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে; ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করে।
“স্বৈরাচারী জিয়া রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধী দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।”