রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন সুজন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ›িদ্ব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০৮ ভোট। অপরদিকে বিএনপির অপর এক বহিস্কৃত নেতা কামরুজ্জামান লিপটন আনারস প্রতীক নিয়ে ১৭ হাজার ১০৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
বিএনপি নেতা সুজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় গঙ্গাচড়া উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। এককালে জাপার দূর্গ এখন আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি গঙ্গাচড়া উপজেলায় কোন ম্যাজিকে জয়ী হলেন তা নিয়ে চলছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোচনা। তবে নির্বাচনে অংশ নেবার অভিযোগে সুজন ও লিপটনকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হলেও বিএনপির তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় অংশ নেয়া থেকে সব ধরনের সহযোগীতা করেছে বলে সুজনের ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিএনপির বহিস্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন সুজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, তিনি গঙ্গাচড়া উপজেলার আলবিদিতর ইউনিয়নের কয়েকবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। এবার উপজেলা নির্বাচন করবেন বলে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাদ করেছিলেন। তার জয় লাভের ম্যাজিক কি ছিলো জানতে চাইলে বলেন নির্বাচনের সময় পুরো গঙ্গাচড়া জুড়ে প্রচার প্রচারনা চালানোর সময় সাধারন মানুষের কাছ থেকে অভুতপুর্ব সাড়া পেয়েছেন দল মত নির্বিশেষে সকলের সমর্থন ও দোয়ার কারনে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপি প্রার্থী হিসেবে তো নির্বাচন করেননি দলও নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাকে দল থেকে বহিস্কার করার ব্যাপারে তার কোন মন্তব্য নেই। তবে জনগনের জন্য যদি রাজনীতি হয় তাহলে জনগনের মতামতের প্রািত শ্রদ্ধাশীল হতে হয়। তিনি বলেন নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনার সময় হাজারো মানুষের উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান তার পক্ষে শ্লোগান দেয়া ভোরেটর ফলাফল পরিবর্তনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া আমাকে উৎসাহ আর উজ্জীবিত করেছে। তবে নির্বাচন কমিশন বিশেষ করে রিটানিং কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ঠ সকলে সকল রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে জনগনের দেয়া রায়কে শ্রদ্ধা করে আমার প্রাপ্ত ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছি তা আমাকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে আমাকে বিজয়ী ঘোষনা করেছে এ জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি এবং রিটানিং অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে আর ভোটাররা পক্ষে থাকলে ভালো ফল পাওয়া যায় এটা উদাহরন হয়ে থাকলো বলে জানান।
বিএনপির ও তারেক রহমানের প্রতিক্রিয়াঃ নির্বাচনে বিএনপি বহিস্কৃত নেতা সুজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওয়াহিদুজ্জামান মাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে শুক্রবার সকালে এ প্রতিনিধিকে তিনি বলেন দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচন করায় দল তাকে বহিস্কার করেছে। এখন তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এতে আমার বা বিএনপির কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তাকে বহিস্কার করা হয়েছে আজীবনের জন্য বিএনপিতে তার কোন স্থান নেই।
তিনি বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপজেলা নির্বাচনে গঙ্গাচড়ায় দুই নেতার নির্বাচনে অংশ নেবার ব্যাপারে স্কাইপির মাধ্যমে গঙ্গাচড়া উপজেলার নেতাদের সাথে দীর্ঘক্ষন কথা বলেছেন জানিয়ে বলেন উপজেলা নির্বাচন সহ সকল নির্বাচন বিএনপি বর্জন করার পরেও যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করেছে তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। কোন ভাবেই তাদের আর দলে ফিরিয়ে নেয়া হবেনা। সেই সাথে তারেক রহমান বলে দিয়েছেন যেসব নেতা কর্মী বিএনপির বহিস্কৃত নেতাদের পক্ষে কাজ করতে তাদের তালিকা তৈরী করার জন্য আমাকে নির্দ্দেশ দিয়েছেন। আমরা তালিকা তৈরী করা শুরু করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে তালিকা প্রস্তুত করার পর আবারো তারেক রহমান আমাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দ্দেশ দেবেন বলে জানান তিনি।
শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন সুজন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ›িদ্ব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০৮ ভোট। অপরদিকে বিএনপির অপর এক বহিস্কৃত নেতা কামরুজ্জামান লিপটন আনারস প্রতীক নিয়ে ১৭ হাজার ১০৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
বিএনপি নেতা সুজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় গঙ্গাচড়া উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। এককালে জাপার দূর্গ এখন আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি গঙ্গাচড়া উপজেলায় কোন ম্যাজিকে জয়ী হলেন তা নিয়ে চলছে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোচনা। তবে নির্বাচনে অংশ নেবার অভিযোগে সুজন ও লিপটনকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হলেও বিএনপির তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় অংশ নেয়া থেকে সব ধরনের সহযোগীতা করেছে বলে সুজনের ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে।
চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বিএনপির বহিস্কৃত নেতা মোকাররম হোসেন সুজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, তিনি গঙ্গাচড়া উপজেলার আলবিদিতর ইউনিয়নের কয়েকবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। এবার উপজেলা নির্বাচন করবেন বলে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাদ করেছিলেন। তার জয় লাভের ম্যাজিক কি ছিলো জানতে চাইলে বলেন নির্বাচনের সময় পুরো গঙ্গাচড়া জুড়ে প্রচার প্রচারনা চালানোর সময় সাধারন মানুষের কাছ থেকে অভুতপুর্ব সাড়া পেয়েছেন দল মত নির্বিশেষে সকলের সমর্থন ও দোয়ার কারনে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপি প্রার্থী হিসেবে তো নির্বাচন করেননি দলও নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাকে দল থেকে বহিস্কার করার ব্যাপারে তার কোন মন্তব্য নেই। তবে জনগনের জন্য যদি রাজনীতি হয় তাহলে জনগনের মতামতের প্রািত শ্রদ্ধাশীল হতে হয়। তিনি বলেন নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনার সময় হাজারো মানুষের উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান তার পক্ষে শ্লোগান দেয়া ভোরেটর ফলাফল পরিবর্তনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া আমাকে উৎসাহ আর উজ্জীবিত করেছে। তবে নির্বাচন কমিশন বিশেষ করে রিটানিং কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ঠ সকলে সকল রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে জনগনের দেয়া রায়কে শ্রদ্ধা করে আমার প্রাপ্ত ভোটে আমি বিজয়ী হয়েছি তা আমাকে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে আমাকে বিজয়ী ঘোষনা করেছে এ জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি এবং রিটানিং অফিসারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে আর ভোটাররা পক্ষে থাকলে ভালো ফল পাওয়া যায় এটা উদাহরন হয়ে থাকলো বলে জানান।
বিএনপির ও তারেক রহমানের প্রতিক্রিয়াঃ নির্বাচনে বিএনপি বহিস্কৃত নেতা সুজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওয়াহিদুজ্জামান মাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে শুক্রবার সকালে এ প্রতিনিধিকে তিনি বলেন দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচন করায় দল তাকে বহিস্কার করেছে। এখন তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এতে আমার বা বিএনপির কোন প্রতিক্রিয়া নেই। তাকে বহিস্কার করা হয়েছে আজীবনের জন্য বিএনপিতে তার কোন স্থান নেই।
তিনি বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপজেলা নির্বাচনে গঙ্গাচড়ায় দুই নেতার নির্বাচনে অংশ নেবার ব্যাপারে স্কাইপির মাধ্যমে গঙ্গাচড়া উপজেলার নেতাদের সাথে দীর্ঘক্ষন কথা বলেছেন জানিয়ে বলেন উপজেলা নির্বাচন সহ সকল নির্বাচন বিএনপি বর্জন করার পরেও যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করেছে তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। কোন ভাবেই তাদের আর দলে ফিরিয়ে নেয়া হবেনা। সেই সাথে তারেক রহমান বলে দিয়েছেন যেসব নেতা কর্মী বিএনপির বহিস্কৃত নেতাদের পক্ষে কাজ করতে তাদের তালিকা তৈরী করার জন্য আমাকে নির্দ্দেশ দিয়েছেন। আমরা তালিকা তৈরী করা শুরু করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে তালিকা প্রস্তুত করার পর আবারো তারেক রহমান আমাদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দ্দেশ দেবেন বলে জানান তিনি।