ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ১৬তম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে বিশ্বিবদ্যালয়ের বটতলায় এ সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।
জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা এবং সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আসন্ন এই কাউন্সিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, ঐতিহাসিক ১১ দফার অন্যতম প্রণেতা দীপা দত্ত।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়ের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি মোল্লা হারুন অর রশিদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবীর জাহিদ এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি ইকবাল কবীর। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনটির ঢাবি সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা, ঢাকা মহানগরের সভাপতি তৈয়ব ইসলাম, কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক শাকিল হাসান এবং জাবির আহমেদ জুবেল।
উদ্বোধকের বক্তব্যে দীপা দত্ত বলেন, দেশের সর্বস্তরের আজ যে নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে তা দেশকে একেবারে খাদের কিনারে নিয়ে যাচ্ছে। খাদের কিনার থেকেও যে উঠে আসা যায় তা এই তরুণ ছাত্র সমাজই দেখাতে পারে। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনারা যারা বাম রাজনীতি করেন, ছাত্র মৈত্রী করেন তারা উঠে দাঁড়াচ্ছেন।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি ইকবাল কবীর বলেন, এখানে উন্নয়ন হচ্ছে না যে তা না, একটা গোষ্ঠীর ব্যাপক উন্নয়ন এবং অগ্রগতি হচ্ছে কিন্তু তা মূলত দেশের অধিকাংশ শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের উপর শোষণ চালানোর মাধ্যমে গুটিকয়েক মানুষের উন্নয়ন। যে অত্যাচারী ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহসহ নানাবিধ প্রশাসনের কাজ হচ্ছে এই ব্যবস্থায় রশদ জোগানো। ফলে সামনের পথ হচ্ছে সংগ্রামের পথ, অত্যাচারী ব্যবস্থা ধ্বংস করার মধ্য দিয়েই মেহনতি মানুষের মুক্তি সম্ভব।
বাংলাদেশর বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, দেশের মানুষের শিক্ষার অধিকার আজ ভূলণ্ঠিত হচ্ছে। শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের সন্তানের শিক্ষাজীবন পরিচালনা করা আজ যুদ্ধের মতো বিষয়ে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার ক্রমাগত বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে এদেশের লুটেরা শ্রেণির স্বার্থেই। আজকে দিনে ছাত্র মৈত্রীর নেতাকর্মীদের শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের শিক্ষার অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হবে, গড়ে তুলতে হবে জনগণের গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা।
সমাবেশ শেষে একটি র্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশন বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে এর পরের দিন সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে। কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের রাজনৈতিক রিপোর্ট, সাংগঠনিক রিপোর্ট ইত্যাদির উপর কাউন্সিলরগণ মতামত পেশ করবেন এবং সবশেষে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ১৬তম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে বিশ্বিবদ্যালয়ের বটতলায় এ সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।
জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা এবং সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আসন্ন এই কাউন্সিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, ঐতিহাসিক ১১ দফার অন্যতম প্রণেতা দীপা দত্ত।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়ের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি মোল্লা হারুন অর রশিদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবীর জাহিদ এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি ইকবাল কবীর। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনটির ঢাবি সভাপতি নূজিয়া হাসিন রাশা, ঢাকা মহানগরের সভাপতি তৈয়ব ইসলাম, কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক শাকিল হাসান এবং জাবির আহমেদ জুবেল।
উদ্বোধকের বক্তব্যে দীপা দত্ত বলেন, দেশের সর্বস্তরের আজ যে নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে তা দেশকে একেবারে খাদের কিনারে নিয়ে যাচ্ছে। খাদের কিনার থেকেও যে উঠে আসা যায় তা এই তরুণ ছাত্র সমাজই দেখাতে পারে। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনারা যারা বাম রাজনীতি করেন, ছাত্র মৈত্রী করেন তারা উঠে দাঁড়াচ্ছেন।
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি ইকবাল কবীর বলেন, এখানে উন্নয়ন হচ্ছে না যে তা না, একটা গোষ্ঠীর ব্যাপক উন্নয়ন এবং অগ্রগতি হচ্ছে কিন্তু তা মূলত দেশের অধিকাংশ শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের উপর শোষণ চালানোর মাধ্যমে গুটিকয়েক মানুষের উন্নয়ন। যে অত্যাচারী ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহসহ নানাবিধ প্রশাসনের কাজ হচ্ছে এই ব্যবস্থায় রশদ জোগানো। ফলে সামনের পথ হচ্ছে সংগ্রামের পথ, অত্যাচারী ব্যবস্থা ধ্বংস করার মধ্য দিয়েই মেহনতি মানুষের মুক্তি সম্ভব।
বাংলাদেশর বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, দেশের মানুষের শিক্ষার অধিকার আজ ভূলণ্ঠিত হচ্ছে। শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের সন্তানের শিক্ষাজীবন পরিচালনা করা আজ যুদ্ধের মতো বিষয়ে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার ক্রমাগত বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে এদেশের লুটেরা শ্রেণির স্বার্থেই। আজকে দিনে ছাত্র মৈত্রীর নেতাকর্মীদের শ্রমজীবী মেহনতী মানুষের শিক্ষার অধিকার নিয়ে লড়াই করতে হবে, গড়ে তুলতে হবে জনগণের গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা।
সমাবেশ শেষে একটি র্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশন বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে এর পরের দিন সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে। কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের রাজনৈতিক রিপোর্ট, সাংগঠনিক রিপোর্ট ইত্যাদির উপর কাউন্সিলরগণ মতামত পেশ করবেন এবং সবশেষে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত করা হবে।